Logo
শিরোনাম

আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ

প্রকাশিত:রবিবার ০২ অক্টোবর 2০২2 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অর্থনীতিজুড়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চার দশকের সর্বোচ্চ উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি। আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ। সব মিলিয়ে চলতি বছরের শেষ দিক কিংবা আগামী বছরের মধ্যেই মন্দা দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তারাও অতিপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যে ব্যয় এড়িয়ে চলছেন। এ অবস্থায় আমদানি কমিয়ে দিতে হয়েছে ওয়াশিংটনকে। ফলে কমে গিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাণিজ্য বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পুনরায় মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অবদান রাখবে। আগস্টে পাইকারি ও খুচরা মজুদও অর্থনৈতিক উন্নতিতে সহায়তা করতে পারে। যদিও ভোক্তা ও ব্যবসায়িক ব্যয় ধীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিসংখ্যান অর্থনীতিবিদদের সর্বশেষ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির অনুমান আপগ্রেডে প্ররোচিত করছে। এ সময়ে জিডিপি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে টানা দুই প্রান্তিক সংকোচনের পর প্রবৃদ্ধির দেখা পাবে মার্কিন অর্থনীতি।

ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডিস অ্যানালিটিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রায়ান সুইট বলেন, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের জিডিপির জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ সময়ে জিডিপি যে শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এমনও নয়। আগস্টে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৭৩০ কোটি ডলারে নেমেছে। বাণিজ্য ঘাটতির এ পরিমাণ ২০২১ সালের অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন। এ সময়ে পণ্য আমদানি ব্যয় ৪৬০ কোটি ডলার কমে ২৬ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। পেট্রোলিয়ামসহ শিল্প সরবরাহের আমদানি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। পাশাপাশি প্রসাধন পণ্যের আমদানি ১ দশমিক ৮ এবং ভোগ্যপণ্যের আমদানি দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। তবে খাদ্য, মোটরগাড়ি ও অন্যান্য পণ্যে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে নীতিগত সুদহার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সুদের হার একই হারে বাড়ানো হলো। চলতি বছর আরো বড় বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত দিয়েছে ব্যাংকটি। মার্চ থেকে ফেডারেল রিজার্ভ নীতিগত সুদহার শূন্যের কাছাকাছি থেকে বর্তমানের ৩ থেকে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে।

ক্রমবর্ধমান ঋণের খরচ এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি ভোক্তা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তাদের ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটতে বাধ্য করছে। অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, আমদানি হ্রাস অব্যাহত থাকবে। আমদানির পাশাপাশি রফতানিও সংকুচিত হয়েছে। আগস্টে রফতানি আয় ১৭০ কোটি ডলার কমে ১৭ হাজার ৯৮০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। রফতানি হ্রাসে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে অটোমোবাইল শিল্প। দেশটির গাড়ি রফতানি ৮ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। পাশাপাশি শিল্প সরবরাহের রফতানিও ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। যদিও ভোগ্যপণ্যের রফতানি ৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া খাদ্য, মূলধন ও অন্যান্য পণ্যের রফতানিও বেড়েছে। রফতানির সামগ্রিক পতনে শক্তিশালী ডলারও ভূমিকা রেখেছে। কঠোর মুদ্রানীতি এবং বিশ্বব্যাপী চাহিদা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় ডলারের বিনিময় হার বেড়ে গিয়েছে। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।

অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের মার্কিন অর্থনীতিবিদ ম্যাথিউ মার্টিন বলেন, আমরা আশা করি না যে, শিগগিরই এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। আগামী মাসগুলোয়ও পণ্য বাণিজ্যের ব্যবধানটি সংকুচিত হবে। পৃথক প্রতিবেদনে বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, আগস্টে পাইকারি পণ্যের মজুদ ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। জুলাইয়ে এ হার দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে খুচরা পণ্যের মজুদ জুলাইয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশের চেয়ে আগস্টে ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গাড়ির মজুদ আগের মাসের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় আগস্টে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর