Logo
শিরোনাম

আব্রামস ট্যাংক পাচ্ছে না ইউক্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেনকে রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু না করার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। নতুন অস্ত্র সহায়তা হাতে পাওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এ অবস্থান বজায় রাখতে বলেছেন তারা। বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ইউক্রেনে নিজেদের আব্রামস ট্যাংক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র এখনও অটল। জার্মানির সঙ্গে লিওপার্ড ট্যাংক পাঠানোর প্রশ্নে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের জন্য নতুন ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ছাড়াও তিনি হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, ইউক্রেন তার প্রয়োজনীয় সহযোগিতার সবই পাবে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে শত শত সাজোয়াঁ যান পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ইউক্রেন ভারী ট্যাংক চায়। কিন্তু জার্মানি তা দিতে রাজি নয়। দেশটির কথা, এতে করে যুদ্ধে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ তোলা হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে। জার্মানি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আরও বহু দেশ। এর ওপর নির্ভর করবে ইউক্রেনে ভারী ট্যাংক পাঠানোর ভবিষ্যৎ। যে ট্যাংকগুলো পাঠানোর প্রশ্নে এত হট্টগোল, সেগুলো লিওপার্ড ২ মডেলের।

জার্মানি এ ট্যাংকগুলো তৈরি করেছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময়। হাজারে হাজারে তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছিল আশপাশের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে। ফলে ইউরোপের কয়েক ডজন দেশের হাতে রয়েছে এই ট্যাংক। প্রথমবারের মতো এই ট্যাংক নামানো হয় ১৯৭৯ সালে। আর এর সর্বোচ্চ গতি ওঠে প্রতি ঘণ্টায় ৬৮ কিলোমিটার। এতে রয়েছে ১২০ মিলিমিটারের বোর গান এবং দুটি হালকা মেশিনগান। এর আগে বসনিয়ার কসোভোতে, আফগানিস্তানে এবং রাশিয়াতে এই ট্যাংকগুলো নামানো হয়েছিল। সেখানে অ্যান্টি ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে এগুলোকে পরাস্তও হতে দেখা গেছে।

ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ভারী অস্ত্র প্রয়োজন। কিয়েভের হাতে সীমিতসংখ্যক ট্যাংক রয়েছে। সেগুলোর বেশির ভাগই সোভিয়েত এবং সোভিয়েত পরবর্তী আমলের। দেশটির ধারণা, আসন্ন মাসগুলোতে তাদের ওপর একাধিক আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনায় রয়েছে রাশিয়ার। এ ছাড়াও মিত্র দেশের অনেকে এবং ইউক্রেন নিজেও বিশ্বাস করে, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে তাদের ট্যাংক প্রয়োজন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জার্মানির ট্যাংক দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছে না তারা। এ নিয়ে সমালোচনাও করেছেন ইউক্রেনের কর্তাব্যক্তিরা।

রাশিয়ার বাহিনী এ যুদ্ধে টি-৯০ মডেলের ট্যাংক ব্যবহার করছে। সেগুলোর সামনে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৩০০ ট্যাংক প্রয়োজন ইউক্রেনের। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেনের ৩০০ ট্যাংক লাগবে না। একশ ট্যাংকই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এসব ট্যাংক সংগ্রহে বেশি দূর যেতে হবে না। প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডের কাছেই প্রচুর লিওপার্ড ট্যাংক রয়েছে। তারাও এটি ইউক্রেনকে দিতে প্রস্তুত। শুধু জার্মানির বাধাটা উঠে গেলেই হয়। এই ট্যাংকগুলো রপ্তানি লাইসেন্সের অধীনে মিত্র দেশে পাঠিয়েছিল জার্মানি। ফলে কোনো রাষ্ট্র যদি এসব ট্যাংক তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে চায়, সে উদ্যোগে ভেটোর মাধ্যমে বাধা দিতে পারবে তারা।

জার্মানি এখন ইউক্রেন প্রশ্নে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তারা বহুপাক্ষিকভাবে অস্ত্র পাঠানোর পক্ষে। কিন্তু একা এক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সামরিকীকরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ফলে সাজোয়াঁ যানসহ নানা সরঞ্জাম পাঠালেও কোনোভাবেই ট্যাংক পাঠাতে রাজি হচ্ছে না তারা।

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিকে আলোচনার মাধ্যমে রাজি করানোর প্রচেষ্টাও চলছে। তবে জার্মানির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে নিজেদের আব্রামস ট্যাংক পাঠায়, তাহলে তারাও নিজেদের লিওপার্ড ট্যাংক পাঠাবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আব্রামস ট্যাংক চালাতে জ্বালানি বেশি লাগে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সে জ্বালানির চাহিদা মেটানোর বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য নতুন এক সমস্যা হয়ে দেখা দেবে।

ট্যাংক না পাঠানোর পক্ষে যুক্তিগুলো: এখন পর্যন্ত ট্যাংক না পাঠানোর পক্ষে যে যুক্তিগুলো এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হলো- এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুদ্ধে নিজেদেরকে সরাসরি জড়িয়ে ফেলবে ন্যাটো দেশগুলো। ফলে যুদ্ধের পরিসর বেড়ে যেতে পারে।তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সীমানা মেনে ট্যাংক ব্যবহার করা হবে। ইউক্রেনের মিত্ররা বলছে, রুশরাই আদতে সংঘাতের পরিসর বৃদ্ধি করে চলেছে ক্রমাগত। তাদের বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে বেসামরিক কাঠামোতে। হত্যা করা হচ্ছে বেসামরিক মানুষকে। এমনকি পারমাণবিক আক্রমণের হুমকিও চালানো হচ্ছে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর