রাশিয়ার আগ্রাসনের
ব্যাপারে এক খোলা চিঠি লিখেছেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা। আবেগঘন সেই
চিঠিতে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন তার জন্য বিশ্বাস করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ওলেনা লিখেছেন,
‘২৪ ফেব্রুয়ারি
আমরা রাশিয়ার আগ্রাসনের ঘোষণায় জেগে উঠলাম। ট্যাংকগুলো ইউক্রেনীয় সীমান্ত পার হলো,
আমাদের আকাশসীমায় বিমানগুলো ঢুকলো, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী যানগুলো আমাদের শহর
ঘিরে ফেলল।
ক্রেমলিন সমর্থিত
প্রোপাগান্ডা চালানো গণমাধ্যমের ‘যারা এটিকে বিশেষ অভিযান’ অভিহিত করেছিল, আশ্বাস সত্ত্বেও এখন ইউক্রেনীয়দের
গণহত্যা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার হামলায়
ইউক্রেনীয় শিশুদের প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে ফার্স্ট লেডি ওলেনার। বিশ্ব গণমাধ্যমের
কাছে লেখা খোলা চিঠিতে তিনি নিহত কয়েকজন ইউক্রেনীয় শিশুর নাম উল্লেখ করেছেন।
ফার্স্ট লেডি
লিখেছেন, ‘৮ বছরের এলিস সড়কেই মারা গেল। তার দাদা তাকে বাঁচানোর
চেষ্টা করেছিল। কিয়েভের পলিনা গোলার আঘাতে বাবা-মার সাথেই মারা গেল।
তিনি বলেছেন,
১৪ বছর বয়সী আর্সেনির মাথায় ধ্বংসাবশেষ আঘাত করেছিল। তাকেও বাঁচানো যায়নি। তীব্র
গোলাবর্ষণের কারণে অ্যাম্বুলেন্স সময় মতো তার কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
‘রাশিয়া যখন বলছে যে, তারা বেসামরিকদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না, তখন আমি হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া এই শিশুদের নাম বলছি।
এদিকে, রাশিয়ার
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
স্ত্রী জেলেনস্কার স্বামীর পরিচালিত একটি কমেডি প্রযোজনা সংস্থার জন্য বিভিন্ন সময়ে
স্ক্রিপ্ট লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইউক্রেনের এই ফার্স্ট লেডি রাশিয়ার সামরিক আক্রমণে
লাখ লাখ মানুষের দেশ ছেড়ে যাওয়া এবং বেসামরিকদের ভোগান্তির চিত্র ফুটে তুলেছেন খোলা
চিঠিতে।
তিনি লিখেছেন,
এই যুদ্ধ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে। আর এটি কেবলমাত্র গোলাবর্ষণের
মধ্যেই সীমিত নেই। জেলেনস্কা বলেছেন, আমাদের সড়কগুলো শরণার্থীতে ভরে গেছে।
‘এই ক্লান্ত নারী এবং শিশুদের চোখের দিকে
তাকিয়ে দেখুন, যারা তাদের প্রিয়জনকে ছেড়ে যাওয়ার ব্যথা এবং হৃদয়ের বেদনা সঙ্কগী
করে দেশ ছাড়ছেন।’
জরুরি চিকিৎসা
পেতে মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেই বিষয়টির কথা উল্লেখ জেলেনস্কা লিখেছেন, বেইজমেন্টে
কারও শরীরে ইনসুলিন দেওয়া অথবা ভারী গোলাবর্ষণের মাঝে শ্বাসকষ্টের ওষুধ নেওয়াটা কী
সহজ?