বাদামের কথা বললে
প্রথমে মাথায় আসে বিকেলবেলায় বাদাম খেতে খেতে তুমুল আড্ডায় মাতা। তবে আমাদের সবারেই
একটি ভুল ধারণা আছে বাদাম নিয়ে আর সেটি হলো বাদাম খেলেই নাকি ওজন বাড়ে? আসলে এই ধারণা
একেবারেই ভুল। পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার ক্ষেত্রে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না
বললেই চলে। আকারে বেশ ছোট হলেও বাদাম বিভিন্ন খনিজ এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার।
উচ্চমাত্রায় আমিষ ও আঁশ রয়েছে বাদামে। স্নেহজাতীয় পদার্থও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
দেখে নিন একনজরে
৯টি গুন:-
১. বাদামে প্রোটিন
ভরপুর থাকে। যা কি না দেহকোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাদামের
ভূমিকা অনেকটা। এর মধ্যে দুধের গুণাগুণও থাকে অনেকটা। তাই কেউ যদি দুধ খেতে না পারেন
সেক্ষেত্রে বাদাম বিকল্প হতে পারে।
২. রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি বাদামেও পাওয়া যায়। যা শীতে সর্দি-কাশির
মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন বাদাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং
শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়।
৩. বাদাম রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি বাদামেও পাওয়া যায়। যা শীতে
সর্দি-কাশির মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন বাদাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী
হয় এবং শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়।
৪. হার্টের জন্য
বাদাম খুবই উপকারী। বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল থাকে। যা
হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদযন্ত্রজনিত অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়। বাদামে ট্রিপটোফ্যানও
থাকে যা ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে।
৫. বাদাম ডায়াবেটিক
নিয়ন্ত্রণেও অনেকটা সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ খনিজ দ্রব্য। এই খনিজ
উপাদানটি ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, মেটাবলিজম, কোষে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং ব্লাডসুগার কমাতে
সাহায্য করে। স্টাডিতে দেখা গিয়েছে ২১ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম
হয়েছে বাদাম।
৬. দেহে ব্যাড
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে বাদাম। রক্তে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বাদামে রয়েছে ওলেয়িক অ্যাসিড। যা রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল কমিয়ে
গুড কোলেস্টেরল বারিয়ে তোলে।
৭. দেহে করোনারি
আর্টেরি রোগ প্রতিরোধেও বাদামের ভূমিকা অপরিসীম।
৮. বাদাম স্বাস্থ্যের
পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। বাদামে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড ত্বককে
হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।
৯. ক্যানসার কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়তা করে বাদাম। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরলস রয়েছে, যার আরেক নাম- বিটা-সিটোস্টেরল। এই ফাইটোস্টেরল ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।