Logo
শিরোনাম
টাকা ছাড়া ফাইলই চলে না

বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসে মাসে কোটি টাকা অবৈধ আয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫২০জন দেখেছেন
Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

ভোগান্তি ও অনৈতিক অর্থ অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান সরকার সময়ে বাগেরহাট জেলা শহরে চালু হওয়া পাসপোর্ট অফিস এখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তির স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। পাসপোর্ট আবেদনকারীরা প্রতিদিনই হয়রানী আর অনৈতিক অর্থ অপচয়ের স্বীকার হচ্ছে। প্রভাবশালী উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) এসএমএ সানি প্রভাব দেখিয়ে এবং বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসের মো. জামির হোসেন  নামের একজন অফিস সহকারী চিহ্নিত দালাল চক্রকে কাজে লাগিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে ওই অফিস সূত্রে প্রচার পেয়েছে।

বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানের উপ-সহকারী পরিচালক জাহিদ ইকবাল অসুস্থ হয়ে ছুটিতে থাকায় গত বছরের অক্টোবর মাসে রাজশাহী অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক এসএমএ সানিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বাগেরহাট অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ২ মাস পরে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব নিয়ে নেন। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করাকালে প্রথম দিকে কিছু ফাইল যথা সময়ে কাজ হলেও এখন টাকা ছাড়াই পাসপোর্ট পাওয়া যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। লাইনে টাকা ছাড়া চলছে না কোন ইনরোলমেন্ট। লাইন থাকলে হচ্ছে ইনরোলমেন্ট। আর টাকা না দিলে হচ্ছেই না ইনরোলমেন্ট। ফলে যথা সময়ে পাসপোর্ট পেতে হিমশিম খাচ্ছে সেবা গ্রহীতারা।

বাগেরহাট জেলা পাসপোর্ট অফিস এলাকায় সরেজমিনে কয়েকদিন ধরে অবস্থান নিয়ে জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলার নিতীশ, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বীরেন্দ্রনাথ, মোখছেদুর ও আবু জাফরসহ ১০/১২ জন নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে অফিস সময়ের আগে ও পরে একসঙ্গে অফিস সহকারীর কাছে পাসপোর্ট আবেদন ফরম জমা দেন। দালালদের মাধ্যমে আবেদন ফরম জমাদানকারীর ফরম পূরণে কোন ভুল হয় না এবং যথাসময়ে ছবি তোলা ও ফিঙ্গার প্রিন্টের কাজ সম্পন্ন হয়।

অপরদিকে, স্বাভাবিকভাবে অন লাইন ফরম পূরণ করে নিয়ম মাফিক জমা দিতে গেলে ওই অফিস সহকারী নানা ভুল ধরে পুনরায় আবেদন করার জন্য বলেন এবং নানা অজুহাতে ভোগান্তিতে ফেলেন। এতে করে জেলা সদর বাদে বাইরের উপজেলার আবেদনকারীরা বেশি সমস্যায় পড়ছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে সমস্যায় ফেলে বাগেরহাটের বাসিন্দা ওই অফিস সহকারী দালালদের মাধ্যমে আবেদনকারীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত রবিবার সকালে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বীরেন্দ্র নাথ নামের একজন দালাল এলাকার জ্যোৎস্না ও সরোয়ার নামের দুজন পাসপোর্ট আবেদনকারী  অনলাই ফরম পূরণ করে পানপোর্ট অফিসের সাগর রহমান নামের একজন আনসার সদস্যের মাধ্যমে জমা দিলে তাৎক্ষনিক কাজটা হয়ে যায়।

বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসের দালালদের একটি সূত্র জানায়, পাসপোর্ট আবেদন প্রতি অফিস সহকারীর কাছে নির্ধারিত ১১০০ টাকা অনৈতিকভাবে দিতে হয়। মাত্র দুই মাস বারো দিনে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে দালারদের মাধ্যেমে অবৈধভাবে এমআরপি পাসপোর্ট জমা নিয়ে শুধু দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ডিএডি সানি ও অফিস সহকারি জামির। যেখানে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ২০ বছরের উপরে ই-পাসপোট জমা হয় না। সেখানে বয়স ৬০/৭০ বছর হলেও সমস্যা নেই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে। জমা দিতে দেশের যে কোন জেলার হলেই হবে, শুধু লাগবে ফাইল প্রতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন জেলার এমআরপি বই জমা নিয়েছে। ময়মনসিংহ-১১৬৩৫৪, মাগুরা-১১৬৩৫৩, সুনামগঞ্জ-১১৬৩৬৫, পিরোজপুর-১১৬৭০, সিলেট-১১৬৩৭৮/১১৬৩৮৯, পটুয়াখালী-১১৬৩৪২, শেয়ারপুর-১১৬৩৮৫, ঢাকা-১১৬৩৮৯/১১৬৩৯১, মুন্সিগঞ্জ-১১৬৩৯০ সহ বিভিন্ন জেলার কয়েকশ এমআরপি বই জমা নিয়ে নতুন করে পাসপোর্ট তৈরী করে দিয়েছে ডিএডি সানি। মাত্র দুই মাস ১২ দিনে শুধু দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এমআরপি ৩৫০টি ফাইল জমা করা হয়েছে। এ সময়ে ডিএডি সানি প্রতি ফাইলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একই সময়ে ই-পাসপোর্ট জমা হয়েছে ৪ হাজারের বেশী। ই-পাসপোর্ট করার জন্য বই প্রতি আদায় করা হয়েছে অতিরিক্ত ১১০০ টাকা।

পাসপোর্ট ফরম জমা নেয় স্বপন। সে খুব দক্ষ ভুল ধরায়, তাই জমা দেওয়া ফরম ভুল ধরে কয়েক বার ফেরত দিলে তখন এমনিতেই দালালের মাধ্যমে চ্যানেল লাইনে চলে যেতে হয়। তখনই আবেদনকারীকে গুণতে হয় ঘুষের জন্য অতরিক্ত ১১০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য ভাবেও অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। সব মিলিয়ে একজন সাধারণ পার্সপোর্ট আবেদনকারীকে একটি পাসপোর্ট করতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। ধনি শ্রেণীর মানুষরা দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট নিলেও চরম বিপদে পড়ে দরিদ্র মানুষরা। সরকারি পাসপোর্ট করতে গিয়ে অনেক সময় চিকিৎসার টাকা ঘাটতি পড়ে যায় বলেও অনেকে অভিযোগ তুলেছেন।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসের ডিএডি এসএমএ সানিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেন নি।


আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর