Logo
শিরোনাম

আপাতত শ্রীলঙ্কার জন্য অন্য কিছু ভাবা যাচ্ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বের ১৮০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ শ্রীলঙ্কার আর্থিক ঋণদাতাদের কাছে দেশটির ঋণ মওকুফের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে, অনেক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত নন যে, এই পন্থাটি দ্বীপরাষ্ট্রটির এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায়। কিন্তু আপাতত শ্রীলঙ্কার জন্য অন্য কিছু ভাবাও যাচ্ছে না।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে চীনের কাছ থেকে পেয়েছে ৫২ শতাংশ, জাপানের কাছ থেকে ১৯ শতাংশ এবং ভারত দিয়েছে ১২ শতাংশ। কলম্বো গত বছরের এপ্রিলে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তবে আইএমএফ ততক্ষণ ঋণ দেবে না, যতক্ষণ না তারা মনে করছে যে, দ্বীপদেশটির ঋণ শোধ করার সক্ষমতা রয়েছে।

বহুল বিক্রীত বই ক্যাপিটাল-এর লেখক থমাস পিকেটি জানিয়েছেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ দানি রডরিক, ভারতীয় অর্থনীতিবিদ জয়তি ঘোষসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে সমস্ত বৈদেশিক ঋণদাতাদের দ্বারা শ্রীলঙ্কার ঋণ মওকুফ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যায্য ঋণ এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্যের অবসান ঘটনোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন-ডেট জাস্টিস-এর ক্যাম্পেইনে ওই বিবৃতি প্রকাশ করেন তারা।

বিবৃতিতে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, যেহেতু বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের উচ্চ সুদে ঋণ দিয়েছে, তাই ঋণ মওকুফ করে বিনিয়োগকারীদের পরিণতি ভোগ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা শ্রীলঙ্কার ঋণ খেলাপিতে অবদান রাখার জন্য প্রথমেই বেসরকারি ঋণদাতাদের অভিযুক্ত করেছেন। কারণ, তারা ঋণ দেওয়ার জন্য প্রিমিয়াম চার্জ করে একটি বিশাল মুনাফা লাভ করেছে। বেসরকারি ঋণদাতারা যেহেতু উচ্চ রিটার্ন থেকে উপকৃত হয়েছে, তাই অবশ্যই তাদের কর্মের পরিণাম মেনে নিতে ইচ্ছুক হতেই হবে। তাদের ঋণ বাতিল করা যেতে পারে বা বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। তবে সবাই এই পরামর্শের সঙ্গে একমত নন।

শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ডব্লিউএ উইজেবর্ধনে বলেছেন, ঋণ মওকুফের পরিকল্পনাটি বাস্তবিকভাবে চলতে থাকলে, এটি বর্তমান বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে পতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেছেন, এটিকে সমালোচনামূলকভাবে মূল্যায়ন করা দরকার। কারণ, যদি এই সুযোগ শ্রীলঙ্কার জন্য গৃহীত হয়, তবে তা মূলত একটি নতুন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নীলনকশা প্রদান করবে। বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরস্পর নির্ভরশীল, আন্তঃসংযুক্ত। এটা ভেঙে পড়লে পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনি ভাবতে পারবেন না এরপর কী হবে। ধার করা অর্থ শাসকদের দ্বারা নষ্ট হয়েছে। তা থেকে জনগণ উপকৃত হয়নি। সেই শাসকদের ক্ষতির জন্য জবাবদিহি করা উচিত। তাদের অপরাধের জন্য তাদের বিচার করা উচিত। ঋণ মওকুফ করলে জনগণের নয় বরং দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারী নেতাদের উপকার হবে।

দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতাদের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, দুই দিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে বলেছিলেন, নয়াদিল্লি শ্রীলঙ্কার এগিয়ে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করার জন্য আইএমএফকে অর্থায়নের আশ্বাস বাড়িয়েছে।

তবে, সক্রিয় ঋণদাতা হিসেবে ঋণ মওকুফের অনুরোধ চীনের মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, তাহলে একই ধরনের দাবি উন্নয়নশীল বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে আসতে পারে। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক নীতিবিষয়ক থিঙ্ক ট্যাংক অ্যাডভোকাটা ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ধননাথ ফার্নান্দো বলেছেন, যখন আপনি একটি দেশকে ঋণ থেকে মুক্তির অফার করেন, তখন অন্য দেশগুলোও একই মুক্তি পেতে চাইবে। তদুপরি, যেকোনো দেশের করদাতারা অন্য কোনো দেশে দেওয়া ঋণ সম্পূর্ণভাবে মওকুফ করে দিলে খুশি হবেন না। এটাই বাস্তবতা।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, চীন এখনও একটি উন্নয়নশীল দেশ, তাই তারা ঋণ ফেরত পাওয়ার আশা করে। তবে, চীন সুদের হার হ্রাস বা মওকুফ করে সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে। ঋণ মওকুফের আহ্বানকে অবাস্তব বলে প্রত্যাখ্যান করে ফার্নান্দো বলেছেন, পাওনাদারদের শেষ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের কিস্তির পরিমাণ কমানো, কুপন ক্লিপিং, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো- এই তিনটি পদক্ষেপের সমন্বয়কে ভাবতে হবে। তবে, ঋণ মওকুফের বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি জাপান ও ভারত।

নিউজ ট্যাগ: শ্রীলঙ্কা

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




আমরা আর হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা একদিনে ৫০০ বোমা দেখতে চাই না। আমরা আর কোনও হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। আমরা দেখতে চাই একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন। আজ শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি এসময় আরও বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন- এ জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

সাড়ে চার বছর পর প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ গিয়ে আজ ৭৩টি নবনির্মিত প্রকল্পের দ্বার উন্মোচন করবেন। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এই নগরীকে পূর্ণতা দিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আরও ৩০টি প্রকল্পের। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৩২ উপজেলার সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন। কমপক্ষে ২১টি স্কুল-কলেজে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন একাডেমিক ভবন।

আর এসব নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে ময়মনসিংহের প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন অনেক উপহার নিয়ে। আগেও দিয়েছেন, এবারও দেবেন। সবার মুখে হাসি ফোটাবেন তিনি। ময়মনসিংহবাসীরও এবার কিছু দেওয়ার পালা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ময়মনসিংহ প্রস্তুত।

সরকার প্রধানের আগমন উপলক্ষে পুরো ময়মনসিংহ ঝকঝকে-তকতকে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠের সব কাজ শেষ হয়েছে। ওই এলাকা ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

শুধু সমাবেশস্থলেই নয়, গোটা ময়মনসিংহ নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছেন বিপুল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, মঞ্চের কাজ শেষ হয়েছে। যারা আসবেন তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সমাবেশ সুন্দর ও সার্থক হবে।

সার্কিট হাউস মাঠের জনসভায় ১২ লাখের বেশি জনসমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন নেতারা। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, আশা করছি এই মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না। মাঠ ভর্তি হয়ে ময়মনসিংহ শহরের রাস্তাঘাটও পূর্ণ হয়ে যাবে। এটি হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা। এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




আদানির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেটা দেশ বিরোধী: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ২৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আদানির সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছে সেটা দেশবিরোধী, জনগণবিরোধী, অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২এ একটি হোটেলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। মহা বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ খাত : গভীর খাদে অর্থনীতি শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনাটির আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ঠিক করে নিয়েছে বিদ্যুৎখাত থেকে সবচেয়ে বেশি চুরি করবে। তারা যা করে সেটা পরিকল্পিতভাবেই করে। তারা ক্ষমতায় এসে বলতে শুরু করল বিদ্যুৎখাতে বিএনপি সরকার কিছুই করেনি। শুধু খাম্বা তৈরি করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বলে জায়েজ করল তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট জায়েজ করার জন্য তারা এসব প্রপাগাণ্ডা শুরু করল।

আদানির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে পুরো বিষয়টি তারা (সরকার) গোপন রেখেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, লুট আর লুট, এখানে আর কিছু নেই। এটাকে (লুট) ঠেকানোর জন্য, বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে হবে। সিভিল সোসাইটিকে এগিয়ে আসতে হবে, ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া আমাদের বাঁচার কোনো পথ নেই।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী হাসিন আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকৌশলী কে.এম আসাদুজ্জামান চুন্নু। গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।

এছাড়া বক্তব্য দেন, বিএনপির সহস্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, বাংলাদেশ পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব ও ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।


আরও খবর



৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রয়েছে ৪৪টি নবনির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প ও ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।

এর আগে, নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভায় যোগ দিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আজ শনিবার সকাল ১০টা ২৫মিনিটে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন তিনি।

এর আগে, শনিবার ভোর থেকেই কোটালীপাড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে সমবেত হতে থাকেন। সকাল ৯টার মধ্যে জনসভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।

রঙ বেরঙের ব্যানার নিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ জনসভায় যোগ দিচ্ছেন। বাসন্তী রংয়ের শাড়ী ও সাদা টি-শার্ট পরে মিছিল নিয়ে নারী পুরুষদের জনসভাস্থলে আসার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো।

দীর্ঘ চার বছর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় আসছেন। এখানে বসে তিনি ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে জনসভায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রবিবার চান্দিনা থানার অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) তাপস দাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদসহ কুমিল্লা উত্তর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির ৩৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৭০ জনকে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার দড়ানিপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখানে পুলিশি বাধায় স্থান ত্যাগ করে মহাসড়কের চান্দিনা-মুরাদনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোমতা এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানেও বাধা পেয়ে দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুটুম্বপুর-খাদঘর এলাকা থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী পদযাত্রা শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ।

এদিকে, দফায় দফায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ক্ষিপ্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ধস্তা-ধস্তি শুরু করলে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে। এতে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের কেউ রাবার বুলেটে, কেউ পুলিশের লাঠিচার্জে আবার কেউবা কালভার্ট থেকে লাফিয়ে পড়ে ও পদদলিত হয়ে আহত হন।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বিষয়টি নিয়ে বলেন, সরকারি কাজে বাধা, মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বহনের অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। ঘটনার সাথে আরও কারা জড়িত সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



টেক্সাসে ছোট বোনের গুলিতে বড় বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ৪৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে দুর্ঘটনাক্রমে তিন বছর বয়সী ছোট বোনের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তারই চার বছর বয়সী বড় বোনের। হ্যান্ডগান দিয়ে দুর্ঘটনাক্রমে চালানো এই গুলিতে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। যদিও এই ঘটনার সময় ওই দুই শিশুর বাড়িতে তাদের বাবা-মাসহ পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন শহরের কাছে। সোমবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের হিউস্টনের কাছে তিন বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু দুর্ঘটনাক্রমে তার চার বছর বয়সী বোনকে হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও ওই ঘটনার সময় তাদের বাড়িতে বাবা-মাসহ পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উপস্থিত ছিল।

হ্যারিস কাউন্টি শেরিফ এড গঞ্জালেস স্থানীয় সময় গত রোববার গভীর রাতে গুলির ঘটনা সম্পর্কে বলেন, তিন বছর বয়সী ওই শিশু গুলি-ভর্তি আধা-স্বয়ংক্রিয় একটি পিস্তল হাতে পেয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ একটি গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে বেডরুমে দৌড়ে যান এবং মেঝেতে চার বছর বয়সী মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখেন।

গঞ্জালেস জোর দিয়ে বলেন, ছোট ওই শিশুটি অনিচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালিয়েছিল বলে মনে হয়েছে। তিনি এটিকে দুঃখজনক ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ মার্কিন পরিবারের কাছে বন্দুক রয়েছে এবং এগুলোর বেশিরভাগই এমন পরিবার যেখানে শিশুরাও রয়েছে।

তবে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে যত পরিবারের বন্দুক রয়েছে তার অর্ধেকেরও কম পরিবার সেগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করে থাকে।

এএফপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গত বছর ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষের আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩