জলবায়ু সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ জারি
করায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ও জ্বালানী শক্তির প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির
শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে
মামলা দায়ের করেছে দেশটির ১২টি অঙ্গরাজ্য। এ খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে’র।
সোমবার (৮ মার্চ) দায়ের করা মামলাটির অভিযোগে
বলা হয়েছে, বাইডেনের ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু
সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞান পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক আদেশে
গ্রিনহাউস গ্যাস ব্যবহারে ‘সামাজিক ব্যয়’-এর অংক নিধার্রণ
করে দেয়ার অধিকার নেই।
এ মামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিসৌরির অ্যাটর্নি
জেনারেল এরিক শ্মিট। তার সঙ্গে রয়েছেন আরকানসাস, অ্যারিজোনা, ইন্ডিয়ানা, কানসাস, মন্টানা,
নেব্রাস্কা, ওহিও, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসি ও উটাহ অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নিরা।
তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোতে
নিজেদের ফেডারাল নিয়ন্ত্রক শক্তি জোর দেয়ার কিংবা সম্প্রসারণের অধিকার প্রেসিডেন্ট
ও তার প্রশাসনের নেই। তাছাড়া বাইডেনের জলবায়ু পরিবর্তন নীতি বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও
প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের ওপর উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাইডেনের আদেশ
স্থায়ী হলে এটি দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে চাকরি ধ্বংস, জ্বালানী
উৎপাদন রোধ এবং দেশের জ্বালানী শক্তি স্বাধীনতা রোধ করে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি
করবে।
শ্মিটের দাবি, বাইডেনের এই আদেশে মিসৌরির
উৎপাদন ব্যবস্থা এবং কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের
এই নির্বাহী আদেশ জারির ক্ষমতা নেই। এর কারণে কয়েক প্রজন্ম ধরে এই জমিতে বসবাস ও কাজ
করা পরিশ্রমী মিসৌরিয়ানরা পথে বসবে।
‘জনস্বাস্থ্য ও
পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় বিজ্ঞান পুনরুদ্ধার করা’ শীর্ষক বাইডেনের
আদেশে কীস্টোন অয়েল পাইপলাইন সম্প্রসারণের অনুমতি বাতিল, আর্কটিকের মধ্যে অস্থায়ীভাবে
ড্রিলিং নিষিদ্ধ করা এবং ফেডারাল এজেন্সিগুলোকে প্রশাসনের পরিবেশ নীতিমালা মেনে চলতে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগকারীরা বলছেন, এটি আগামী কয়েক
দশক ধরে মার্কিন অর্থনীতিতে অযাচিত কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি করতে ব্যবহৃত হবে।