Logo
শিরোনাম

বাগেরহাটে ইকোপার্ক থেকে হরিণের চামড়াসহ ৪৩ বন্যপ্রাণি উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
জব্দকৃত বন্যপ্রাণির মধ্যে একটি কুমির, ২টি চিত্রাহরিণ, ১টি হনুমান, ৫টি বানর, ১টি ময়ুর, ২টি উঠপাখি, অস্ট্রালিয়ান ঘুঘু ৫টি, ২টি কচ্ছপ, বক ৭টি, ২টি মাছমুতাল পাখি রয়েছে

বাগেরহাট জেলার চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে ১৬ প্রজাতির ৪৩টি বন্যপ্রাণি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং র‌্যাব-৬ যৌথ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার রনজিতপুর এলাকায় চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে বন্যপ্রাণিগুলো উদ্ধার করে। আইনবহির্ভূতভাবে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের অপরাধে চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ব্যবস্থাপককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময়, র‌্যাব-৬  কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার নূরই আলম সিদ্দিকি, বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার, বন্যপ্রাণি ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্য, পরিদর্শক রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

জব্দকৃত বন্যপ্রাণির মধ্যে একটি কুমির, ২টি চিত্রাহরিণ, ১টি হনুমান, ৫টি বানর, ১টি ময়ুর, ২টি উঠপাখি, অস্ট্রালিয়ান ঘুঘু ৫টি, ২টি কচ্ছপ, বক ৭টি, ২টি মাছমুতাল পাখি রয়েছে। এছাড়াও ৬টি হরিণের শিং, ৬টি চামড়া, ১টি ভাল্লুকের চামড়া, ১টি ক্যাঙ্গারুর চামড়া ও ১টি তিমির কঙ্কাল জব্দ করেছে। জব্দকৃত এসব প্রাণি বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব প্রাণি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, চন্দ্রমহল ইকোপার্কের মালিক অবৈধভাবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে এসব প্রাণি লালন পালন করে আসছিলেন। যা বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থী। এজন্য সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দ্রমহল ইকোপার্কে অভিযান চালিয়ে ১৬ প্রজাতির ৪৩টি প্রাণি উদ্ধার করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারি কমিশনার নূরই আলম সিদ্দিকি বলেন, অবৈধভাবে রাখার অপরাধে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ মোতাবেক চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ আলী চাকলাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ আলী চাকলাদার জরিমানার টাকা নগদে পরিশোধ করায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার, বন্যপ্রাণি ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্য বলেন, বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কেউ কোন বন্যপ্রাণি অবৈধভাবে তার সংরক্ষণে রাখলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমাদের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর