মুনাফার মুখ দেখতে সম্প্রতি এক ধাক্কায় আড়াই হাজার কর্মচারি ছাঁটাই করেছে বাইজুস। ছাঁটাই বিতর্কে জর্জরিত সেই সংস্থা দিল বড় চমক। লোকসানে ডুবে থাকা ভারতীয় এই সংস্থা এবার বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির সঙ্গে হাত মেলাল।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বাইজুস তাদের ‘সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট আর্ম’ এডুকেশন ফর অলের প্রথম গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে মেসিকে। তবে এ জন্য তারকা ফুটবলারের সঙ্গে ঠিক কত টাকার চুক্তি হয়েছে, তা জানা যায়নি।
ভারতীয় কোনো সংস্থার এভাবে বিশ্বব্যাপী অভিযানের মাঝে মেসির মাপের ফুটবলারকে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দেয়া নিঃসন্দেহে বড় চমক। ভারতজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সাহায্য করার অন্যতম বিকল্প মাধ্যম হয়ে উঠেছে বাইজুস সংস্থা।
বিশ্বের অগ্রগণ্য শিক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিটি মনে করে, লিওনেল মেসি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের অনবরত শিখে চলার উদ্যম দেখিয়ে দিয়েছে, ফুটবলে কত কী সম্ভব! এর ফলে ৫৫ লাখ ভারতীয় এবার নিজেদের কণ্ঠ খুঁজে পাবেন পৃথিবীর সবচেয়ে আইকনিক খেলোয়াড়ের মধ্যে।
পিএসজি তারকা মেসি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সবাইকে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে বাইজুসের ভাবনার সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছি। জীবনের গতিপথ বদলে দিতে পারে ভালো পড়াশোনা। আশা রাখি, বাইজুসের কাজ আরও মসৃণ হবে। শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে নিজেদের শিখরে দেখার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যাবে। আশা করি, আমি তরুণ শিক্ষার্থীদের শীর্ষে উঠতে এবং সেখানেই টিকে থাকতে উদ্বুদ্ধ করতে পারব।’
এ ছাড়া সারা বিশ্বের আইকন ফুটবলার লিওনেল মেসি ২০০৭ সাল থেকে তার সংস্থা লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খুদে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন সার্থক করার প্রচেষ্টায় পাশে থাকার কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে এর আগে ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হিসেবে জায়গা করে নেয় বাইজুস। সম্প্রতি ৫৫ মিলিয়ন ডলারের (৪৫৩ কোটি রুপি) বিনিময়ে ফের সেই চুক্তি নবায়ন করে সংস্থাটি। অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও অন্যতম প্রধান স্পনসর বাইজুস।
এ ছাড়া বাইজুসের বিজ্ঞাপনের অন্যতম প্রধান মুখ বলিউড তারকা শাহরুখ খান। তার সঙ্গেও যে কম টাকার চুক্তি নয়, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু লোকসানে ডুবে থাকা সংস্থা কীভাবে বিশ্বসেরা ফুটবলারের সঙ্গে হাত মেলায়? প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের।
ভারতের সবচেয়ে বেশি ভ্যালুয়েশনের (২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) স্টার্ট-আপের ভবিষ্যত কী হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে শেয়ার বাজারেও প্রবেশের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।