আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। গণতন্ত্রের
গুরুত্ব চিহ্নিত করতে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির
জন্য প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।
২০০৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রচলিত একটি বিশেষ দিন পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এর পর থেকেই প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- গণতন্ত্র, শান্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব।
এ বছর দিবসটিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার
ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস একটি
ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র হলো এমন একটি ধারণা যা আমাদেরকে
একটি মুক্ত, ন্যায্য এবং আদর্শ সমাজ গঠন করতে দেয়, যেখানে একটি নিরাপদ এবং সুখী স্থান
গঠন করে প্রত্যেকে সমান হিসাবে বিবেচিত হতে এবং একে অপরের সাথে একত্রিত হয়ে বসবাস করতে
চায়। বিশ্বে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার সাথে সাথে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের গুরুত্ব বোঝা
যায় এবং এ কারণেই আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক
গণতন্ত্র দিবসের বার্তায় বলেন, এবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের ১৫তম বার্ষিকী চলছে।
তবুও সারা বিশ্বে গণতন্ত্র পিছিয়ে যাচ্ছে। নাগরিক অধিকার সংকুচিত হচ্ছে। অবিশ্বাস
ও অপতৎপরতা বাড়ছে। আর মেরুকরণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুন্ন করছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র, উন্নয়ন
এবং মানবাধিকার যে পরস্পর নির্ভরশীল এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালীকরণের এখনই সময়। এখনই
সময় সাম্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সংহতির গণতান্ত্রিক নীতির পক্ষে দাঁড়ানোর।
ইউনেস্কোর প্রতিবেদন বলছে, গত ৫ বছরে বিশ্বের
জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ মানুষ তাদের দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হ্রাস পেতে দেখেছে। অনলাইন
অফলাইনে দু’ভাবেই গোটা বিশ্বেই গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ বেড়েছে।