ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের সময় আরও সাত দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে একটি লিখিত চিঠি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে পাঠিয়েছিলেন তারা। তবে মেলার সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে দিয়েছেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ইপিবির সচিব ইফতেখার আহমেদ জানান, সমাপণী অনুষ্ঠান ৩১ জানুয়ারিতেই হবে। বলেন, ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও বাড়ানো হচ্ছে না মেলার সময়। ৩১ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় সমাপণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বাণিজ্য মেলা। এর আগে ২৪ জানুয়ারি ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য লিখিত আবেদন জানান।
এদিকে আসরের শেষ শুক্রবার হওয়ায় সকাল থেকেই দর্শনার্থী সমাগমে মুখর রয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলার প্রধান ফটকের সামনে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি। তারা কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে লাইন ধরে মেলায় প্রবেশ করছেন। মেলার প্রবেশ গেটে পুলিশ ও মেলা কর্তৃপক্ষের লোকজন নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এদিন ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও আশপাশের অনেক এলাকা থেকে মেলায় এসেছেন। কেউ পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। আবার কেউ বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন।
মেলায় প্রবেশের পরই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সামনে থাকা সুবিশাল খালি জায়গা। যেখানে রয়েছে বিশ্রাম করার জন্য বেঞ্চ, দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা ও হাঁটা-চলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা। সেখানে অনেকেই গল্প-আড্ডায় মেতে উঠেছেন। আবার কেউ প্রিয়জনদের সঙ্গে ছবি তোলায় ব্যস্ত। এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এতে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নিয়েছেন।
গত ১ জানুয়ারি টানা দ্বিতীয়বারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আসর বসে। ২৭তম বাণিজ্য মেলার এ আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।