Logo
শিরোনাম

আসল ডিবির জ্যাকেটে থাকবে ‘কিউআর কোড'

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ৯৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

হঠাৎ করেই ডিবি লেখা জ্যাকেট গায়ে একদল লোক কারও বাড়িতে হাজির। আসল না নকল ডিবি, এটা বুঝে ওঠার আগেই ঘরে ঢুকে পড়ছে বা কাউকে ধরে গাড়িতে তুলে নিচ্ছে। আবার ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পর গাড়িতে তুলে নিচ্ছে ডিবির জ্যাকেট গায়ে থাকা ঐ লোকগুলো। এরপর ডিবি অফিসে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে জানা যাচ্ছে, এরা আসল নয়, নকল ডিবি। ফলে কে আসল, আর কে নকল সেটা এখন থেকে নিশ্চিত হতে পারবেন যে কেউ।

কারণ ডিবি সদস্যদের গায়ে যে জ্যাকেট থাকবে, সেখানে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড। হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে যে কেউ স্ক্যান করলেই নিশ্চিত হতে পারবেন তিনি আসল না নকল। স্ক্যান করার সঙ্গে সঙ্গেই আসল ডিবির পুরো পরিচয় স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। কিউআর কোড যুক্ত জ্যাকেট ছাড়া কোনো ডিবি সদস্য অভিযানে যেতে পারবেন না, এমন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভুয়া ডিবির তত্পরতা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা মিলবে। পাশাপাশি বদলে ফেলা হচ্ছে ডিবির জ্যাকেটও। খুব শিগগিরই এই পোশাক চালু হবে।

সম্প্রতি ভুয়া ডিবির তত্পরতা বেশ বেড়েছে। এই ভুয়া ডিবি সদস্যদের গায়েও থাকছে ডিবি লেখা জ্যাকেট। ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধীরা ডিবির মতো হুবহু জ্যাকেট তৈরি করে অপরাধ করছে। জ্যাকেটগুলো বানানো খুবই সহজ। শুধু একটি ছাপ দিয়েই প্রতারকরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সব দায়দায়িত্ব আসে ডিবির কাঁধে। ডিবির জ্যাকেট পরে কাজ করলে থানাপুলিশও মনে করে তারা ডিবি। আমরা তদন্ত করে দেখেছি বাইরের লোকজন ব্যাপকহারে ডিবির জ্যাকেট ব্যবহার করে। এই কারণেই আসল আর নকল চিহ্নিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অনেকে হারিয়ে যাচ্ছেন, তাদের ধরা হচ্ছে ডিবি লেখা জ্যাকেট গায়ে। ফলে মানুষের মধ্যে ডিবি নিয়ে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হচ্ছে। অনেক অপরাধীও এই সুযোগ নিয়ে অপরাধ করে যাচ্ছে।

ডিবির দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, বর্তমানে ডিবি পুলিশ যে পোশাক পরে অভিযানে যাচ্ছে তা অনেক প্রতারক চক্র বাইরে থেকে তৈরি করে নিরীহ মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। যাতে কেউ এভাবে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য নতুন পোশাক নিয়ে আসা হচ্ছে। কিউআর কোড ছাড়াও পোশাকে এমন কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্হা থাকছে যার কারণে সহজে জালিয়াতি করা সম্ভব হবে না। শিগগিরই এই পোশাক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মধ্যে সরবরাহ করার চেষ্টা হচ্ছে।

অপহরণ, ছিনতাইসহ যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক তত্পরতা ঠেকাতে সাদা পোশাকে অভিযানে না যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের। শৃঙ্খলা বাহিনীতে সাদা পোশাক বলতে বোঝায় ইউনিফর্ম ছাড়া অন্য যে কোনো ধরনের সাধারণ পোশাক। বিভিন্ন সময় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের অপারেশনাল অভিযান চালানোর ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হয়। দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুলিশ ছাড়া অন্য কোনো বাহিনীকে সাদা পোশাকে অভিযান চালাতে দেখলে পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। এ ছাড়া মাইক্রোবাসে অস্বচ্ছ কাঁচ ব্যবহারও বন্ধ করতে হবে।

গত বছরের জুলাইয়ে রাজধানীর বসিলা এলাকা থেকে এমনই একটি চক্রের চার জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতার চার জন ডিবির ভুয়া পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে বেড়াত। সুবিধাজনক নির্জন স্হানে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি থামিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থাকা সব লুট করে নিত তারা। অক্টোবরে যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজার সামনে ডাকাতির প্রস্ত্ততি নিচ্ছিল তিন ডাকাত। তাদের গায়ে ছিল ডিবি লেখা জ্যাকেট। আর সাদা একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ফেনীর দাগনভূঞায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ২৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তাদের সাধারণ পোশাকের ওপর একটি হাতাকাটা জ্যাকেট পরেন। সেটির সামনের দিকে ডানে ইংরেজিতে ডিবি’ লেখা থাকে। বামে থাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লোগো। পেছনে ইংরেজিতে কেবলই ডিবি, ডিএমপি’ লেখা থাকে। এখন যে নতুন পোশাক তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে বুকের ওপরই থাকবে কিউআর কোড। পোশাক তৈরিতে এমন কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে, যা শীত ও গরম উভয় ঋতুতে আরামদায়ক। এছাড়া পোশাকে এক ধরনের বিশেষ রং থাকবে, যার বিচ্ছুরণ থেকে আসল-নকল পুলিশের পার্থক্য ধরা যাবে। এমনকি বিশেষ ধরনের কাপড় দিয়ে এই পোশাক তৈরি করা হচ্ছে, যেন এই কাপড়টি সাধারণ তো বাজারে পাওয়া না যায়।

এসব ভুয়া ডিবি অনেক সময় হ্যান্ডকাফও ব্যবহার করছে। তারা হ্যান্ডকাফ পাচ্ছে কোথায়? ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, হ্যান্ডকাফ বাইরে পাওয়ার কথা নয়। আমাদের থেকে কিছু জিনিস খোয়া যায়। যারা অপরাধী তারা যে কোনোভাবে হ্যান্ডকাফ ম্যানেজ করে। অনেক সময় তাদের হাতে ওয়াকিটকি থাকে। এসব জিনিস দেখিয়ে অপরাধীরা প্রতারণা করে। মূলত প্রতারণা করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। অনেক সময় ডিবি পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। সাধারণ মানুষ মনে করছে ডিবিই এসব অপরাধ করছে, কিন্তু আমরা (ডিবি) এসব কাজ করি না। আমরা গত এক মাসে অনেকগুলো ভুয়া ডিবির টিম গ্রেফতার করেছি।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর