Logo
শিরোনাম

বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৩৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোডের সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মার্চ) বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবা‌দিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন ব‌লেন, গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমা‌দের এখানে ১১ জন রোগী ছিলেন, তার ম‌ধ্যে একজন‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কেলে স্থানান্তর করা হ‌য়ে‌ছে। কারণ তার বার্নট নাই। যে ১০ জন আছেন তার ম‌ধ্যে তিনজন আই‌সিইউ‌তে, দুইজন লাইফ সা‌পো‌র্টে, বাকিরা এস‌ডিইউ‌তে।

চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের ম‌ধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত নয় জা‌নি‌য়ে তিনি ব‌লেন, দগ্ধদের কারও ৮০ শতাংশ, কারও ৯০ শতাংশ; কারও ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে। যেহেতু সবারই শ্বাসনালী‌ পুড়ে গেছে তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বল‌তে পারব না।

বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৭ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ১৯ জন চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরে পাচ্ছেন না ‘আইএস বধু’ শামিমা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা শামিমা বেগমের মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এর মাধ্যমে কার্যত ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার দরজা বন্ধ হলো তার। নভেম্বর থেকে চলা ৫ দিনের শুনানির পর বিচারক রবার্ট জে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

 

২০১৫ সালে আরও দুই স্কুল বন্ধুর সঙ্গে আইএসে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়াতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। সেখানে একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি আইএস বধু হিসেবে পরিচিতি পান। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় দেশটির তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তার নাগরিকত্ব বাতিল করেন।

 

পরে উত্তর সিরিয়ার একটি শরনার্থী ক্যাম্পে সন্তান জন্ম দিলেও অল্পদিনের মধ্যে শিশুটি মারা যায়। শামিমা সে সময় গণমাধ্যমকে জানায়, এর আগে তার আরও দুই সন্তান সিরিয়াতে মারা গিয়েছিল। সে বছরেরই জুন মাসে সরকারের কাছে আবারও যুক্তরাজ্যে ফেরার আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনও যুক্তরাজ্য সরকার খারিজ করে দিয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: শামিমা বেগম

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




চিয়ায় স্বপ্ন বুনছেন লালমনিরহাটের কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্বল্প খরচ ও কম সময়ে ঘরে তোলা যায় চিয়া। আবার বাজারে চিয়ার ভালো দামও পাওয়া যায়। তাই তামাক বাদ দিয়ে চিয়ায় স্বপ্ন বুনছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা। চিয়া চাষে এখানকার মাটি উপযুক্ত হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালে লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ ও হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুকের উদ্যোগে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে পাঁচ একর জমিতে প্রথম চিয়া চাষ শুরু হয়। সরকারিভাবে চিয়া বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়। এবার জেলায় সাত একর জমিতে চিয়া চাষ হয়েছে।

 

উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের কৃষক জাহিদুল ইসলাম (৪০) প্রথমবারের মতো সুপারফুড চিয়া বীজ চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ৭৬ কেজি চিয়ার ফলন পান। ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন চিয়া। পাশাপাশি অন্যদেরও বীজ দিয়ে চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। কৃষক জাহিদুল ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ কৃষকের পুরস্কার পান। চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার অনেক কৃষক ক্ষতিকর তামাক চাষ বাদ দিয়ে সুপারফুড চিয়া চাষে ঝুঁকছে। জাহিদুল ইসলাম গতবছর ১০ কেজি চিয়া বীজ কুড়িগ্রাম, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্রি করেন। ওই এলাকার কৃষকরাও বীজ পেয়ে চিয়া চাষ শুরু করেন।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চিয়া বীজ সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের ভোজ্য বীজ। এটি মধ্য যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মরুভূমি এলাকার উদ্ভিদ। চিয়া বীজ দেখতে অনেকটা তোকমা দানার মতো। আকারে তিলের মতো সাদা ও কালো রঙের হয়ে থাকে। এক বিঘা জমিতে চিয়া চাষে সার, বীজ, সেচ ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ৭-৮ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় ১০০-১২০ কেজি চিয়া ফলন পাওয়া যায়। প্রতি কেজি চিয়া বীজের বাজার মূল্য ৮-১২০০ টাকা।

চিয়া বীজ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বীজ বপন শেষ হয়। মার্চ মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। এর ফসল ঘরে তুলতে সময় লাগে ১০০-১২০ দিন। চিয়া তুলে ইরিধান লাগানো যায়। চিয়া চাষে খরচ কম লাগে, অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান। চিয়া চাষ করে জমিতে তিন ফসল করা যাবে।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ জমির চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে চিয়া গাছের নীল রঙের বাহারি ফুল। দূর-দূরান্ত থেকে চিয়া গাছ দেখার জন্য আসছে লোকজন। নতুন ফসল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকরা।

 

সারডুবী গ্রামের কৃষক মনছুর আলী বলেন, জাহিদুল ভাইয়ের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ৮০ শতাংশ জমিতে চিয়া চাষ করেছি। জমিতে চিয়ার ভাল ফলন হয়েছে। গতবছর এ জমিতে তামাক চাষ করেছিলাম। এবার তামাকের পরিবর্তে চিয়া চাষ করেছি। ভালো ফলন ও দাম পেলে সামনের বছরে আরও বেশি করে চাষ করবো। চিয়া চাষ করে ভাগ্য বদলাতে চাই আমরা।

 

আদর্শ কৃষক জাহিদুল ইসলাম  বলেন, জেলার সাবেক ডিসি শামীম আশরাফ আমাকে প্রথম চিয়ার বীজ দেন। ৪০ শতাংশ জমিতে লাগাই। তাতে অন্য ফসলের তুলনায় চিয়ায় বেশি লাভ হয়। সেই থেকে এলাকার কৃষকদের ক্ষতিকর তামাক চাষ বাদ দিয়ে চিয়া আবাদে উদ্বুদ্ধ করি। এ বছর লালমনিরহাট জেলায় প্রায় সাড়ে ৭ একর জমিতে চিয়ার চাষ হয়েছে।  এলাকার অন্য কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে তামাক চাষের পরিবর্তে চিয়া চাষ করছে। এটাই আমার বড় পাওয়া। আমি হাতীবান্ধা উপজেলাকে শতভাগ তামাক মুক্ত উপজেলা করতে চাই।

 

হাতীবান্ধা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, চিয়া সিড চাষে কৃষকদের সবরকম পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমাদের দেশে চিয়া চাষ করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় তিন থেকে চার একর চাষাবাদ হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে চিয়ার আবাদ হবে। চিয়া একটি ঔষধি ফল। চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান  বলেন, চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণ আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যার ফলে শরীরের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। এ বীজ ত্বক, নাক ও চুল সুন্দর রাখে এবং ক্যানসার রোধ করে। ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। জেলায় এ বছর প্রায় সাত একর জমিতে চিয়া চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর দুই একর জমি বেড়েছে। জেলায় তামাকের পরিবর্তে চিয়ার আবাদে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে চিয়া চাষের প্রস্তুতি আছে।


আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপের মতো বিলাসবহুল সব ঘড়ির দাম কমে গেছে। তবে স্টক বা ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে সেগুলো অনেক বেশি আয় করেছে বলে জানিয়েছে মরগ্যান স্ট্যানলি। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিলাসবহুল ঘড়ির মূল্য ৮ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে রিসার্চ প্লাটফর্ম ওয়াচচার্টসের সূচক। গত ১৮ মাস জুড়ে প্রায় সব ধরনের সম্পদেরই দাম কমেছে। তবে অন্য সবকিছুর তুলনায় সেকেন্ড হ্যান্ড ঘড়ির দাম লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এমনটাই অভিমত মরগ্যান স্ট্যানলির বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড অবিনের।

আগে যেসব মডেলের ঘড়ি পাওয়া অনেক বেশি কঠিন হয়ে যেত, এখন বাজারটি সেসব মডেলে পরিপূর্ণ। গত নয় মাসজুড়েই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। চতুর্থ প্রান্তিকেই সেকেন্ডারি বাজারে রোলেক্স ঘড়ির সংখ্যা ১৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে মরগ্যান স্ট্যানলি এবং ওয়াচচার্টস। ২০২২ সালের পুরোটাজুড়ে রোলেক্স, প্যাটেক ফিলিপ এবং অডেমার্স পিগুইটের ঘড়ির সরবরাহ বেড়েছে যথাক্রমে ১০৪ শতাংশ, ১১০ শতাংশ ও ৭৮ শতাংশ।

মরগ্যান স্ট্যানলি জানিয়েছে, এ সময়ে অডেমার্স পিগুইটের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, প্যাটেক ফিলিপের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং রোলেক্সের দাম কমেছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ।


আরও খবর

ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে ই-ভিসা!

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মহাকাশ শিল্পের বাজার বিস্তৃত হচ্ছে

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৫৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মসজিদগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে সারাদেশে মোট ১৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন হলো। এরই মধ্যে প্রকল্পের দুই ধাপে একশ মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ তৃতীয় পর্যায়ে আরও ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।

ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাচেতনা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রূপ দিতে কাজ করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বাকি মসজিদগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করে বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চারতলা ও তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ধাপে ধাপে নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব মসজিদে ১৪টি বিশেষ সুবিধা আছে। এগুলো হলো- মসজিদে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা, নারী ও পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা। এসব মসজিদে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন। আর তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদে একত্রে ৯০০ জনের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে।

প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে সারা দেশে একযোগে মোট ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। আজকে তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করলে তিনি।

প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৫ সালের ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার সঙ্গে সংগতি রেখে সারা দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইসলামি সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠবে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো যেসব এলাকায় রয়েছে, সেগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদর ও বোয়ালমারী, রাজবাড়ী জেলা সদর এবং পাংশা। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর ও কালাই, নওগাঁ জেলা সদর, পত্নিতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট, পাবনা জেলার ফরিদপুর ও রাজশাহী জেলার চারঘাট, তানোর। রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলা সদর, ফুলবাড়ী, লালমনিরহাট জেলা সদর, নীলফামারী জেলা সদর, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া, বোদা, অটোয়ারী, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, দিনাজপুরের পার্বতীপুর। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া, নান্দাইল, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, কেন্দুয়া ও মদন উপজেলা। বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলা সদর, আগৈলঝাড়া। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, লক্ষ্মীপুর সদর এবং রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, সদর, দামুড়হুদা, জীবননগর, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, খুলনা জেলার তেরখাদা, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর, মিরপুর, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং যশোর জেলার সদর।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




চীনে কয়লা খনি ধসে চারজনের মৃত্যু, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চীনের আন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে একটি কয়লা খনি ধসে অন্তত ৪ জন নিহত, ৬ জন আহত ও ৪৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভূমিধসের কারণে উদ্ধার অভিযান বিঘ্নিত হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

শিনজিং কোল মাইনিং কোম্পানির পরিচালনাধীন আলক্সা লিগের একটি উন্মুক্ত কয়লা খনিতে বুধবার ধসের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দেন বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।  

শি বলেছেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে ও আহতদের চিকিৎসায় আমাদের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করতে হবে। 

কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় ভূমিধসের পর তল্লাশি অভিযান স্থগিত করা হয় এবং বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ফের শুরু হয়নি বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ভূমিধসে নতুন করে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর হয়নি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চীনে জ্বালানির অন্যতম বড় উৎস কয়লা। কিন্তু দেশটির কয়লা খনিগুলো বিশ্বের প্রাণঘাতী খনিগুলোর অন্যতম। নিরাপত্তা বিধির যথাযথ অনুসরণ না করাই এর প্রধান কারণ, যদিও সরকার গত কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তা মানের উন্নয়নের জন্য বারবার নির্দেশ দিয়ে আসছে।

আন্তর্মঙ্গোলিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কয়লা খনি অঞ্চল। গত বছর সরকার সরবরাহ বাড়িয়ে দাম স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানানোর পর থেকে চীনের খনিগুলো উৎপাদন বাড়ানোতে জোর দিয়েছে।

ভূমিধসের আগে খনিতে আটকা পড়া শ্রমিকদের খোঁজে চারটি উদ্ধারকারী দলের ১০৯ জন কর্মী কাজ করছিল। কর্তৃপক্ষ সেখানে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য আরও ২৩৮ জন দমকল কর্মী, ৪১টি ফায়ার ট্রাক ও ছয়টি উদ্ধারকারী কুকুর পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় ২০০ জন কর্মী নিয়ে আরও কয়েকটি উদ্ধারকারী দলের সেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেছাং খনি ধসের কারণ বের করতে দ্রুত তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

এই দুর্ঘটনা বৃহস্পতিবার চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে শীর্ষ আলোচনার বিষয় ছিল। খনিতে নিখোঁজ কর্মীদের বেশিরভাগ ময়লার ট্রাক ও খননকারী যন্ত্রগুলোর চালক ছিলেন বলে সেখানে জানিয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী।

বুধবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছিল, আহত ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তারা উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ও ৪৫ জন চিকিৎসা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কয়লা খনি ধস

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩