ঢাকায় জাতিসংঘের
আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস বাংলাদেশের ৫১তম বিজয় দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন,
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় নজির হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গুইন লুইস এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ অংশীদারিত্বের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তিনি দেশে ও প্রবাসে অবস্থাররত সব বাংলাদেশী নাগরিককে
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
জাতিসংঘ সমন্বয়ক
বলেন, সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষ পীড়িত বাংলাদেশ একটি অসাধারণ যাত্রা
শুরু করে বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। দেশটি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এলডিসি
থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে এবং বর্তমানে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে
আশ্রয় দিচ্ছে।
তিনি আরো লিখেছেন,
মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার অনেক আগে থেকেই মানব উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের
সাফল্য অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণের জন্য একটি নজির হয়ে ওঠেছে।
বিবৃতিতে বলা
হয়, জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা এবং সারাবিশ্বে শান্তি কর্মসূচি বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ
অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতা, জলবায়ু ন্যায্যতা এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহের
স্বার্থের পক্ষেও সোচ্চার রয়েছে।
এতে বলা হয়,
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের উত্থাপন করা শান্তি সংস্কৃতি প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে
সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশের প্রস্তাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
গুইন লুইস উল্লেখ
করেন যে, সবচেয়ে সুবিধা বঞ্চিতদের অধিকারের জন্য বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে এবং দেশের
সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে ওঠার জন্য দেশের অঙ্গীকার বিধৃত রয়েছে এবং এতে মৌলিক
মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পাশাপাশি মানুষের মর্যাদা ও মূল্যবোধের সম্মান রক্ষা নিশ্চিত
করা হয়েছে।