বিএনপি বেশি
বাড়াবাড়ি করলে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি
দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায়
এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের জেল হয়েছে। হ্যাঁ,
অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ, তার বোন, ভাই, বোনের জামাই আমার কাছে এসেছে, আবেদন করেছেন, আমরা
তার সাজাটা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগটা দিয়েছি। মানবিক কারণেই দিয়েছি। কিন্তু
বেশি বাড়াবাড়ি করলে, যদি ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বেশি
বাড়াবাড়ি করলে আবার জেলে পাঠিয়ে দেব। ’
খন্দকার মোশতাক
ও জিয়াউর রহমান জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে
হত্যা করে খুনিরা থেমে যায়নি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার নেতাকে হত্যা করেছিল। তারা
বাংলাদেশের ইতিহাসকেই পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছিল। খুনি মোশতাক-জিয়াই তাদের হত্যা করে।’
আওয়ামী লীগ
সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘৩ নভেম্বর চার নেতাকে হত্যার পর মানুষ বুঝে ফেলেছিল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসকে
মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র। জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে পাকিস্তানের যোগসাজশে হত্যাকারীদের লিবিয়ায়
আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করা হয়।’
তিনি বলেন,
‘কেন্দ্রীয়
কারাগারে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যায় না। কিন্তু, তারা অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল। গণভবন থেকে সেই
নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যেভাবে ঢুকতে চায়, সেভাবেই যেন ঢুকতে দেওয়া হয়।
জেলার তাদের ঢুকতে না দিলে তাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। মিটিংয়ের কথা বলে তারা ঢুকতে
চায়। কিন্তু তাদের সঙ্গে অস্ত্র ছিল।’
শেখ হাসনিা
বলেন, ‘জিয়া এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত ছিল বলেই মোশতাক যখন রাষ্ট্রপতি
হলো, নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েই জিয়াউর রহমানকে বানাল সেনাপ্রধান। কাজেই মোশতাকের
পতনের সঙ্গে সঙ্গে জিয়ার হাতে সমস্ত ক্ষমতা চলে এল।’
সভায় স্বাগত
বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক
সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল
ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী
লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জি. মোশারফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন
মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জাহান কল্পনা, শহীদ সৈয়দ
নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি
আবু আহমেদ মন্নাফি ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলু রহমান প্রমুখ।