Logo
শিরোনাম

আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাবার বিতরণ করছে খুলনা এইড ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ৭৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খুলনা এইড ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে সাথে দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হইছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) , সাউথ সেন্টাল রোড সিউসি স্কুলে ৮০ জন শুবিধা বঞ্চিতশিশুর মাঝে জুমার নামাজের পর বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়।

খাবার পেয়ে শিশুরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বখুলনা এইড ফাউন্ডেশনের অর্ধবিষয়ক সম্পাদক শেখ রতন সহ ফাউন্ডেশনের অনেক বিজ্ঞ-সদস্যবৃন্দ।

শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ প্রসঙ্গে আয়োজকরা বলেন, খুলনা এইড ফাউন্ডেশন নিয়মিত সমাজ সেবামুলক ও অসহায়-এতিম শিশুদের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। আজ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য খুলনা এইড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুলনা এইড ফাউন্ডেশন সবসময় মানবিক সহযোগিতা নিয়ে সবার পাশে আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।

সংগঠনটির সভাপতি রাসেদুলহক বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই ইচ্ছেপূরণ ও অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্যই এই খুলনা এইড ফাউন্ডেশনের যাত্রা। আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সবার সহযোগিতায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা একটি নিরাপদ জীবন পাবে এবং এর পাশাপাশি শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে এমনটি স্বপ্ন দেখি।

২০২০ সালের ২ জুলাই সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।



আরও খবর