Logo
শিরোনাম

বগুড়ায় হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে খালা জোসনা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ভাগ্নে মো. বুলুর (৩২) যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালাত। একই সঙ্গে রায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুরে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ হাবিবা মন্ডল এই রায় প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ৩ মে বেলা সাড়ে ১২টার সময় বগুড়া আদমদিঘি উপজেলার তালশন পশ্চিম পাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আসামি বুলু জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার মায়ের ঘরের মধ্যে খালা জোসনা বেগমকে ধারালো বটি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে জোসনা বেগম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে আদমদিঘি হাসপাতলে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত জোসনা বেগমের স্বামী একই গ্রামের আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে আদমদিঘী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আদমদিঘি থানার তৎকালীন এস আই রফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালের ৮ জুলাই আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে দির্ঘ শুনানী শেষে মামলায় এই রায় ঘোষণা করা হয়। মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এড. নাসিমুল বারি হলি ও আসামি পক্ষে এড. আব্দুর রশিদ।

এপিপি এড. নাসিমুল বারি হলি জানান, মামলার রায়ে বাদি সন্তুষ্ট হয়েছে। যথাযথ বিচার পেয়েছেন।


আরও খবর

তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে প্রাণ গেলো ২ ভাইয়ের

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

টয়লেটের কুপ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রোনালদোর 'অভিষেক' গোলে আল নাসরের বড় জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২১ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৮৫৫ গোল রোনালদোর। এতদিন পর এসে কীসে অভিষেক গোল পেলেন রোনালদো! ইউরোপীয় ফুটবলকে বিদায় বলার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেই রোনালদো। তবে আল নাসরের হয়ে আরেক চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছেন তিনি। সেটা এএফসি চ্যাম্পিয়ন লিগে। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে গতকাল অভিষেক গোল পেয়েছেন সিআর সেভেন। পর্তুগিজ তারকার 'অভিষেক' গোলের রাতে তাজিকিস্তানের ক্লাব ইস্তিকললের বিপক্ষে ৩১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে আল নাসর।

আল আওয়াল পার্কে প্রথমার্ধে দাপট দেখায় স্বাগতিক আল নাসর। তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি। উল্টো বিরতির মিনিটখানেক আগে ইস্তিকললের কাছে গোল হজম করে আল নাসর। প্রথম আক্রমণে গিয়ে গোল করেন সেনিন সেবাই।

বিরতির পর গোলের দেখা পাচ্ছিল না সৌদি ক্লাবটি। অবশেষে ৬৬ মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন রোনালদো। তার শট প্রথমে ব্লক হলেও ফিরতি শটে ইস্তিকলোল কিপার রুস্তম ইয়াতিমোভের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান। এ নিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন এই পর্তুগিজ তারকা। প্রতিযোগিতায় রোনালদোর প্রথম গোলের পর আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় পুরো দলের। এরপর পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন অ্যান্ডারসন তালিস্কা। তাতে জিতে যায় আল নাসর।

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম গোল পেয়ে উচ্ছ্বসিত রোনালদো। ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'দলের প্রত্যেকে ভালো খেলেছে। প্রথম এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোল পেয়ে আমি খুশি। আমরা জয়কে অব্যাহত রাখি।'

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা ১০ ম্যাচ জিতল সৌদি ক্লাবটি। আর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে পেল দ্বিতীয় জয়।

 


আরও খবর



ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চীনের কাছে চিপ রপ্তানিতে আসছে আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চীনে চিপ রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন চীনকে এই বলে সতর্ক করেছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিপ বা এআই চিপ ও চিপ নির্মাণের উপকরণ রপ্তানি সীমিতকরণ বিধিমালা শিগগিরই হালনাগাদ করা হবে। চলতি মাসেই তা করা হতে পারে।

 বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মূলত এ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বিষয় দেখভাল করে। তারা এখন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বিধি হালনাগাদ করতে কাজ করছে। এর মধ্য দিয়ে নেদারল্যান্ডস ও জাপানের অনুসরণে যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে চিপ রপ্তানি আরও সীমিত করবে। সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চিপ রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব ফাঁকফোকর আছে, সেগুলো বন্ধ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এ সময় যে তালিকা হালনাগাদ করা হতে পারে, চীন নিজেই তা ধারণা করছিল। এর আগে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর মূল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের এ তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা। তবে এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

নিষেধাজ্ঞা হালনাগাদের তথ্য আগাম জানানোর মধ্য দিয়ে বাইডেন প্রশাসন অবশ্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বেলুন ভূপাতিত করার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চীন সফরে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমোন্ডো। গত আগস্ট মাসেই তিনি চীন সফর করে ফিরেছেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তার মূল্য উদ্দেশ্য ছিল এ রকম: চীন যেন মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে না পারে এবং তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে উন্নত চিপ নির্মাণের উপকরণ আমদানি করতে না পারে। এ বিষয়ে রয়টার্স মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চীন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ওয়াশিংটনের দেওয়ার মতো কিছু নেই। মুখপাত্র লিউ পেংগুই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে জাতীয় নিরাপত্তার ধারণা সম্প্রসারণ করছে এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, আমরা তার জোর বিরোধিতা করি।

হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা পিটার হ্যারেল অবশ্য জানেন না যে মার্কিন প্রশাসন চীনকে এই নতুন নিয়মের বিষয়ে অবগত করেছে। তবে যদি তারা সেটা করে থাকে, তাহলে তাকে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে মানতে হবে। এতে ভুলবোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।

রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, বিশ্বের চিপ তৈরির উপকরণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও জাপান। তারা চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনের কাছে এসব উপকরণ রপ্তানি সীমিত করতে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।


আরও খবর



এদেশে জন্ম নেওয়া কেউই সংখ্যালঘু নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৯৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়। নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কে জাতীয় পার্টি, কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, বা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, তা দেখে সেবা করি না আমরা। সব রক্তের রং লাল। মুক্তিযুদ্ধে সবার রক্ত মিশে গেছে এক স্রোতে। তাই এই দেশ সবার।

সরকারপ্রধান বলেন,  যোগ্যতা দেখেই মূল্যায়ন করা হয়, এখানে ধর্মীয়ভাবে কোনো চিন্তা করা হয় না। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই নীতিতে সরকার বিশ্বাস করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের মাটি আজ ধন্য হয়েছে। যারা এই দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছেন, তারা সবাই এই মাটিরই সন্তান ও নাগরিক। এই মাটির ওপরই আপনাদের অধিকার। কেন সংখ্যালঘু বলেন নিজেদের?

শেখ হাসিনা বলেন, শ্রী কৃঞ্চের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য। সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে, মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবাই প্রাথমিক শিক্ষা পাবে।


আরও খবর



‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে আর কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন খালেদা জিয়ার জন্য তাই করেছেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে তার সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।

শেখ হাসিনা এসময় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ২০০৪ গ্রেনেড হামলা, শেখ রেহানার বাড়িটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত করা, যা তিনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রণীত আইনের অধীনে পেয়েছিলেন এবং তা বিএনপি সরকারের লংঘনের ঘটনা উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

সরকার প্রধান প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে, অনুমোদন এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, তিনি খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেওয়ার জন্য সবাইকে বলেন।

বাংলাদেশ স্মার্ট হবে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এটিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩