চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৃহত্তম চাতরী চৌমুহনী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। আগুনে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা, রেস্টুরেন্টসহ ১০টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেলসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, গত
রাত ১২টার দিকে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের নিচে একটি চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর
পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকান ও তিনতলা ভবনে। এই ভবনে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে ও বেসরকারি
এবি ব্যাংক লিমিটেডের একটি শাখাও রয়েছে। এ ছাড়া নিচে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, স্বর্ণের
দোকানসহ ২০টি দোকান রয়েছে। আগুনে ১০টি দোকান সম্পূর্ণ ও ১০টি দোকান আংশিক ক্ষতি হয়।
এদিকে আগুন
লাগার পর নিয়ন্ত্রণে প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে ফায়ার সার্ভিসের আনোয়ারা, সিইউএফএল, পটিয়া
ও বাঁশখালীর পাঁচটি ইউনিট কাজ করে। এ সময় এবি ব্যাংকের নৈশপ্রহরীকে অনেক চেষ্টার পর
জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আগুনে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে
ও এবি ব্যাংক ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন মো. মোজাম্মেল, নাছির উদ্দিন, আবদুল
জলিল মো. দিদার, ফারুক সাওদাগর, মো. কায়সার, মো. শাহেদ ও মো. মনির।
ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের
ম্যানেজার মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আগুন দেখতে পেয়ে আমরা প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করি।
কিন্তু যে দোকানে আগুন লাগে, ওই দোকানের তালা ভাঙার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কোনোরকম
আমরা দোকান কর্মচারীরা বেরিয়ে পড়ি। আগুনে আনুমানিক ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এবি ব্যাংকের
ম্যানেজার মো. ফারহান বলেন, আগুনে ব্যাংকের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার তদন্ত চলছে।
আনোয়ারা ফায়ার
সার্ভিসের ইনচার্জ বেলাল হোসেন বলেন, আগুনের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি টিম তিন
ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে তদন্ত চলছে।