Logo
শিরোনাম

আতশবাজির ঝলকানিতে মেতে উঠেছে পুরান ঢাকাবাসী

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ২৯৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সাকরাইন উৎসবে মেতে উঠেছে পুরান ঢাকাবাসী। বর্ণিল আলোকসজ্জার সাথে চোখ ধাঁধানো আতশবাজির ঝলকানিতে ছেয়ে গেছে পুরো আকাশ। ছোট-বড় সকলে মিলে উদযাপন করছে ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন বা পৌষসংক্রান্তি উৎসব।

শনিবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এবং অলিগলি ঘুরে সাকরাইন উৎসবের এসব চিত্র দেখা যায়। সন্ধ্যার পরপরই সকল বয়সী মানুষ মেতে উঠেন সাকরাইন উদযাপনে।

সাকরাইন উপলক্ষে সকাল থেকেই সাজ রব সৃষ্টি হয়েছে অলিগলিতে। পুরান ঢাকার প্রতিটি বাসা বাড়ির ছাদ সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। চারদিকে উচ্চ স্বরে বাজানো হচ্ছে গান বাজনা। ফুটানো হচ্ছে আতশবাজি। প্রতিবারের ন্যায় এবারে ছিল আগুনের খেলা। সেই সঙ্গে রয়েছে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের সাথে ডিজে পার্টির আয়োজন। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠা তৈরির ধুম। পরিবারের সকল সদস্য নতুন পোশাক পরিধান করে উদযাপন করছে সাকরাইন উৎসব।

এছাড়াও অনেক ছাদে পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সন্ধ্যার পরপরই বৈচিত্র্য আলোকসজ্জার সাথে আকাশে উড়েছে শত শত ফানুস।

এদিকে পুরান ঢাকার অলিগলি রূপ নিয়েছে উৎসবের আমেজে। নানান বয়সের যুবক -যুবতী সেজেগুজে বাহারি অলংকার পরিধান করে সহপাঠীদের নিয়ে যাচ্ছে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। অনেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছেন নিজেদের মতো সময় কাটানোর জন্য।

নিউজ ট্যাগ: সাকরাইন উৎসব

আরও খবর



মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে সেনাবাহিনীর হামলা, নিহত ৩০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী শান রাজ্যের এক মঠে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।

কারেনি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) জানিয়েছে, সেনারা শনিবার নান নেইন গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, দুই বছর আগে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের ঘটনা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র কিছু লড়াই হয়েছে শান রাজ্যে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাজ্যটির সীমান্ত আছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

কেএনডিএফ জানিয়েছে, গোলাবর্ষণের পর শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে জান্তার বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে এবং মঠে লুকিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের খুঁজে বের করে এনে হত্যা করে।

তারা অন্তত ৩০ বেসামরিক ও তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করেছে বলে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদপত্র কান্তারাওয়াদ্দি টাইমসের প্রতিবেদনে দেওয়া উদ্ধৃতিতে কেএনডিএফ এর মুখপাত্র বলেছেন, সামরিক বাহিনীর তাদের মঠের সামনে এনে লাইন ধরে দাঁড়াতে বাধ্য করে তারপর ভিক্ষুদেরসহ সবাইকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।

কেএনডিএফ এর এক ভিডিওতে অন্তত ২০টি মৃতদেহ দেখা গেছে। লাশগুলো মঠের পাশে স্তূপ করে রাখা ছিল। নিহতদের কয়েকজনের পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ব্যবহৃত কমলা রঙের পিরান দেখা গেছে।

মৃতদেহগুলোর শরীরে বন্দুকের গুলির আঘাতের মতো অনেক চিহ্ন দেখা গেছে। ভিডিওতে মঠের দেয়ালে গুলির আঘাতে তৈরি হওয়া গর্তও দেখা গেছে।

মঠের চারপাশের কয়েকটি ভবন ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এগুলো গ্রামটিতে সামরিক বাহিনীর হামলার নজির বলে জানিয়েছে কেএনডিএফ।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর যে বাহিনীগুলো যোগ দিয়েছে কেএনডিএফ তাদের মধ্যে একটি।

বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত যাচাই করা কঠিন হলেও মিয়ানমারের এই অংশে নিরস্ত্র বেসামরিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বর্বরতার ঘটনা নতুন নয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল প্রতিরোধের কিছু ঘটনা ঘটেছে।

ওই এলাকার অন্যান্য গ্রামে সামরিক বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার চলতি বছর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছে। এটি তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু বৈধতা এনে দেবে বলে মনে করছে তারা।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা সত্ত্বেও তাদের শাসনের বিরোধীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা, এতে নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধ ২০২১ এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরও ছড়িয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এসব লড়াইয়ের ঘটনায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৪০ হাজার বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ৮০ লাখ শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি লোক খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আছেন।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে জান্তার দমনপীড়নে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী অ্যসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স গোষ্ঠী জানিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হত্যা বৌদ্ধ মঠ

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




আমরা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষা আদায় করেছি : তোফায়েল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন একমাত্র বাংলাদেশই ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা গর্বিত জাতি। রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার আদায় করেছি। এ সময় ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুসসহ অন্য নেতারা।

নিউজ ট্যাগ: তোফায়েল আহমেদ

আরও খবর



৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে একক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটি জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দল, সব জায়গায় আমাদের লোক আছে এবং আমরা সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের রাজনীতি এবং সংগঠন এই দুটিকে আমরা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি একক নির্বাচন করার জন্য।

শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন উপলক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, আমাদের দেশের মানুষের জন্য চিকিৎসক নেই। সাধারণ মানুষের বাঁচার যে একটা অধিকার সেটিও তারা হারিয়ে ফেলেছেন। চিকিৎসা সুবিধার উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি উচ্চ শ্রেণির জন্য। সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

এ সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রমজান আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়, চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক, সমাজসেবা কর্মকর্তা এরশাদ আলী, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান লিমন, সদর উপজেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব আলী, পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ।


আরও খবর



শুকিয়ে যাচ্ছে ভেনিসের খাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইতালির বলতে গেলে গোটা বিশ্বের অন্যতম পর্যটকমুখর শহর হচ্ছে ভেনিস। শহরজুড়ে ছোট ছোট খাল। আর সেই খাল পাড়ি দিতে হতো গন্ডোলায় চড়ে। গন্ডোলা একটি ঐতিহ্যবাহী সরু ও লম্বা ভেনিসিয়ান দাঁড়টানা নৌকা। কিন্তু পানি অভাবে গন্ডোলায় চড়া কঠিন হয়ে গেছে। ওয়াটার ট্যাক্সি ও ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সও চলা দায়।

 

শীতে শুষ্ক আবহাওয়া ও তুষারপাত কম হওয়ায় জৌলুস হারিয়েছে ইতালির ভেনিস নগরীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খালগুলো। বিজ্ঞানী ও পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা আভাস দিচ্ছেন, গ্রীষ্মের জরুরি অবস্থার পর আরও একটি খরার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে ইতালি। এমন পরিস্থিতির কারণ ধরা হচ্ছে ভূমধ্যসাগরে উচ্চচাপ, যার প্রভাবে বৃষ্টি কম হচ্ছে এবং ভাটা প্রলম্বিত হচ্ছে।

 

ইতালির নদী ও হ্রদগুলো জলের অভাবে ভুগছে। লেগাম্বিয়েন্টে পরিবেশবিষয়ক গ্রুপটি দেশের উত্তর দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার কথা জানায়। তারা এক বিবৃতিতে বলে, ইতালির দীর্ঘতম নদী পো, যা উত্তর-পশ্চিমে আল্পস থেকে অ্যাড্রিয়াটিক পর্যন্ত বয়ে চলেছে। বছরের এ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬১ শতাংশ কম জল রয়েছে সেখানে। ৭০ বছরের মধ্যে গতবছর সবচেয়ে বেশি খরার সম্মুখীন হয় ইতালি। সেবছর জুলাইয়ে পো-এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোর জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এটি দেশের কৃষি উৎপাদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী।

 

ইতালির বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইনস্টিটিউট সিএনআর-এর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ম্যাসিমিলিয়ানো পাসকুই, বলেন আমরা একটি জলের ঘাটতি পরিস্থিতিতে রয়েছি যা ২০২০ থেকে ২০২১ সালের শীতকাল থেকে শুরু হয়েছে। আমাদের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টি পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমাদের ৫০ দিনের বৃষ্টিও দরকার।

 

গত ১৫ দিনব্যাপী পশ্চিম ইউরোপের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছে বায়ুমন্ডলীয় একটি উচ্চচাপ। এর কারণে মৃদু তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে, যেটি বসন্তের শেষ দিকে দেখা যায়। উত্তর ইতালির গারদা হ্রদে পানির স্তর রেকর্ড পরিমাণে নেমে গেছে। তবে সম্প্রতি আবহাওয়ার পূর্বাভাস অবশ্য আগামী দিনে আল্পস পর্বতমালায় অতি প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের ইঙ্গিত দিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ইতালির ভেনিস

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পতিত জমিতে শখের বশে নার্সারি বাগান করে বেশ সফলতা পেয়েছেন মনির হোসেন। তার বাগানে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফুল-ফল ও বনজ-ভেষজ গাছ। নার্সারিতে প্রতিমাসে যাবতীয় খরচ বাদে তার আয় হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।

 

মনির হোসেনের নার্সারিতে ভালো মানের চারা হওয়ায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।  তার এ সফলতায় ফুল-ফলের বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখানে দেখতে এসে পরামর্শ নিচ্ছেন। এ কারণে ক্রেতার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

 

তার নার্সারিতে রয়েছে- লাল গোলাপ, সাদা গোলাপ, কালো গোলাপ, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, ডায়মন্ড, ডালিয়া, হাসনাহেনা, গাঁদা, বেলি, কামিনী, গাজরা, রায়বেলী, জিনিয়া, দোপাটি, জিপসি পামটি, মানি প্যান্ট, রক্ত পরোবি, হলুদ এ্যালমন্ডা, বেগুনি এ্যালমন্ডা, এ্যারিকাপাম, সিঙ্গোনিয়াম, বেবি টিয়ারস, , রঙ্গন, শেফালি ফুল, কাঠগোলাপ, দোলনচাঁপা, পর্তুলিকা, রেইন লিলি, ইন্ডোর প্যান্ট ইত্যাদি। ফলের চারার মধ্যে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কামরাঙ্গা, বেল, জামরুল, আপেল, কমলা মাল্টা, লিচু, পেঁপে, আনাড় ইত্যাদি। তাছাড়া বেলজিয়াম, আকাশি, মেহগনি, শিলকড়ুই জামসহ রয়েছে নানা প্রকারের চারা।

 

মনির হোসেন বলেন, ছোট বেলা থেকেই গাছ ও প্রকৃতির প্রতি ছিল তার ভালোবাসা। ইউটিউব দেখে দেশি-বিদেশি চারা লাগানো ও পরিচর্যা সম্পর্কে ধারণা নিই। এরপর রামধননগর এলাকাসহ পৃথক দুই স্থানে প্রায় ৭০ শতাংশ দুটি জায়গা ভাড়া নিয়ে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফুল-ফল আর বনজ-ভেষজ গাছের বাগান গড়ে তুলেছি।  ঢাকা, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ওইসব নানা প্রজাতির ফল-ফুল, ভেষজ ও বনজ গাছের চারা সংগ্রহ করেছি। আমার এবাগানে পরিবারের লোকজনের সহযোগিতার পাশাপাশি দৈনিক মজুরিতে ৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তিনি আরও জানান, তার এ বাগানে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকার ওপর চারা বিক্রি হচ্ছে। যাবতীয় খরচ বাদে তার আয় হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।

 

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা বলেন আখাউড়ার মনির হোসেনের নার্সারি বেশ সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি বিভাগ নিয়মিত তার নার্সারিকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আরও খবর

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফাল্গুন মাসে ফসলের যত্নে যা করবেন

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩