Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের জন্য লড়ছে পরাশক্তিগুলো

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ২২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক নানা কারণে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রে এখন ঢাকা। এমনকি বড় বড় পরাশক্তিগুলোর শক্তি প্রতিযোগিতা এবং প্রভাব বিস্তারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মতো পরাশক্তিরা। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশকারী ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট। ম্যাগাজিনটি মূলত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি নিয়ে বেশি ফোকাস করে।

দ্য ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন এবং চীনা কর্মকর্তাদের সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফর করেন। সেসময় তিনি রাজনৈতিক দল, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। আগের সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আবদুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মোমেনের সঙ্গে লাউবাচারের বৈঠকের একদিন পর চীনের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বিমানবন্দরে বাংলাদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটাই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, নবনিযুক্ত চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত সেই সফরে দেশটির কূটনৈতিক ঐতিহ্য কার্যত ভেঙে গেছে। কারণ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রতি বছর আফ্রিকার কোনো দেশকে তাদের প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্যে পরিণত করার বিষয়ে দীর্ঘদিন চালু থাকা প্রথা মেনে আসলেও এ বছর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে ঢাকায় আসেন। যদিও কিন সেসময় আফ্রিকায় যাচ্ছিলেন এবং মোমেনের সঙ্গে বৈঠকটি কোনো সরকারি সফর ছিল না।

তারপরও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশের রাজধানীতে সংক্ষিপ্ত বিরতি ও মাঝরাতে মোমেনের সঙ্গে বিমানবন্দরে তার সাক্ষাৎ ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই বিষয়টি ঢাকা ও বিদেশের কূটনৈতিক মহলের নজর এড়ায়নি। কিনের সেই সফরের পরপরই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের উপ-প্রধান চেন ঝো-এর নেতৃত্বে সিসিপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সফরে প্রতিনিধি দলটি ২০তম সিসিপি জাতীয় কংগ্রেসের স্পিরিট তথা মূল কথা ব্যাখ্যা করে নানা বক্তৃতা দেয়।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি যে নীতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে, তা হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। পররাষ্ট্রনীতির এই কৌশল বাংলাদেশের জন্য ভালো কাজ করেছে। তবে দিন যত যাচ্ছে বড় পরাশক্তিগুলো তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে যেকোনো একটি পক্ষকে বেছে নিতে ঢাকাকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিচ্ছে।

২০২০ সালের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট স্টিফেন ই বিগান বাংলাদেশকে কোয়াডে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বিগান সেসময় অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে... মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিককে এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) কাজের কেন্দ্রবিন্দু হবে।

বাংলাদেশকে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে টানতে যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন। ২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সতর্ক করে দেন, চার দেশের ছোট ক্লাব অর্থাৎ কোয়াড-এ বাংলাদেশ যোগ দিলে চীনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যদিও চীন প্রায়ই বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্বে বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়েছে, তারপরও বেইজিং এর উল্টো কাজটিও করে আসছে। চীন তার গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) এবং গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই)-এ যোগ দিতে বাংলাদেশকে প্ররোচিত করছে। এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বাকযুদ্ধও চলছে। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মস্কোতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেছিলেন। তিনি সেসময় বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছেন।

এর আগে ঢাকায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে নিজেদের উন্নত গণতন্ত্র হিসেবে দাবি করা দেশগুলোর আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার সমালোচনা করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার অজুহাতে, যারা নিজেদের বিশ্বের শাসক বলে মনে করে সেই রাষ্ট্রগুলো অন্যদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে পিটার হাসের ক্রমবর্ধমান নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সমালোচনামূলক এই বক্তব্য সামনে এসেছিল। গত বছরের জুন মাসে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পরিদর্শনের সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাথে দেখা করেন। সেসময় রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দেশে স্বচ্ছ নির্বাচনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন ব্যাপক অনিয়মের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল এবং এখনো উদ্বেগ রয়েছে যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে না। অতি সম্প্রতি, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এক দশক ধরে নিখোঁজ বিরোধী দলের নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের পরিবারকে দেখতে যান। গত এক দশকে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আবার অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠা বিএনপি অর্থনীতিতে সরকারের ভুল ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই বিক্ষোভগুলো গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়েছিল। তবে সেখানেও বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ঢাকায় মহাসমাবেশের কয়েকদিন পর সুমনের বাসায় যান পিটার হাস।

এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সমালোচনার জবাবে সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতি দিয়ে মোমেন বলেছিলেন, বাংলাদেশ চায় না রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত জায়গায় বাংলাদেশের অবস্থান দেশটিকে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব দিয়েছে। ভূ-রাজনীতির অন্যতম প্রধান বিশেষজ্ঞ রবার্ট কাপলান ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ভারত মহাসাগর হবে বিশ্বব্যাপী সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ বিশ্ব অর্থনীতিতে শিপিং বা পরিবহনের রুট হিসেবে এর গুরুত্ব রয়েছে। ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরে পরাশক্তিগুলোর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। অন্যদিকে ভারত মহাসাগরে চীনের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ সারা বিশ্বেই সুবিদিত। ভারত মহাসাগর এবং এর বিভিন্ন উপসাগর দিয়ে আফ্রিকার সাথে চীনের বেশিরভাগ বাণিজ্য হয়ে থাকে। এছাড়া নিজেদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে এই অঞ্চলে চীনা উপস্থিতি বাড়ানোরও চেষ্টা করেছে বেইজিং। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, অতীতে পাকিস্তান এবং ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বলে যদি এখন ধরে নেওয়া হয় তাহলে বলতে হবে ওয়াশিংটন এখন ক্রমবর্ধমানভাবে বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশ সোচ্চার হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশের এলিট আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর সাতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। অবশ্য বড় পরাশক্তি দেশগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ আরও দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, অর্থনৈতিক সংকট, সরকারের বৈধতা নিয়ে সংকট, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে দেশটির স্বাধীন ও যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল; বাংলাদেশি পণ্যের একক বৃহত্তম বাজারও যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া এশিয়ায় যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি মার্কিন সাহায্য পেয়ে থাকে বাংলাদেশ সেসব দেশের একটি। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক। বাংলাদেশে বেইজিংয়ের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা কোনো একক দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি। পরাশক্তি দেশগুলোর ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা বাংলাদেশের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে সীমিত করেছে বলে দাবি ডিপ্লোম্যাটের। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের লাঠি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে নিজেদের দিকে টানছে, সেখানে চীন ও রাশিয়া আওয়ামী লীগ সরকারকে আর্থিক সহায়তাসহ নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে আসছে এবং সেটা আরও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রেখেছে।

দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, যখন বৃহৎ শক্তিগুলো প্রভাব বিস্তারের জন্য লড়াই করছে এবং ক্ষমতাসীন সরকারও রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার দিকে মনোনিবেশ করছে, তখন সাধারণ মানুষের চাহিদা ঠিক কী সেদিকে কারো মনোযোগ নেই।

নিউজ ট্যাগ: পরাশক্তি

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। মামলার শুনানিতে আদালতে বার বার হাজির না হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। খবর ডনের।

প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ডন পত্রিকাটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালে ইমরান খান উপহার পেয়েছিলেন। সেগুলো তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলার বেশ কয়েকটি শুনানিতে আদালতে হাজির হননি তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান। আজও সেই মামলার শুনানিতে হাজির হননি ইমরান। এর জেরে বিচারক তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘণ্টাখানেক আগে অন্য দুটি মামলায় জামিন পান ইমরান। এর আগে ইসলামাবাদের জুডিসিয়াল আদালতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি।

ডন বলছে, ইসলামাবাদের আদালতে আজ ইমরানের চারটি মামলার শুনানি ছিল। এর মধ্যে দুটি মামলার শুনানি ছিল জুড়িসিয়াল কমপ্লেক্সে। তোষখানা ও হত্যা চেষ্টা মামলার শুনানি ছিল এফ-৮ কাচেরি কোর্টে। জুডিসিয়াল কমপ্লেক্স থেকে এফ-৮ কাচেরি কোর্টের দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার। প্রাইভেট যানে করে সেখানে যেতে সময় লাগবে প্রায় আধা ঘণ্টা।

তোষখানা মামলায় আজ ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কথা ছিল। কিন্তু, তার আইনজীবী আদালতকে তাঁর অনুপস্থিতির কথা জানান ও শুনানির তারিখ পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, দুটি মামলায় তার আরেক আদালতে শুনানি রয়েছে। তবে, ওই দুই মামলার শুনানি শেষে তিনি এখানে আসবেন। এরপরেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে শুনানি আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত মূলতবি করেন।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমল

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা। সোমবার থেকে নতুন এ দর কার্যকর হবে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীয়দের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার কারণে নতুন এ দর নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংগঠনটির নির্ধারণ করা নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে করা করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭০০ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার এক হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রূপা এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা এক হাজার ৪০০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রূপা এক হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়। এর ফলে চলতি মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় সোনার দাম কমানো হলো। 

তার আগে অবশ্য কয়েক মাস ধরে স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত বছরের ৩০ ও ৪ ডিসেম্বর, ১৮ ও ১৩ নভেম্বর দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি আবারও বাড়ানো হয়। তখন দেশে প্রথমবারের মতো ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার টাকা ছাড়ায়। সপ্তাহ না ঘুরতেই ১৪ জানুয়ারি সেই রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন উচ্চতায় পৌঁছায় দাম। তখন দাম গিয়ে ঠেকে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকায়। এভাবে গত দুই মাসে ৬ দফা বাড়ার পর দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। ৪ ফেব্রুয়ারি স্বর্ণে দাম কিছুটা কমার পর আবার রোববার আরেক দফা দাম কমল। 


আরও খবর



মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ২৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ আজ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার দল কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বরাদ্দ দেওয়া সরকারি তহবিলের অপব্যবহার করেছে এমন অভিযোগ ওঠার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো। খবর এএফপির।

বৃহস্পতিবার মুহিউদ্দিন মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায় দুর্নীতি দমন সংস্থার কার্যালয়ে হাজির হলেও বাইরে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

তবে বেসাতুর সভাপতি মুহিউদ্দিন এক্ষেত্রে কোন অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছেন। এদিকে তার সমর্থকরা বলছেন, জুলাই মাসে রাজ্যসভার নির্বাচনের আগে বেরসাতুকে নিন্দিত করার জন্যই এ তদন্ত করা হচ্ছে।

মুহিউদ্দিন ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৭ মাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর এই সময়টায় দেশটিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বোচ্চ লড়াই চালানো হয় এবং বর্তমানে তিনি একটি বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

মুহিউদ্দিনকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সে বিষয়ে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন কোন মন্তব্য করেনি। তবে তার রাজনৈতিক দল বেরসাতু মহামারি মোকাবেলায় বরাদ্দ দেওয়া তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো।

বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে এমসিসির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেন তিনি তা বলেননি।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি দিল ইরান!

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ১২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির খবর প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে দেশটি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার আমিরালি হাজিজাদেহ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দাবি করেছেন।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ইরানি কমান্ডার সোলায়মানি হত্যার বদলা নিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারিও দেন। তিনি বলেন, আমরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছি।

যেসব সামরিক নেতা সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার পদ ছাড়াও হাজিজাদেহ সংগঠনটির মহাকাশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথাটি জানান। তিনি বলেন, নতুন এ অস্ত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ হয়েছে।

টেলিভিশনে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ফুটেজও সম্প্রচার করা হয়েছে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ ছয়ে ঢাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | ৩৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন বেলা সাড়ে ৮টার দিকে ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

এদিন ১৯৯ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৯৬ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৬৮ নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৫৯ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। ১৫৬ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৫৬ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫১ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন। এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর বা খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩