একুশ সদস্য বিশিষ্ট
আহবায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করেছে। এর আগে প্রায় দেড়শতাধিক
নেতাকর্মী বাংলাদেশ যাত্রা ফেডারেশন , রাজশাহী শাখা থেকে পদত্যাগ করেন। নতুন এই কমিটি
গঠনের আগে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পড়ে শোনান সভার প্রধান আলোচক মাহফুজ হোসেন।
কমিটি গঠনের অনুষ্ঠানটি
দুভাগে ভাগ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠীত হয়। নতুন এই কমিটিতে যারা যোগদান করেছেন তাদের
প্রায় দেড়শতাধিক নেতাকর্মী যাত্রাফেডারেশন থেকে পদত্যাগের মাধ্যমে নতুন এই কমিটিতে
যোগদান করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান
অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আনিছুর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ, হাটকানপাড়া জোবেদা
ডিগ্রী কলেজ, দূর্গাপুর, রাজশাহী। বিশেষ অতিথী ছিলেন জনাব মোৎ মিজানুর রহমান, চেয়ারম্যার,৭
নং জয়নগর ইউপি, রাজশাহী।
প্রধান আলোচক
হিসেবে বক্তব্য দেন মোঃ মাহফুজ হোসেন,যাত্রাব্যক্তিত্ব, ও সাবেক সাধারন সম্পাদক, দলিল
লেখক সমিতি, পবা, রাজশাহী।বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন আফসারুজ্জমান রনি,
যাত্রানায়ক।আরও বক্তব্য রাখেন আমজাদ হোসেন,সহকারী অধ্যাপক,মোহনপুর কলেজ, রাজশাহী।
প্রধান আলোচকের
বক্তব্যে মাহফুজ হোসেন যাত্রাশিল্প বা যাত্রাপালার গোড়ার ইতিহাস অত্যান্ত সাবলীল ভাবে
উপস্থাপন করেন। তিনি আরও বলেন বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের
মুক্তিযোদ্ধায় বিশেষ অবদান ছিল যাত্রাপালা এবং যাত্রাশিল্পিদের। তিনি প্রধানমন্ত্রীর
দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যাত্রাশিল্পী এ করুন সময়ে একটু সুনজর দেওয়ার জন্য।
আলোচনা সভা শেষে
একুশ সদস্য বিশিস্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় । মাহফুজ হোসেন আহবায়ক ও আরও বিশ জনকে
যুগ্ম আহবায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আগামী নব্বই দিনের
মধ্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও সাতদিন ব্যাপী যাত্রা উৎসবের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনা শেষ করেন
।
আলোচনা সভায় সভাপতত্বি করেন। তছের আলী মন্ডল, অবসরপ্রাপ্ত
শিক্ষক, কানপাড়া উচ্চবিদ্যালয়, দূর্গাপুর,রাজশাহী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, রেজাউল করিম,
সরোয়ার হাবীব, আবুল কালাম, আজাদ, করিম আলী প্রমুখ।