Logo
শিরোনাম

বাড়তে পারে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৬৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আসন্ন শীত মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। তবে কমছে গ্যাস উৎপাদন। আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি কমেছে। এ অবস্থায় শীতে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বাড়তি চাহিদা মেটানোর মতো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। ফলে আসন্ন শীত মৌসুমে তীব্র গ্যাস সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাড়তি গ্যাসের জোগান দিতে আমদানি করা এলএনজি এখন একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেই এলএনজির দামও আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ গুণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে দেশের জ্বালানি খাতের জন্য ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।

অথচ গত ৭ মাসেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কিনতে গিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে সরকার। এরই মধ্যে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও গ্যাসের দামের বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে ক্ষতির মাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা কঠিন।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। আর গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুতের দামও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

শীতের শুরুতে দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার ও শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। এতে সক্ষমতা থাকলেও পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারছে না গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো।

কোনো কোনোটি দিনের পর দিন বন্ধই রাখতে হচ্ছে। এছাড়া গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোতে নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির আবেদনের স্তূপ পড়েছে। সরবরাহ না থাকায় এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে ৩ হাজার ৪২ ঘনফুট এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু বিতরণ করা হয়েছে ২৯১৩ ঘনফুট এমএমসিএফডি।

এরমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে ১০৯১ ঘনফুট। যা মোট গ্যাস বিতরণের ৩৭ শতাংশ। যদিও পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর দিনে চাহিদা ছিল ২২৫২ ঘনফুট গ্যাস। এছাড়া সার কোম্পানিগুলোর দিনে চাহিদা ছিল ৩১৬ ঘনফুট গ্যাস।

বিতরণ করা হয়েছে ১২৮ ঘনফুট। মোট বিতরণের ৪ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। শিল্পকারখানাসহ অন্যান্য সব খাতে বিতরণ করা হয়েছে ১৬৯৫ ঘনফুট গ্যাস। যা মোটা বিতরণের ৫৮ শতাংশ।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সারা দুনিয়াতে তেল, গ্যাস, কয়লার দাম বেড়ে গেছে। অনেক দেশ টাকা দিয়েও এসব পণ্য কিনতে পারছে না।

বহু দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংকটে পড়েছে, তীব্র লোডশেডিংয়ে পড়েছে অনেক ধনী দেশও। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সংকট হয়নি। আগামীতেও আমাদের তেল ও আমদানি করা এলএনজিতে সংকট হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, কয়েক বছর পরপর ছোট একটি-দুটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করে না।

অনুসন্ধানে বাড়তি জোর না দেওয়াই সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল। তিনি বলেন, কম সম্ভাবনা নিয়েও অনেক দেশ এর চেয়ে বেশি অনুসন্ধান চালায়।

 

 

নিউজ ট্যাগ: গ্যাস-বিদ্যু

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3