বেশ কিছু দিন
আলাদা হয়ে গিয়েছেন দু’জনে। কিন্তু শয়নে-জাগরণে
বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে প্রাক্তনের কথা? বিচ্ছেদ হয়েছে আর এমন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাননি,
এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। বিচ্ছেদ-বিরহ সহজ হলে তা নিয়ে এত গান-কবিতা লেখা হত
না। কাজেই সময়টা কঠিন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। দেখা দিতে পারে দ্বিধা, সংশয়, মানসিক অস্থিরতাও।
তা হলে যাঁরা বিচ্ছেদের পরেও ভুলতে পারছেন না প্রাক্তনকে, কী করবেন তাঁরা?
১। কিছু দিন যোগাযোগ
বন্ধ রাখুন
যদি সম্ভব হয়,
অন্তত কিছু দিনের জন্য চেষ্টা করুন প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার। অনেকে
ভাবেন বন্ধুত্ব রক্ষার কথা। কিন্তু প্রাক্তনকে জীবনের অংশীদার করার জন্য যে পরিণতমনস্কতা
দরকার, তা সকলের না-ও থাকতে পারে। আবার সদ্য বিচ্ছেদের অভিঘাতেও অনেকের মন অস্থির থাকে।
প্রাক্তনের বন্ধুত্বের থেকেও আপনার নিজেকে বেশি দরকার এই সময়ে। যোগাযোগ থাকলে সেই পিছুটান
থেকে নিজেকে বার করে আনা সহজ নয়। যদি ভবিষ্যতে যোগাযোগ রাখতে চান, তার জন্যও একটি সাময়িক
বিরতি প্রয়োজন হতে পারে। অনেকেই বিচ্ছেদের পরেও উঁকি মারেন প্রাক্তনের নেটমাধ্যমে।
মন পরিণত না হলে এই অভ্যাসও অনেক সময়ে ভুলতে দেয় না প্রাক্তনকে।
২। ক্রোধ নয়
অতীত আপনার সঙ্গে
ঘটে যাওয়া বাস্তবেরই অংশ। অনেক সময়ে বিচ্ছেদের আগে যে টানাপড়েন চলে, তাতে বিষিয়ে যেতে
পারে মন। কাছের মানুষের থেকে পাওয়া আঘাত থেকে তৈরি হতে পারে রাগ ও ঘৃণা। কিন্তু মনে
রাখবেন রাগ কিংবা ঘৃণার কোনওটিই মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তাই নির্যাতন সংক্রান্ত
ঘটনা না ঘটে থাকলে, অতীতের অনুভূতির মধ্যে নিজেকে বন্দি করে রাখবেন না। প্রাক্তনের
উপর কোনও নেতিবাচক অনুভূতি পুষে রাখলে তাতে নিজেরই ক্ষতি হয়। অতীতের সঙ্গে বিবাদ থাকলে
সামনের দিকে এগিয়ে চলা কঠিন হয়। অতীত থেকে শিক্ষা নিন, কিন্তু অতীতে বসবাস করবেন না।
৩। সত্য মেনে
নিন
কোনও মানুষ জীবনে
এলে এক দিন সকালবেলা উঠে তাঁকে পুরোপুরি জীবন থেকে মুছে ফেলব, এমনটা সম্ভব নয়। কারও
কারও ক্ষেত্রে আবার বিচ্ছেদ সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে পারে। ভালবাসায় নয়। কাজেই বিচ্ছেদ
সত্ত্বেও প্রাক্তনের প্রতি ভালবাসা থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সম্পর্কের অনেকটাই নির্ভর
করে যাপনের সাম্যের উপরেও। উল্টো দিকের মানুষটিকে ভালবাসার চেয়ে নিজেকে ভালবাসা কম
গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকেই সম্পর্ক ভাঙার পর অন্যের কিংবা নিজের উপর দোষারোপ কয়েন। কিন্তু
বিচ্ছেদের পর খুঁত খুঁজে বার করার থেকেও নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি।