বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিশাল তহবিলের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বলেন, ‘বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আকাঙ্ক্ষা
থাকলেও প্রতি বছর এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা এই মুহূর্তে যৌক্তিক হবে কি না, তা
ভাবতে হবে।’
শাহরিয়ার আলম
বলেন, ‘আমরা এটি সম্পর্কে চিন্তা করেছি এবং এটি নিয়ে কাজ করেছি। আমরা প্রায়
পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে হিসাব করেছি যে, এর জন্য প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকা লাগবে।’
জাতিসংঘের ছয়টি
দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে–আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান ও স্প্যানিশ।
এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল
মোমেন বলেছিলেন, ‘দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা চালু করার প্রস্তাবে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের
বিরোধিতা না থাকলেও অর্থের জন্য জাতিসংঘের পক্ষে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।’
ওই সময় মোমেন
আরও বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, জাতিসংঘে একটি নতুন দাপ্তরিক ভাষা চালু
করার জন্য তাদের প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে।’
২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের একটি অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যেহেতু বাংলা ভাষায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ কথা বলে এবং এ ভাষার শিল্প, সাহিত্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।
আমাদের সংসদে একটি
প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, যাতে বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা
করার অনুরোধ জানানো হয়। আমাদের এই ন্যায্য অনুরোধটি গ্রহণ করার জন্য আমি আপনাদের সবার
কাছে আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’