গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিডিআর সদস্য হিরু মিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। এ ছাড়া এ মামলার অপর ১৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দিয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আবু সাম ওরফে সামচুল হক, রওশন শেখ, লিয়াকত শেখ ও রাজা ফকির। রায় দেওয়ার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, চুন্নু ফকির (পলাতক), গিয়াস উদ্দিন (পলাতক), ছিদ্দিক শেখ (পলাতক), ফিরোজ শেখ (পলাতক), সেলিম (পলাতক), হাফিজুর রহমান, হবি শেখ, সাহা আলম ফকির, নিজাম ফকির, গোলাম রসুল, বাদশা মিয়া, সায়েদ আলী শেখ, মাহমুদ ফকির ও সালাউদ্দিন শেখ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার কোড়ামারী গ্রামের বিডিআর সদস্য হিরুর মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমিজমা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধ ছিল।
হিরু মিয়া ছুটিতে বাড়ি আসলে গত ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদ থেকে বাড়ি আসার পথে কোড়ামারী প্রাইমারি স্কুলের সামনে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে আসামিরা। পরে তাকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার হিরু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন ২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী জোনাকী বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অপর ১৪ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান। আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান ও অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান খান।