মঙ্গলবারের পরে বুধবার। মাদককান্ডে মুম্বাই
হাইকোর্টের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতেও, আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি।
তাই শাহরুখ-পুত্র বুধবারের রাতও কাটালেন জেলে। আজ বৃহস্পতিবার ফের আরিয়ান-সহ ৩ জনের
জামিনের আবেদনের শুনানি হবে মুম্বাই হাইকোর্টে। গত ২০ দিন ধরে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড
জেলে বন্দি ২৩ বছরের আরিয়ান।
মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি নীতীন সামব্রের
এজলাসে বুধবার (২৭ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে অভিযুক্তদের পক্ষে মুকুল রোহতাগি,
আলি কাশিফ খান দেশমুখ ও অমিত দেশাই আদালতে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন। এতেই সময়
লেগে যায় প্রায় ২ ঘন্টা। তখন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর
জেনারেল অনিল সিং দাবি করেন, এবার তারও বক্তব্য পেশ করতে কিছুটা সময় লাগবে। এরপর পরে
আদালত জানিয়ে দেয়, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার পরে ফের জামিন আবেদনের শুনানি হবে।
আরিয়ানের আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতকে
গ্রেফতারির মেমো সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে বলেন, আরিয়ানের গ্রেফতারির
সময় কোনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল না। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, আরিয়ানের থেকে কোনো
মাদক মেলেনি, তার মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়নি। বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তিনি
আরো বলেন, আরিয়ান একজন ‘তরুণ’ যার কিনা জেলে
নয় বরং রিহ্যাবে ঠাঁই হওয়া উচিত।
অন্যদিকে মডেল মুনমুন ধামেচার আইনজীবী
কাশিফ খান দেশমুখ জামিনের আবেদনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, তার মক্কেল একজন মডেল। কর্মসূত্রেই
একজনের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি ক্রুজে গিয়েছিলেন। অপর আটক আরবাজ মার্চেন্টের আইনজীবী
অমিত দেশাই বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কোথাও কোনও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে
না।
আরিয়ানের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার না হলেও,
তবু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল
ব্যুরো। এই বিষয়টি নিয়ে আরিয়ানের বন্ধু ও অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদ
করেছে এনসিবি।
উল্লেখ্য, গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরী
থেকে গ্রেফতার হন আরিয়ান খান। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে এনসিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল
আরিয়ানকে। ৮ অক্টোবর থেকে তিনি রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। সেশনস কোর্টে একাধিক বার
আরিয়ানের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন জানালেও বারবার তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই মুম্বাই
হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।