Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড বার্গম্যান সম্পর্কে যা জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২1 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৫৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ডেভিড বার্গম্যান হলো সেই লোক, যিনি প্রতিহিংসার বর্শবর্তী হয়ে সাংবাদিকতা করেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাই যার মূল লক্ষ্য। বার্গম্যান মূলত নিজেকে পরিচয় দেন একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক হিসেবে, যিনি অনেক বছর বাংলাদেশ অবস্থান করেছেন এবং একটা বিশেষ শ্রেণির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে নিজের ব্লগে লেখালেখি করে তিনি আলোচনায় এসেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হলে তা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখি করেন বার্গম্যান। তার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। অধিকাংশ লেখাতেই তিনি শুধু সেইসব মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছেন, যারা বিএনপি এবং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর এটা সবাই জানে যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান সহযোগী, যাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানিরা এদেশে গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।

এদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন বার্গম্যান এবং  ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর তিনি এবিষয়ে সর্বশেষ লেখা লিখেছেন। এই বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু এখনো চলছে। তবে বার্গম্যান আগে যেমন সক্রিয়ভাবে বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য লিখতেন, এখন আর এখন লিখছেন না। কিন্তু কেনো? তার এতো আগ্রহ-উদ্যম হঠাৎ থেমে গেলো কেনো? কারণটা পরিষ্কার। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপি ও জামায়াতের যেসব নেতা অভিযুক্ত ছিল, তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তাই এরপর থেকে তিনি আর এই বিষয়ে সক্রিয় নন। এতেই বোঝা যায় যে, তিনি এই মুক্ত-সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে আসলে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছেন এবং এজন্য তিনি বিশেষভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন।

কেনো বাংলাদেশ নিয়ে বার্গম্যানের এতো আগ্রহ?

নিজের লেখা এক ব্লগে বার্গম্যান এটাও দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আসলে ত্রিশ লাখ মানুষ মারা যায়নি। তার দাবি, এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র তিন লাখ! কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বার্গম্যানের এই দাবির তুলনায় হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ছিল দশ গুণ। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, যুদ্ধের পর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এই চক্রটি নিজেদের ঘৃণ অপরাধ ঢাকার জন্য শুরু থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে নিহতের কমিয়ে বলার চেষ্টা করে আসছে। ডেভিড বার্গম্যান তাদের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এবং সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছে। এমনকি বিচারাধীন বিষয়ে উস্কানি ছড়ানোর দায়ে একপর্যায়ে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ইতিহাস বিকৃতির দায়ে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তাকে অভিযুক্ত করে।

সোজা কথায়, আমরা যদি এই স্বঘোষিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক বার্গম্যানকে চিহ্নিত করতে চাই, তাহলে তাকে একজন ফড়িয়া বা দালাল ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও এটিই সত্য। নির্মম বাস্তব এটাই যে, বার্গম্যান মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিয়ম একটি বিশেষ শ্রেণির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।

বার্গম্যান নিজের ব্লগ ছাড়াও বিডি পলিটিকো নামে আরো একটি ব্লগ পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন পক্ষের ফুটফরমায়েস হিসেবেই আর্টিকেল লেখেন। এই ব্লগে তার লেখার অন্যতম বিষয়গুলো হলো: বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে আক্রমণ করা, এবং দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো।

বার্গম্যানের পরিচয় এবং কর্মজীবন আসলে কেমন?

এই তথাকথিত সাংবাদিক নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করলেও তার ব্যক্তি ও পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে জানা প্রাসঙ্গিক। তিনি ড. কামাল হোসেনের জামাতা। আর এই ড. কামাল হলেন বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় জোট বিএনপি-জামায়াতের প্রধান সমন্বয়ক। এই কারণেই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে দীর্ঘ সময় লেখালেখি করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন বার্গম্যান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আক্রমণাত্মক প্রচারণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে লবিংয়ের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করা হয়েছে, বিশেষ করে ওয়াশিংটন ও লন্ডনে, এসবের সঙ্গেও তিনি জড়িত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন অভিযুক্ত যে পরবর্তীতে দণ্ডিত হয়েছে, সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ম্যানেজ করতেই ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এই বার্গম্যানের রাজনৈতিক যোগাযোগ এতোটাই ঘনিষ্ঠ যে তা চাইলেও অস্বীকার করার উপায় নাই। এমনকি লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গেও তাকে আন্দোলন করতে দেখা গেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় অপেশাদার ও উদ্ধত আচরণের জন্য দ্য নিউ এজ পত্রিকা এবং বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম থেকে চাকরি ছাড়তে হয়েছে ডেভিড বার্গম্যানকে। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার অভিযোগ ছিল। এবং এই কারণেই মূলধারার গণমাধ্যমে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিদেশে অবস্থান করা কিছু নামধারী সাংবাদিকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর একটি নেত্র নিউজ নামে আরেকটি নিউটসাইটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেন।

কী চায় বার্গম্যানরা?

বার্গম্যান বিদেশে থাকা বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং বিএনপি-জামায়াতের আরো ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি নিয়মিত বানোয়াট সংবাদ তৈরি করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার চালান। সম্প্রতি এই চক্রটি ফেসবুক এবং ইউটিউবেও লাইভ বক্তব্য দিয়ে এবং ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। মানুষের আরো কাছে পৌঁছার জন্য এদের প্রচেষ্টা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ডেভিড বার্গম্যান, ক্যাডম্যান, লা কার্লিলি, ড. ঘুমডি, দ্য গার্ডিয়ান, নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়্যারসহ আরো বেশকিছু প্লাটফর্ম তাদের পক্ষে কাজ করছে। এই চক্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- তাদের অর্থের জোগানদাতা বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি ও দুর্বত্তায়নের ঘৃণ্য ভাবমূর্তি উদ্ধারের স্বার্থে কাজ করা।

তারেক-এসকে সিনহা-ড. কামালকে একত্র করা হয় যেভাবে

অর্থ পাচার এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খুনের জন্য সন্ত্রাসীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির তারেক রহমান এই ডেভিড বার্গম্যানের সহায়তায় ড. কামালের সঙ্গে সরকারবিরোধী জোট গড়ে তোলেন। ড. কামাল হোসেনের জামাতা বার্গম্যান মূলত সরকারবিরোধীদের এক প্লাটফর্মে আনার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত যে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে, সেই সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসে এখন তারেক রহমান এবং ড. কামালদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং অসাংবিধানিকভাবে সরকার পরিবর্তনের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের হয়ে কাজ করেছে। ডেভিড বার্গম্যানই ড. কামাল-তারেক রহমান-এস কে সিনহার মধ্যে এই সংযোগ তৈরি করে। কিন্তু এই ত্রয়ীর বিভিন্ন অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, এখন তারা ভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন পাবলিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট গুজব ছড়াচ্ছে।


আরও খবর

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখনও অপরিহার্য

বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর