Logo
শিরোনাম

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ২৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান সপ্তম। শনিবার সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৫৭ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল। এ তালিকায় শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেশিসংখ্যক দিন অস্বাস্থ্যকর বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। এ ধারাবাহিতা রয়েছে চলতি মার্চেও। 

একিউআই স্কোরে শীর্ষে আছে ইরাকের বাগদাদ, স্কোর ২২৭। দ্বিতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর, স্কোর ১৬৪। ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ভারতের কলকাতা। পঞ্চমে কাজাখস্তানের আস্তানা, স্কোর ১৬১।

আইকিউএয়ারের প্রকাশিত বৈশ্বিক বায়ুর মান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, ২০২২ সালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল বাংলাদেশে। সাত হাজার ৩২৩টি শহরের মধ্যে দূষিত বায়ুর জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ৪৯তম। ওই বছর ঢাকার বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) ২.৫ এর বার্ষিক গড় ছিল ৬৫.৮ মাইক্রোগ্রাম, যা অতি দূষিত ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। শুধু ঢাকা নয়, ওই বছরও বিশ্বের অতি দূষিত শহরগুলোর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় নগরীগুলোরই নাম এসেছে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ভালো বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে মধ্যম মানের ও ১০১-১৫০ হলে বিপদসীমায় আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৩০১-৫০০ হলে বিপজ্জনক বলা হয়।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতির বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৬১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মেহমান হয়ে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সদরের কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে পৌঁছান তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন ও বিশ্রাম নেবেন।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে মিঠামইনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনানিবাস উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর সুধী সমাবেশে অংশ নেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




মানুষ খুশি হলে বিএনপি অখুশি হয় : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৪৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ভালো থাকতে দিবে না। আপনারা খুশি থাকলে উনারা বেজার। বিএনপি খুশি নয়, কিন্তু মানুষ খুশি। মানুষ খুশি হলে বিএনপি অখুশি হয়। আজ শনিবার ( ১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, লোকে বলে, ময়মনসিংহ হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য দুর্গ। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে একনজর দেখানোর জন্য গ্রেটার ময়মনসিংহ থেকে অগণিত মানুষ ময়মনসিংহে ছুতে এসেছে। আজকে প্রমাণিত হলো ময়মনসিংহ শেখ হাসিনার।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি এখন ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে। একদিকে লন্ডনের ফরমাইশ। অন্যদিতে টাকা ওয়ালারা দিশেহারা। বিএনপিতে আর এই দেশের মানুষ ফিরে যেতে চায় না। ধানের শীষ, পেটের বিষ। মানুষ বলে সাপের বিষ। ময়মনসিংহের গ্রাম শহর হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। একসঙ্গে ৭৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন, শুনেছেন কখনও? আপনারা ভোট দিয়েছেন বলেই এত উন্নয়ন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ময়মনসিংহের ঘরে ঘরে আগে ছিল অন্ধকার, এখন বিদ্যুতের আলো। হাতে হাতে মোবাইলফোন, ডিজিটাল কেন্দ্র, এই সেবা অতীতে কখনো পেয়েছেন? আজকে মায়েদের কাছে সন্তানদের উপবৃত্তির টাকা যায়। আজকে যে মা মোবাইলফোন কিনতে পারে না, তার মোবাইলফোন সরকার থেকে কিনে দেওয়া হয়। আজকে মায়েরা বড় সম্মানিত। শেখ হাসিনা বাবার পাশে মায়ের নাম রেখেছেন। এত বড় সম্মান, নারী জাতিকে আর কেউ দিয়েছে? তাদের (বিএনপি) বড় জ্বালা, অন্তর জ্বালায় বিএনপি, দিনের আরাম রাতের ঘুম নষ্ট। আন্দোলনে মনে হয়, আর খেলতে হবে না। আন্দোলন করার শক্তি আর তাদের নেই। দৌড়াতে দৌড়াতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের শক্তি কমে গেছে, কিন্তু মুখের বিষ কমেনি। প্রতিদিন বিএনপির নেতারা গালিগালাজ করে।


আরও খবর



স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা চায় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতার সম্মেলনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছি। স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে সহযোগিতা করতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে যান শেখ হাসিনা। এলডিসি-৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেন তিনি। গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে কাজ করছি। এ জন্য কাতারসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




বাঙালি জাতির ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।

২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বহুভাষায় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা, যা তাঁর বিবেচনায় অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫২ সালের এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণোৎসর্গ করেছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিকউদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ আরও অনেকে। আমি বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষা-শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। সেই সঙ্গে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করিবাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব ভাষাসৈনিকদের, যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামের বিনিময়ে আমাদের মা, মাটি ও মানুষের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ বাঙালির গৌরবময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যুগে যুগে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করেছেন। ১৯৪৭ সালের ২৭ নভেম্বর করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকায় এ খবর পৌঁছামাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাজা নাজিমুদ্দিনের বাসভবনের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে। এর কিছুদিন পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শেখ মুজিব তাঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এক সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে খাজা নাজিমুদ্দিন আইন পরিষদে ঘোষণা দেয়, পূর্ব বাংলার জনগণকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু নাজিমুদ্দিনের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিস ও অন্যান্য দলের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১১ মার্চের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে শেখ মুজিবসহ অনেক ভাষাসৈনিক সচিবালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ১৫ মার্চ মুক্তি পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলার সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জিন্নাহ ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে উর্দুর পক্ষে বক্তব্য রাখে এবং ২৪ মার্চ কার্জন হলে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দিলে ছাত্ররা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে।

ভাষা আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনে রূপদান করতে শেখ মুজিব দেশব্যাপী সফরসূচি তৈরি করে ব্যাপক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন এবং সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পান। ১৯ এপ্রিল আবার গ্রেপ্তার হয়ে জুলাই মাসে মুক্তি পান। এরপর তিনি ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। শেখ মুজিব ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থেকেও ভাষাসৈনিক ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন এবং আন্দোলনকে বেগবান করতে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তিনজন দূত মারফত এই মর্মে খবর পাঠান যে ২১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতাল ডাকতে হবে। শেখ মুজিব আমরণ অনশন ঘোষণা করলে ১৬ ফেব্রুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তরিত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব-বাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের বাজেট অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত ছিল। শেখ মুজিবের পরামর্শ ও নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন সারাদেশে সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে এবং সেখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে কতগুলো তাজা প্রাণ নিমেষেই ঝরে পড়ে, অনেকে আহত হন, অনেকে গ্রেপ্তার হন। ২২ ফেব্রুয়ারি হরতাল পালিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভা গঠন করে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়, প্রথম ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে এবং শহীদ মিনার তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করে। দুর্ভাগ্য, ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারির ফলে সেই আকাঙ্ক্ষাগুলো আর পূরণ হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা সব দাপ্তরিক কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ দেন। তিনি সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করেন। বাংলায় জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা দিয়ে আমাদের মাতৃভাষাকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কানাডা প্রবাসী রফিক এবং ছালাম নামে দুজন বাংলাদেশি কয়েকজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য মিলে মাতৃভাষা সংরক্ষণ কমিটি গঠন করে। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ ও তাদের মর্যাদা রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করেছি। ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বইসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করছি।

মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শকে ধারণ করে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, যা স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্জিত হবে। সেই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেনজাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন।

সূত্র : বাসস


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট না দেওয়ার কারণ জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্যাখায় ঢাকা বলছে, প্রস্তাবে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় টেকসই ও বাস্তবসম্মত পথরেখা না থাকায় ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ভোটের ব্যাখ্যায় মুখপাত্র বলেন, আমরা এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ যে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি যেকোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এই বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর গুরুত্ব দেই।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের যেকোনো অর্থবহ এবং টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। আমাদের মতে এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা বিরত থাকতে বাধ্য ছিলাম।

মুখপাত্র বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি শত্রুতা  নয়-এ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। সার্বভৌম সব রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং সম্মানের নীতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতিসংঘের সনদে উল্লেখিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, পাকিস্তানসহ ৩২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

প্রস্তাবটিতে ভোটদানে বিরত থাকা আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো শ্রীলঙ্কা, আলজেরিয়া, বলিভিয়া, ইরান, কিউবা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে।

এদিকে, যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়াকে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনীত রেজুলেশনে ভোটদানে বিরত থাকায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মস্কো।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩