Logo
শিরোনাম

আল জাজিরার সামি, অপরাধ আর প্রতারণার গডফাদার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৯৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কখনও তানভীর সাদাত, কখনও সায়ের জুলকারনাইন। আবার কখনও জুলকারনাইন সায়ের খান, এভাবে নাম বদলে প্রতারণাসহ অগণিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিটিই আল জাজিরা ফিল্মের মূল চরিত্র সামি। তার প্রকৃত নাম সামিউল আহমেদ খান। অল্প বয়সে মাকে হারানোর পর চুরি ও প্রতারণামূলক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে বদলে ফেলেন মায়ের রাখা নাম তানভীর মোহাম্মদ সাদাত খান। সেনানিবাস থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার সময় তার নাম ছিল সামিউল আহমেদ খান। মাদক ও অন্ধকার জগতে জড়িয়ে বেছে নেন নতুন নাম সায়ের জুলকারনাইন। গত কয়েক বছর ধরে পাহাড়ি উগ্রবাদীদের সঙ্গে জড়িত সামি।

আল জাজিরা ইস্যুতে তার সহপাঠী ও পরিচিতরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অভিযোগ করছে। শিশুকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত যার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তাকে কেন্দ্র করেই আল জাজিরার তদন্ত টিম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনী নিয়ে ফিল্ম তৈরি করেছে।

পিতার ভুয়া নাম দিয়ে পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সে করেন সামি। দুই যায়গায় তিনি পিতার নাম দিয়েছেন ওয়াসিট খান (Wasit Khan)। কিন্তু তার বাবার প্রকৃত নাম বাসিত খান (Basit Khan)।

শিশুকালেই অপরাধের হাতেখড়ি

সামির বাবা মো. আবদুল বাসেত খান ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। আবদুল বাসেতের চার সন্তানের মধ্যে সামিউল আহমেদ খান সবার বড়। জন্ম ১৯৮৪ সালে হলেও স্কুলের তথ্য মোতাবেক তার জন্ম তারিখ ৮ অক্টোবর, ১৯৮৬। কৈশোর থেকেই তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠতে থাকে। ১৪ বছর বয়সে সামি মাকে হারায়। তার দুই বছর পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সংসারে তখন থেকেই অন্ধকার জগতে পা বাড়ায় সামি। ক্যাডেট কলেজ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর ভর্তি হয় কুমিল্লার ইস্পাহানি স্কুলে। ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়স থেকে ড্রাগ নেয়া, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অভিযোগ ওঠে সামির বিরুদ্ধে। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে সহপাঠী বন্ধুরাও তাকে এড়িয়ে চলতো। কৈশোর বয়সে চুরিতে হাত পাকান সামিউল আহমেদ খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি। ১৭ বছর বয়সে ২০০০ সালের ৩০ জানুয়ারি ইসিবিতে কর্মরত মেজর ওয়াদুদের বিদেশ থেকে আনা ট্র্যাকস্যুট চুরি করে ধরা পড়েন। ২০০০ সালের জুলাই মাসে টাইগার অফিসার্স মেস থেকে হাতির দাঁত চুরি করে চট্টগ্রামের নিউমার্কেটে অঙ্গনা জুয়েলার্সে বিক্রি করেও ধরা পড়েন।

বাবার চাকরির সুবাদে নিজেকে কখনও সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট, কখনও ক্যাপ্টেন হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। ২০০১ সালের ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ঢাকা সেনানিবাসে নিজেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে সামি। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বন্ধু উৎপলের কাছে নিজেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে প্রমাণের জন্য বেল্ট, বুট ও র‍্যাংক ইউনিফর্ম কেনেন। উৎপলের বাসা থেকেই সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে ট্যাক্সি ক্যাব দিয়ে সেনানিবাসসহ ঢাকার একটি পত্রিকা অফিস, রাপা প্লাজা, ধানমন্ডি ও চিড়িয়াখানা ঘুরে জাহাঙ্গীরগেট হয়ে সিএমএইচে প্রবেশের সময় দুপুর ২টায় মিলিটারি পুলিশের (এমপি) হাতে ধরা পড়ে সামি। এর ঠিক দুদিন পর ২ মে বাবার অঙ্গীকারনামায় আর্মি এমপি ডেস্ক থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। 

র‌্যাব পরিচয়ে প্রতারণা ও গ্রেপ্তার

২০০৬ সালের ২০ জুলাই র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটের এজে টেলিকমিউনিকেশন থেকে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার মোবাইল ফোন কিনে একটি ভুয়া চেক দেন। একইভাবে প্রাইজ ক্লাব নামক একটি কম্পিউটার ফার্ম থেকে ১০টি ল্যাপটপ কেনার কথা বলে, পরে চেক দিয়ে ২টি ল্যাপটপ নিয়ে আসে। চেক ডিজঅনার হলে অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার পর তাকে এনপিজি ঘোষণা করে সব সেনানিবাস ও দপ্তরে অবাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার পর অনিয়ন্ত্রিত ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য সামিকে ত্যাজ্য করেছিলেন তার বাবা। পরদিন ২০০৬ সালের ২৩ জুলাই এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন লে. কর্নেল আবদুল বাসেত।

সামির যত নারী কেলেঙ্কারি

সেনাকর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেছিলেন সামি। এন্টেনা ভাঙ্গা ভি.এইচ.এফ (ওয়াকিটকি) নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়ার নামে কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা নেন। ব্যবসার কথা বলেও অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে এক সেনাকর্মকর্তার মেয়েকেও বিয়ে করেন। শ্বশুরের অর্থে হাঙ্গেরিতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করার পর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন সামি। ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য অনেকেই তাকে খুঁজছেন। বহুদিন প্রকাশ্যে আসতে পারেন না।

সামির বিরুদ্ধে মামলা

গেল বছর সাইবার ক্রাইম ইউনিট অনলাইনে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তি ও আপত্তিকর প্রচারণা এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে অপপ্রচারসহ বিভিন্ন গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাদের মধ্যে অন্যতম শায়ের জুলকারনাইন সামি। উই আর বাংলাদেশি পেইজ থেকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে অভিযুক্তদের ল্যাপটপ ও মোবাইল অনুসন্ধান করে ১১ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় গোয়েন্দা বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাসনিম খলিল ও সামিসহ উক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের মে মাসে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হয়। এ মামলার প্রতিবাদে কলাম লিখেছিলেন ডেভিড বার্গম্যান। 

সামির এসব অপরাধের বিষয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে তার বন্ধু সাইফ এম ইশতিয়াক হোসাইন (Saif M Ishtiak Hossain) একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল

সেনাপ্রধানের ভাইয়েরা এত বড়ই মাফিয়া যে তাদের বিদেশে পালিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে হয়। তারা দেশে আসলেই সরকার, আইন ও বিচারবিভাগ তাদের ঘাড় মটকে দিত। আলজাজিরার ভিডিও প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন কতটা শক্তিশালী যে মাফিয়ারাও দৌঁড়ের উপরে থাকে!! তারা নিরাপদে দেশে থাকতে পারে না, মাফিয়াগিরি করতে পারে না।

তবে আমি এখানে একটু অন্য প্রসঙ্গে কথা বলবো। আমি বরং ভিডিওতে দেখানো হাঙ্গেরির ব্যবসায়ী সামি এর কথা বলব। সে আমার ছোটবেলার স্কুলের ক্লাসমেট। তার বাবা আর্মির ডাক্তার ছিল, এবং আমার বাবার কলিগ ও বন্ধু। সামির একজন ছোট ভাই ছিল, তার নাম মাহি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সামি ও তার ছোট ভাই তাদের মাকে হারায়। তার ২ বছর পরই তাদের বাবা ২য় বিয়ে করে। তখন থেকেই সৎ মায়ের সংসারে সামি বখে যেতে শুরু করে। ১৫-১৬ বছর বয়স থেকেই ড্রাগ নেয়া থেকে শুরু করে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ এমন কোনো কাজ নেই যা সে করতো না। তার নামে স্কুলে অনেক ডিসিপ্লিনারি অভিযোগ রয়েছে।

তার বাবা ঢাকায় পোস্টিং হবার পর সে ঢাকায় থাকতে তার বাবার সেনা ইউনিফর্ম পরে নিজেকে সেনা অফিসার পরিচয় দিয়ে একটি মেয়েকে পটায় এবং পরে পালিয়ে বিয়েও করে। পরে জানাজানি হলে তাকে তার বাবা বাসা থেকে বের করে দেয়। ইতিমধ্যে আমার সাথে তার এরপর আর কোনো রকম যোগাযোগ হয় না। তার কয়েক বছর পরে তারা বাবাও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সামি এসএসসি পাস করলেও ইন্টার পাস করতে পারে নাই শুনেছিলাম। পরে কমন বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম যে ১ম বউকে ডিভোর্স দিয়ে (ডিভোর্স দিয়েছিল কিনা সিওর না) সে সেনাবাহিনীর আরো একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মেয়েকে পটায় এবং শ্বশুরের সহায়তায় হাঙ্গেরিতে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করে। (এইটা সে কিভাবে করে সে ব্যাপারে তদন্ত করা যেতে পারে)

এত ডিস্টার্বড ব্যাকগ্রাউন্ডের একটি এডিক্টেড ছেলে টাকার জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। এবং তখন থেকেই টাকার জন্য সে চুরি করা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করতো। তার মত ছেলের রেফারেন্স দিয়ে আলজাজিরা একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আর্মি চিফকে দুর্নীতিবাজ ও মাফিয়া বানায় দিল, সেটা দেখে ছাগুরা লাফাইতে পারে, তবে আমি পারলাম না। ইন্টার ফেল সামিও কিভাবে হাঙ্গেরিতে ব্যবসা শুরু করলো সেটা ধরে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা টান দিলেই আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে।

সামির ব্যাপারে যা বললাম তার সত্যতা আমার তখনকার স্কুলের বন্ধুরাও ভেরিফাই করতে পারে। তাদেরকেও ট্যাগ করলাম। (এখানে দুইজনকে ট্যাগ করা হয় যারা হলেন, Tawsif Rahman Mishu ও  Nazmus Saqeb)।

সংযুক্তি: সামি এক্স ক্যাডেট। ক্লাস এইটে তাকে ক্যাডেট থেকে বের করে দেয়া হইছিল ডিসিপ্লিনের কারণে। পরে আমাদের সাথে কুমিল্লার ইস্পাহানি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়।

সামির অপর পরিচিত বন্ধু ওমর শরিফ আরেফিনও সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সামির সম্পর্কে নানা তথ্য উল্লেখ করেছেন। আরেফিনের স্ট্যাটাসটিও পাঠকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হল;

সে প্রায় আঠারো বছর আগের কথা, আই আই এম টি তে কোর্স করছি, বন্ধু প্রদ্বীপ একটা ছেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল, এক্স ক্যাডেট, সুন্দর মতো চেহারা স্মার্ট আর স্মাইলিং ফেস। ছেলেটার বাবা নাকি কর্নেল, বাসায় সৎ মা, মিলিটারি একাডেমি থেকে বার করে দিয়েছে আবার প্রেম করে একটা বিয়েও করেছে, আর এসব কারণে নাকি তার নিষ্ঠুর বাবা সৎ মায়ের ষড়যন্ত্রে তাকে ত্যায্য করেছে। আমার কাছে তার দুঃখের কাহিনী বলতো প্রায়ঃশই, যতোদুর মনে পড়ে আই আই এমটিতে কিছুদিন চাকরিও করেছিল।

এ সুবাদে আলাপচারিতা বাড়লো, টুকটাক চা সিগারেট, নাস্তা পানি এক্স ক্যাডেট হিসেবে তার আমার কাছে দাবি-ই ছিল, আমিও সেটাতে কার্পন্য করতাম না। তারপর একদিন সে ফোন দিল তার স্ত্রী নাকি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত, কিছু টাকা দরকার, আমার কেমন যেন সন্দেহ হলো, ঘটনা চক্রে তার স্ত্রীর স্কুলের বান্ধবী তখন আমার বাগদত্তা। কি মনে করে তাকে ফোন দিলাম ভাবলাম তার বান্ধবী মূমুর্ষু সেটা জানাই। তাকে ফোন করে তো আমি থ হয়ে গেলাম, ছেলেটার স্ত্রী নাকি এইমাত্র তার বাসা থেকে বের হলো, সম্পূর্ণ সুস্থ!!

এরপর থেকে আমি আর সেই ছেলেকে খুব একটা লাই দিতাম না। এরপর দিন গেল, একদিন শুনলাম সেই ছেলে অফিস থেকে টেলিফোন সেট চুরি করে ধরা খেয়েছে, কিছুদিন পর জানলাম তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। এভাবেই চলছিল তারপর আবার দেখা হলো হিরোর সাথে, সাদা পাঞ্জাবি আর জিন্স পড়ে সে হাতে একটা এন্টেনা ভাঙ্গা ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) সেট নিয়ে ঘুরছে। ভি এইচ এফ দেখে জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার ভাঙ্গা রেডিও নিয়ে কি কর, সে বল্লো সে নাকি ইউ এস এম্বেসীতে সিকিউরিটির কাজ করে তাই রেডিও রাখতে হয়! সাধারনতঃ এই সব রেডিও এর রেঞ্জ হয় কয়েকশ মিটার! অথচ আমরা তখন শান্তিনগরে বসে বিয়ে খাচ্ছি, বুঝলাম এটাও তার একটা ভেল্কি! তার কিছুদিন পর সে তার স্ত্রী সন্তান রেখে হাওয়া হয়ে গেল, এর ভেতর পালিয়ে বিয়ে করার কারনে তার স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল তার বাবা মা, মেয়েটা তখন বিশাল একটা দুর্বিপাকে পড়লো। স্বামী নিরুদ্দেশ, ছোট বাচ্চা, বিয়ে বাচ্চা নিয়ে পড়াশুনাতেও বাধা পড়েছে, কোন মতে একটা চাকরি করে সে তখন তার এই দুঃসময় পার করেছিল। তার বেশ কিছুদিন পর একটা রেস্তরায় বসে আছি, দেখি সেনাবাহিনীর একটা জ্বীপ থেকে নামছে হিরো, এর ভেতর তার স্বাস্থ্য প্রায় মাশাল্লাহ তিনগুন হয়েছে, সাথে একটা মেয়ে।

আমার সাথে দেখা হওয়ায় সে হতচকি্‌ত কিন্তু চাল্লু ছেলে ঘাবড়ালো না, বলে নতুন বিয়ে করেছে, জেনারেলের মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ! আমার স্ত্রী সাথে সাথে তার বান্ধবীকে ফোন দিয়ে সব কথা জানালো, তার বান্ধবী মানে হিরোর প্রথম স্ত্রী তো আকাশ থেকে পড়লো এই কথা শুনে, সে কিছু জানেই না এ সম্পর্কে! এনিয়ে নারী মহলে নাকি ব্যপক কাল বৈশাখীর তান্ডব লীলা চলেছিল বলে শুনেছি, আমি মনে মনে বলেছিলাম লাকী ম্যান! তারপর দিন গেল, আমরা ড. কামালের ঘর জামাই তথাকথিত সাম্বাদেক জনৈক বার্গ্ম্যানের সাথে পরিচিত হলাম, রাজাকার গু আ জেলের চাক্কি পিষতে পিষতে অক্কা গেল, বাকী শুয়োরগুলা জাহান্নামবাসী হলো আলহামদুলিল্লাহ! পদ্মা সেতুও হয়ে গেল প্রায়, হঠাত আজকে ইউটিউবে দেখি সেই হিরোর চেহারা, আলহামদুলিল্লাহ তার স্বাস্থ্য এখন আরো ভালো, ভিডিও দেখে চিনতে পাড়লেও একটু দ্বিধা হলো, নানা সূত্রে শিওর হলাম যে হ্যা এটাই সেই হিরো, আলজাজিরার সামী!

বিঃদ্রঃ এইমাত্র এই সামীজ্বীর আরেক স্কুল বন্ধুর পোস্ট থেকে জানতে পারলাম যে সামীজ্বী আসলে এক্স ক্যাডেট নন।

বিঃ বিঃ দ্রঃ এইমাত্র আবার জানলাম যে সামীজ্বী আসলে এক্স ক্যাডেট কিন্তু ক্লাস এইটে তাকে বার করে দেওয়া হয়!! যাক যতটা ৪২০ ওকে ভাবছিলাম ও মনে হয় ততোটা ৪২০ না...।

নিউজ ট্যাগ: আল জাজিরা সামি

আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর