আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানা বর্ষণ, জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ডুবে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ২৫ গ্রাম। এসব গ্রামের সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা কিংবা অর্ধপাকা রাস্তাঘাট ডুবে রয়েছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রাম গুলো হচ্ছে- রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রাম, গহিরা গ্রাম, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের পূর্ব ও মধ্যম জুঁইদন্ডী গ্রাম, চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া, রুদুরা, কেয়াগড়, সিংহরা, বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ, পূর্ব বারখাইন, পরৈকোড়া ইউনিয়নে ওষখাইন, মামুরখাইন, তাতুয়া, শিলালিয়া, মাহাতা, পূর্বকন্যারা, দেওতলা, ভিংরোল, কৈইখাইন, পাঠনীকোঠা, পরৈকোড়া, তালসরা, বাতুয়াপাড়া, চেনামতি, তিশরী, হাইলধর ইউনিয়নের ইছাখালী, তেকোটা, কিশরী, মালঘরগ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শত শত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে জলাবদ্ধতার ফলে কৃষকের আমনের বীজ তলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের মাঠ পানিতে ডুবে আছে। অনেক জায়গায় ভেসে গেছে পুকুর, মাছের ঘেরসহ বিভিন্ন জলাশয়ের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের দোকানপাট, কাঁচা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, গবাদি পশুর খাবার, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন গ্রামের বাসিন্দা শাহাজাদা ইমাম উদ্দীন রজায়ী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছি। বাড়ির চারপাশে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও যেতে পারছিনা।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া ১৫ টন চাল, শুকনো খাবার, স্যালাইন ও ওষুধসামগ্রী উপজেলার ১১ ইউনিয়নে বিতরণ করেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেছি মানুষের খোঁজ-খবর রাখতে। দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।