Logo
শিরোনাম

আফ্রিকায় নির্বাচনের ব্যস্ততম বছর ২০২৩

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আফ্রিকায় ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা একসময় দুঃসাধ্য ছিল। ষাট, সত্তর বা আশির দশকে মহাদেশজুড়ে একদলীয় শাসন প্রচলিত ছিল। সে সময় নতুন নেতারা অভ্যুত্থান ঘটানো, পূর্বসূরিদের মৃত্যু বা অভিজাতদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় বসতেন। এমনকি নব্বইয়ের পরেও, যখন একের পর এক আফ্রিকান দেশ বহুদলীয় নির্বাচন পদ্ধতি বেছে নেয় তখনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। ভোটাররাও খুব কমই দায়িত্বপ্রাপ্তদের এড়িয়ে চলতো। কেননা কখনও কখনও নির্বাচকরা তাদের শাসক দলগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ রেখে চলছিল। প্রায়শই এটি এমনটি ঘটতো কারণ যারা ক্ষমতায় থাকতো তারা নির্বাচনে কারচুপি ও ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছিল।

সামান্য হলেও আশ্চর্যের বিষয় শুধু সাব-সাহারান আফ্রিকানদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই গণতান্ত্রিক সরকার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। তবুও একটি প্রতিশ্রুতিশীল পরিবর্তন হলো বিরোধী দলগুলো এখন শক্তিশালী ও প্রতিযোগী মনোভাবমূলক হয়ে উঠছে। ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, ৪২ জন নতুন আফ্রিকান নেতা একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পর দায়িত্বগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন ক্ষমতাসীন দলের উত্তরসূরি ছিলেন। বাকি ২৫ জন বিরোধী রাজনীতিবিদ ছিলেন, যা আগের তিন দশকের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ ধরনের পরিবর্তন সম্প্রতি কেনিয়া, মালাউই ও জাম্বিয়াসহ অন্যান্য দেশের মধ্যেও ঘটেছে। এমনকি যখন বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করেনি, তখনও তারা অনেক ক্ষেত্রেই টালি তৈরি করে যা অ্যাঙ্গোলা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের শাসক দলগুলোকে উদ্বিগ্ন করে। ২০২৩ সালে আফ্রিকায় আরও শক্তিশালী অবস্থান হবে নির্বাচনকেন্দ্রিক, সেটিই এখন ধারণা করা হচ্ছে।

এই প্রবণতার পেছনে আসলে কী? বলা চলে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর রয়েছে এর পেছনে। বিরোধী দলগুলো চতুরতার সঙ্গে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। আফ্রিকানরা ধীরে ধীরে শিক্ষিত হচ্ছে, জানার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে এবং নগরায়ণ ঘটছে। ফলে রাজনীতিবিদদের প্রতি তারা কম শ্রদ্ধাশীল। তরুণ জনগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন দলগুলোর নস্টালজিক প্রচারে মুগ্ধ নয়, যেগুলো তাদের শেকড়কে স্বাধীনতার সংগ্রামের জন্য চিহ্নিত করে। বরং তার পরিবর্তে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ও অভিজাতদের নজরে রাখছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অর্থনৈতিক অবস্থা আরও কঠিন হচ্ছে এবং আফ্রিকানরা তাদের নেতাদের আংশিকভাবে দায়ী করে এই কারণে। সিয়েরা লিওন ও এর পশ্চিম আফ্রিকার প্রতিবেশী, লাইবেরিয়ায়, ক্ষমতাসীনরা তাদের অর্থনীতি পরিচালনা ও দুর্নীতির অভিযোগের কারণে বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়। নাইজেরিয়ায়, মো. বুহারির আট বছরের দুঃশাসনের পর প্রতিষ্ঠাবিরোধী আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই নয় যে বিরোধী দলগুলো জয়ী হবে। নাইজেরিয়ার ক্ষমতাসীন দল, অল প্রগ্রেসিভ কংগ্রেস (এপিসি), সরকার পরিচালনার চেয়ে হাল আমলের রাজনীতিতে অনেক ভালো। মাদাগাস্কারে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা বিভক্ত বিরোধীদের মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও পুনরায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে তার।

এই মহাদেশের অন্যান্য দেশে, বিরোধীদের ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে, কেননা শাসক দল পরাজয় মেনে নেবে না সহজে। জানু-পিএফ, জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন দল। বলা হচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাধা দিচ্ছে তারা এবং নির্বাচনের আগে ভোটারদের নিজেদের দিকে টেনে নেবে অন্যথায় হেরে যাবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত জানু-পিএফ-এর ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থন বজায় থাকবে এবং আঞ্চলিক আধিপত্য থাকবে, ততদিন জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি। অভিযোগ আছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। অজনপ্রিয় সরকার হলেও ক্ষমতায় থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশে মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন নাও হতে পারে। দক্ষিণ সুদানে ২০১৫ সালে ভোট হওয়ার কথা ছিল কিন্তু নেতারা বারবার এর পরিবর্তে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করার পথ বেছে নিয়েছেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পরে, মালির জান্তা বলেছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করবে। মালিয়ানরা এখনও অপেক্ষা করছে। চাদে, আরেকটি জান্তা সরকার ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অক্টোবরে এটি তার অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক শাসনের মেয়াদ আরও দুই বছরের জন্য বাড়িয়ে দেয়। যদিও এসব ঘটনা পুরো আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করছে না। কারণ, ৫৪টি দেশের একটি জটিল ও বৈচিত্র্যময় মহাদেশ হলো আফ্রিকা।

নিউজ ট্যাগ: আফ্রিকা

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর