Logo
শিরোনাম

বাঘাবাড়ী নৌবন্দর খুঁড়িয়ে চলছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১০০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শ্রমিক সংকট। নেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের পর্যাপ্ত জেটি। এরপরও যা খালাস হয়, বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হয়। প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরেও বন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডের অভাবে যত্রতত্র দাঁড়ানোয় প্রায়ই দেখা দেয় ট্রাকজট। এভাবেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নৌবন্দর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ীর কার্যক্রম। বন্দর সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নৌবন্দরটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা না পাওয়ায় কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। ধুঁকে ধুঁকে চলতে গিয়ে প্রতি বছর বিআইডব্লিউটিএ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক ও বাঘাবাড়ী নৌবন্দর কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বন্দরের উন্নয়নে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। একনেকে অনুমোদন হলে উন্নয়নকাজ শুরু হবে। তখন দৃশ্যমান সমস্যা মিটে যাবে। তিনি আরও বলেন, বন্দরটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পেলে পণ্য খালাস ও সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হবে। উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় পণ্য সরবরাহ সহজ হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে। মর্যাদাটা আমরাও আন্তরিকভাবে চাচ্ছি।

জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার বেশিরভাগ সার বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া সিমেন্টের ক্লিংকার, কয়লা, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এ বন্দরে এসে জাহাজ ভেড়ে। কিন্তু জেটির অভাবে জাহাজ থেকে সঠিক সময়ে পণ্য খালাস সম্ভব হয় না। যেগুলো খালাস হয়, সেগুলোও নানা সংকটে বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে থেকে গুণগত মান হারায়। ট্রাকের অভাবে পণ্য সরবরাহে দেরি হয়।

বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের লেবার এজেন্ট আবুল হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী ডা. এম এ মতিন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর উদ্বোধন করেন। এরপর ৩৯ বছর গেলেও বন্দরটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পায়নি। দ্বিতীয় শ্রেণির বন্দর চ্যানেলে কার্গো জাহাজ চলাচলে সাড়ে সাত ফুট পানির ড্রাফট দরকার হয়। কিন্তু যমুনা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে এখানে ছয় ফুটের বেশি পানির ড্রাফট থাকে না। ফলে ৬-৭ হাজার মেট্রিকটনের বেশি কার্গো জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারে না। প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলে ১২-১৪ ফুট পানির ড্রাফট থাকত এবং অনায়াসে ১২-১৪ হাজার মেট্রিকটনের কার্গো জাহাজ চলাচল করতে পারত। এতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেল, সার, কয়লা, পাথর, রড, সিমেন্ট, ধান, চালসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের খরচ অর্ধেকে আসত। একইভাবে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হলে যানবাহনের স্থায়িত্ব বাড়বে। পণ্য সংরক্ষণে পর্যাপ্ত গুদাম ও শেড তৈরি করা হলে গুণমান যেমন নষ্ট হবে না, তেমনি এসবের ভাড়া থেকে বিআইডব্লিউটিএ তিন গুণের বেশি রাজস্ব পাবে। বন্দরে এখন অন্তত ছয়টি জেটি দরকার হলেও আছে মাত্র তিনটি। ফলে কখনো কখনো পণ্য খালাসে জাহাজকে ২০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, বাড়ে শ্রমিক খরচ। বর্তমান কাঠামোয় বিআইডব্লিউটিএ এখন প্রায় ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। প্রথম শ্রেণির বন্দর হলে তা ৪৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বিভিন্ন দপ্তরে ১২ বছর ধরনা দেওয়া হলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রথম শ্রেণির মর্যাদা মিলছে না বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশন, বাঘাবাড়ী নৌবন্দর শাখার পরিচালক আবদুল ওয়াহাব মিয়া বলেন, বন্দরটি প্রথম শ্রেণির না হওয়ায় বড় বড় জাহাজ আসতে পারে না। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শ্রমিকরাও আসতে চান না। সরকারের উচিত, এসব সমস্যা সমাধান করে দ্রুত প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২