বিদেশি কর্মীদের জন্য বিশ্বের ব্যয়বহুল
শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্সার। এতে বিদেশি কর্মীদের
বসবাসের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছে
রাজধানী ঢাকার নাম। গতকাল বুধবার মার্সারের ওয়েব সাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্সারের ‘কস্ট অব লিভিং
সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক তালিকায় দেখা গেছে, এ বছর ঢাকার অবস্থান ৫৮
ধাপ অবনমন হয়েছে। তারপরও বিশ্বের ১০০ ব্যয়বহুল শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকার নাম। দক্ষিণ
এশিয়ার অন্য কোনো শহর আর ১০০ ’র মধ্যে নেই। এ বছরের বৈশ্বিক তালিকায়
ঢাকার অবস্থান ৯৮ তম, গত বছর যা ছিল ৪০ তম। ২০২০ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল ২৬। সেই হিসেবে
গত এক বছরে ঢাকার জীবনযাপনের ব্যয় কিছুটা কমেছে।
বিশ্বের ৪০০ শহরের ওপর জরিপ চালিয়ে ২২৭টি
শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্সার। তালিকা তৈরির সময় আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, পোশাক,
গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী, বিনোদনসহ প্রতিটি শহরের দুই শতাধিক পণ্য ও পরিষেবার তুলনামূলক
খরচ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার আরও যেসব শহর স্থান
পেয়েছে তার মধ্যে ভারতের মুম্বাই ১২৭ তম, নয়াদিল্লি ১৫৫ তম, চেন্নাই ১৭৭ তম ও বেঙ্গালুরু
১৭৮ তম, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ১৮১ তম, কাতারের দোহা ১৩৩ তম, সৌদি আরবের
জেদ্দা ১১১ তম, কানাডার ভ্যানকুভার ১০৮ তম, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ১০৬ তম এবং অস্ট্রেলিয়ার
ক্যানবেরা ১০৪ তম অবস্থানে রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বিদেশিদের জন্য কম ব্যয়বহুল
শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও বন্দরনগরী করাচি। বৈশ্বিক
হিসেবে শহর দুটোর অবস্থান যথাক্রমে ২২৪ তম ও ২২৩ তম।
মার্সারের জরিপে বিদেশি কর্মীদের জন্য
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে হংকং। এর পরের অবস্থানে আছে যথাক্রমে
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ও জেনেভা শহর। এ তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে তুরস্কের শহর
আঙ্কারার নাম। আঙ্কারার অবস্থান ২২৭ তম।