বার্সেলোনার আদালতে
নেইমারের বিচার কার্য চলছে। তবে প্রায় এক দশক আগে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস থেকে বার্সেলোনায়
তার দল বদলের সময় জালিয়াতি ও দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে পিএসজি তারকা জানিয়ে
দিলেন, তার এজেন্টের দায়িত্ব পালন করা বাবা সিনিয়র নেইমার যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই তিনি
সব করেছেন।
নেইমার জানান,
ম্যানেজার হিসেবে বাবা সব সময় তার যেকোনো চুক্তি সংক্রান্ত বিষয় দেখেছেন। সেই পরামর্শ
মেনেই তিনি চলেছেন। মঙ্গলবার আদালতে নেইমার বলেন, চুক্তি সংক্রান্ত সমঝোতার ক্ষেত্রে
পুরো বিষয়টাই দেখাশোনা করেন বাবা। তিনি যেখানে আমাকে সই করতে বলেছেন, আমি তা করেছি।
তিনি আরও জানান,
২০১১ সালে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত সমঝোতার সময়ে তিনি সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন
কি না, তা এখন স্পষ্ট ভাবে মনে নেই।
এই মামলায় নেইমার
ও তার বাবা অভিযুক্তদের অন্যতম। মূলত অভিযোগ দল পরিবর্তনের সময় যে অর্থের লেনদেন হয়েছিল
তা লুকোনো হয়েছে। এই মামলায় একটি বিনিয়োগকারী সংস্থার নামও উঠে এসেছে। অর্থ লেনদেনের
সময় এই সংস্থাটির ভূমিকা ছিল।
জানা যায় নেইমারের
মা, সাবেক বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রোজেল ও জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও দুই
ক্লাবেরই প্রতিনিধিদেরও এই মামলায় হাজির থাকার কথা। গত সোমবার শুরু হওয়া বিচার আগামী
সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও অভিযুক্তরা
সবাই কোনো রকম অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন। সবাইকেই প্রথম দিনই আদালতে হাজির থাকতে
হত। তবে নেইমারকে কয়েক ঘণ্টা পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়। কেননা আগের রাতেই তিনি পিসিএসজির
হয়ে ফ্রান্সে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার
রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে অভিযোগকারীদের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার
জন্য ডাকা হয়েছিল। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়েছেন, নেইমারকে তিনি ব্যক্তিগত
ভাবে চেনেন না। তবে স্বীকার করেছেন, বার্সেলোনায় চুক্তি সই করার আগে তার ক্লাব নেইমারকে
দলে নিতে আগ্রহী ছিল। সে জন্য নেইমারকে প্রথমে ৩০ মিলিয়ন ইউরো ও পরে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো
পর্যন্ত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগকারীরা
নেইমার ও তার বাবার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পাশাপাশি দুই বছরের কারাবাসের
দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানার দাবি তোলা হয়েছে।
এছাড়া বিনিয়োগকারী সংস্থাটি নেইমার ও তার বাবার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়ানো ও জালিয়াতির
অভিযোগ এনে পাঁচ বছরের কারাবাসের দাবি জানিয়েছে।