বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও
করোনা টিকার বুস্টার ডোজের কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক। দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার পর বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে
জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়
সৌদি আরবের ১৫ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের বুস্টার
ডোজ টিকা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি বুস্টার ডোজের
কখনো প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা অবশ্যই দেব। এটা শুধু প্রবাসী নয়, বাংলাদেশেও যখন আমরা
সবাইকে টিকা দিয়ে ফেলতে পারব তখন। মোটামুটি একটা পর্যায় গেলে তখন আমাদের টেকনিক্যাল
কমিটি আছে ওনাদের পরামর্শ অনুযায়ী করা হবে। এক্ষেত্রে যারা ভালনারেবল পপুলেশন তাদের
আমরা আগে দেওয়ার কথা চিন্তা করব। যেভাবে অন্যান্য দেশে শুরু হয়েছে আমরাও সেটা চিন্তা-ভাবনা
করব।’
বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে টিকার উৎপাদনে
সৌদি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিকা তৈরি করার
ব্যাপারে সৌদি সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটা নিয়ে ওনারা ডেলিগেশান পাঠাবে, আমরাও পাঠাব।
আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ওনারা (সৌদি) আমাদের সহযোগিতা করবে এটা ওনারা বলেছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন থাকা
সত্ত্বেও চীনের সিনোফার্মের দুই ডোজ টিকা নিয়েও সৌদি আরবে গিয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের
কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। এ নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান জাহিদ
মালেক।
মন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে আমাদের
যে রাষ্ট্রদূত আজকেও তার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমাদের যারা এখান থেকে যায় সিনোফার্মের
টিকা নিয়ে গেলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। অন্য টিকা নিলে থাকতে হচ্ছে না। আমরা
ওনাদের বললাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব টিকার অনুমোদন দিয়েছে সেগুলো যেন সৌদি অনুমতি
দেয়। এটার বিষয়ে তারা আলাপ করছে, এটা তারা দেবে। কিন্তু না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের সৌদি
সরকারের নিয়ম মেনেই সেখানে যেতে হবে। আমাদের চেষ্টা চলছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি
আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের
দূতাবাস থেকেও সহযোগিতা করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সরকার ২১ কোটি টিকা কিনেছে, যার মধ্যে ১১ কোটি হাতে পেয়েছি। সাড়ে আট কোটির বেশি টিকা দিয়েছি। প্রতিদিন ১৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা নিয়ে সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ভালনারেবল লোকজনকে টিকা প্রায় দেওয়া হয়েছে।