Logo
শিরোনাম

বাইডেনের আশ্বাসের পরও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৩৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আমেরিকার আর্থিক ব্যবস্থা নিরাপদযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন আশ্বাসের পরও গতকাল সোমবার বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাংক প্রযুক্তিখাতে ঋণদানকারী সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) এবং সিগনেচার ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে দেশটির সরকারকে গ্রাহকদের আমানত রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হয়। এরই মধ্যে গতকাল এ দরপতনের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এই খবর দিয়েছে।

এদিকে জো বাইডেন ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে করণীয় সবই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তার এই প্রতিশ্রুতিও বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটাতে পারছে না। বিনিয়োগকারীদের ভয়, অন্যান্য ঋণদানকারী ব্যাংকেরও হয়তো পতন হতে পারে। আর এই শঙ্কাই বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের শেয়ারের পতন ঘটায়।

এর আগে গতকাল সোমবার দিনের এক পর্যায়ে স্পেনের স্যান্টান্ডার এবং জার্মানির কমার্জ ব্যাংক তাদের শেয়ারের দর ১০ শতাংশেরও বেশি পতন দেখে। তবে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ছোট ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দরপতন বেশি হয়েছে। এমনকি আর্থিক ধাক্কায় থেকে গ্রাহকদের রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় অধিক তারল্য আছে নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও এই দরপতন ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর।

অন্যদিকে, এই অস্থিরতার মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বাড়ানোর যে পরিকল্পনা আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ করেছিল, সেই পরিকল্পনা স্থগিত করা হবে।

গতকাল বাইডেন বলেন, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে যেসব মানুষ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অর্থ জমা রেখেছিল তারা সোমবার থেকে তাদের সব অর্থ ফেরত পেতে শুরু করবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়। কারণ ব্যাংক দুটির পতনের পর অনেক ব্যবসায়ী গ্রাহকের অর্থ আটকে যাওয়ায় তাদের কর্মীদের বেতন ও সাপ্লাইয়ারদের মূল্য পরিশোধ করতে পারেনি।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




গুলশানে আগুনের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর গুলশানে একটি আবাসিক ভবনে আগুনে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গুলশান থানায় একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রাতে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগুনের ঘটনায় যে দুজন মারা গেছেন, সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে থানায়। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান।

মামলার বাদী রাকিব হাসান জানান, আগুন লাগা ভবনটির ফ্ল্যাট নং এ-১২ ও এ-১৩-এর মালিক একমি গ্রুপের ডিরেক্টর ফাহিম সিনহা। তাঁর বাসায় কর্মরত ছিলেন কেয়ারটেকার আনোয়ার হোসেন ও বাবুর্চি রাজিব পাইরিস রাজু। আগুন লাগার পর তাঁরা কোনো উপায় না পেয়ে জীবন বাঁচাতে এ-১২ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে নিচে সুইমিং পুলে ঝাঁপ দেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




‘অগ্নিঝরা মার্চ’ শুরু আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৩১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহান স্বাধীনতার মাস মার্চ। বাঙালির স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে অধিকার অর্জনের অগ্নিঝরা মাস।

মার্চের প্রথম দিন আজ  বুধবার। এদিন বাঙালির রাজনৈতিক আন্দোলন পরিণতির দিকে যায় ১৯৭১ সালে। ওই বছরের মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধুর স্মৃতি বিজড়িত ১৯৭১-এর এই মার্চ মাস, একইসঙ্গে গৌরব ও অর্জনেরও মাস এই মার্চ।

একাত্তরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ। সারা দেশই তখন অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

এ সময় তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল। ইয়াহিয়া খানের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক খেলার মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে হাজারো মানুষ পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। সেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়।

সেদিন মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো স্লোগান দেন, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান। বিক্ষোভ-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ গোটা দেশ।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পূর্বাণী হোটেলেই বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাইরে চলছিল বিক্ষুব্ধ বাঙালির কঠোর কর্মসূচির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু ২ ও ৩ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানে সর্বাত্মক হরতালের ডাক এবং ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভার ঘোষণা দেন।

সেই শুরু। এরপর ১ মার্চ পেরিয়ে ২ মার্চ। একে একে পার হয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ২৫টি দিন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়, শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। এই পথ ধরে বাংলার দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে একটি স্বাধীন দেশগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম প্রহরে (রাত ১২.০১ মিনিটে) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত শিখা চিরন্তনে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) অগ্নিঝরা মার্চের ঐতিহাসিক বীরত্বপূর্ণ ঘটনাবলি স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বিকাল ৩টায় তাহের মিলনায়তনে সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

নিউজ ট্যাগ: অগ্নিঝরা মার্চ

আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৭

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ অন্তত ১৭জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অর্ধশতাধিক।

কয়েক হাজার বাসিন্দাকে এরইমধ্যে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে দমকলকর্মীরা। তবে, কি কারণে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও জানা যায়নি। চলছে তদন্ত।

শুক্রবার(৩ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জার্কাতার জনবহুল এলাকা তানাহ মেরাহতে একটি জ্বালানি ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলবাহিনী।

৩৭টি ফায়ার ইঞ্জিন ব্যবহার করে অন্তত দেড় শতাধিক দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় বেগ পেতে হয় তাদের। পরে স্থানীয় সময় রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পরে ঘটনাস্থল থেকে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের মরদেহ বের করে আনা হয়। অর্ধশতাধিক মানুষকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হতাহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানপাটও আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, লোকালয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরইমধ্যে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাই। আসলে আগুনের বিস্ফোরণ ছিলো। এ ঘটনার পরপরই আমরা সবাইকে শান্ত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।

ঠিক কি কারণে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও জানা যায়নি। এরইমধ্যে কারণ জানতে চলছে তদন্ত। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ জানান, জ্বালানি ডিপোটি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি পার্টামিনার। এটি দেশটির ২৫ শতাংশ জ্বালানি চাহিদা পূরণ করে থাকে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর



চিয়ায় স্বপ্ন বুনছেন লালমনিরহাটের কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্বল্প খরচ ও কম সময়ে ঘরে তোলা যায় চিয়া। আবার বাজারে চিয়ার ভালো দামও পাওয়া যায়। তাই তামাক বাদ দিয়ে চিয়ায় স্বপ্ন বুনছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা। চিয়া চাষে এখানকার মাটি উপযুক্ত হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালে লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ ও হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুকের উদ্যোগে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে পাঁচ একর জমিতে প্রথম চিয়া চাষ শুরু হয়। সরকারিভাবে চিয়া বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়। এবার জেলায় সাত একর জমিতে চিয়া চাষ হয়েছে।

 

উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের কৃষক জাহিদুল ইসলাম (৪০) প্রথমবারের মতো সুপারফুড চিয়া বীজ চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ৭৬ কেজি চিয়ার ফলন পান। ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন চিয়া। পাশাপাশি অন্যদেরও বীজ দিয়ে চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। কৃষক জাহিদুল ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ কৃষকের পুরস্কার পান। চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার অনেক কৃষক ক্ষতিকর তামাক চাষ বাদ দিয়ে সুপারফুড চিয়া চাষে ঝুঁকছে। জাহিদুল ইসলাম গতবছর ১০ কেজি চিয়া বীজ কুড়িগ্রাম, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্রি করেন। ওই এলাকার কৃষকরাও বীজ পেয়ে চিয়া চাষ শুরু করেন।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চিয়া বীজ সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের ভোজ্য বীজ। এটি মধ্য যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মরুভূমি এলাকার উদ্ভিদ। চিয়া বীজ দেখতে অনেকটা তোকমা দানার মতো। আকারে তিলের মতো সাদা ও কালো রঙের হয়ে থাকে। এক বিঘা জমিতে চিয়া চাষে সার, বীজ, সেচ ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ৭-৮ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় ১০০-১২০ কেজি চিয়া ফলন পাওয়া যায়। প্রতি কেজি চিয়া বীজের বাজার মূল্য ৮-১২০০ টাকা।

চিয়া বীজ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বীজ বপন শেষ হয়। মার্চ মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। এর ফসল ঘরে তুলতে সময় লাগে ১০০-১২০ দিন। চিয়া তুলে ইরিধান লাগানো যায়। চিয়া চাষে খরচ কম লাগে, অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান। চিয়া চাষ করে জমিতে তিন ফসল করা যাবে।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ জমির চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে চিয়া গাছের নীল রঙের বাহারি ফুল। দূর-দূরান্ত থেকে চিয়া গাছ দেখার জন্য আসছে লোকজন। নতুন ফসল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকরা।

 

সারডুবী গ্রামের কৃষক মনছুর আলী বলেন, জাহিদুল ভাইয়ের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ৮০ শতাংশ জমিতে চিয়া চাষ করেছি। জমিতে চিয়ার ভাল ফলন হয়েছে। গতবছর এ জমিতে তামাক চাষ করেছিলাম। এবার তামাকের পরিবর্তে চিয়া চাষ করেছি। ভালো ফলন ও দাম পেলে সামনের বছরে আরও বেশি করে চাষ করবো। চিয়া চাষ করে ভাগ্য বদলাতে চাই আমরা।

 

আদর্শ কৃষক জাহিদুল ইসলাম  বলেন, জেলার সাবেক ডিসি শামীম আশরাফ আমাকে প্রথম চিয়ার বীজ দেন। ৪০ শতাংশ জমিতে লাগাই। তাতে অন্য ফসলের তুলনায় চিয়ায় বেশি লাভ হয়। সেই থেকে এলাকার কৃষকদের ক্ষতিকর তামাক চাষ বাদ দিয়ে চিয়া আবাদে উদ্বুদ্ধ করি। এ বছর লালমনিরহাট জেলায় প্রায় সাড়ে ৭ একর জমিতে চিয়ার চাষ হয়েছে।  এলাকার অন্য কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে তামাক চাষের পরিবর্তে চিয়া চাষ করছে। এটাই আমার বড় পাওয়া। আমি হাতীবান্ধা উপজেলাকে শতভাগ তামাক মুক্ত উপজেলা করতে চাই।

 

হাতীবান্ধা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, চিয়া সিড চাষে কৃষকদের সবরকম পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমাদের দেশে চিয়া চাষ করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় তিন থেকে চার একর চাষাবাদ হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে চিয়ার আবাদ হবে। চিয়া একটি ঔষধি ফল। চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান  বলেন, চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণ আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যার ফলে শরীরের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। এ বীজ ত্বক, নাক ও চুল সুন্দর রাখে এবং ক্যানসার রোধ করে। ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। জেলায় এ বছর প্রায় সাত একর জমিতে চিয়া চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর দুই একর জমি বেড়েছে। জেলায় তামাকের পরিবর্তে চিয়ার আবাদে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে চিয়া চাষের প্রস্তুতি আছে।


আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩