প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার দেয়া যেসব ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা সরকারি খরচে মেরামত বা পুনর্নির্মাণ
করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার
(৮ জুলাই) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা
ও পরিকল্পনায় গৃহহীনদের জন্য বিনামূল্যে গৃহনির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জাতির পিতার স্বপ্নের
সোনার বাংলা তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রসরমান সংগ্রামের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিকভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ
করেছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যা
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের উন্নয়ন নীতি থেকে উৎসারিত হয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন
নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর এসব উদ্যোগ ইতিহাসের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত
হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন,
নাগরিকের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে
সরকার প্রায় এক কোটি ২০ হাজার গৃহহীন মানুষকে বাড়ি উপহার দিয়েছেন।
প্রায় এক লাখ
২০ হাজার বাড়ির মধ্যে ২৪টি স্থানের নির্মাণকাজের ত্রুটি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, যা বাস্তবায়িত
প্রকল্পের ০.২৫ ভাগ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রুটিপূর্ণ যে ০.২৫ ভাগ স্থাপনা চিহ্নিত
হয়েছে তা সরকারি খরচে মেরামত এবং প্রয়োজনে পুনর্নির্মাণ করা হবে।
ওবায়দুল কাদের
বলেন, এসব গৃহ সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে খাসজমিসহ তুলনামূলক
নিচু স্থানে হওয়ায় স্থাপনাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পরও বিশাল কর্মযজ্ঞের হিসাবের
খাতায় ক্ষুদ্র অংশে ত্রুটি দেখা দিলেও যারা এ ত্রুটির জন্য দায়ী এবং দায়িত্বে অবহেলা
ও অনিয়মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কোনো ছাড় দেয়া হবে
না।
ওবায়দুল কাদের
আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের
বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
একটি মহৎ উদ্যোগ এবং গভীর আবেগ ও ভালোবাসার কর্মসূচি বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রীর
ঘোষণা অনুযায়ী সব গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি
অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু সরকারের এ মহৎ
কার্যক্রম যখন দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের
বিরাট একটি জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন একটি মতলবি মহল
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপতৎপরতায় মেতে উঠেছে।