বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় দুই নেতা। পদত্যাগপত্রে কারণ হিসেবে তারা ব্যক্তিগত এবং শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন।
সোমবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হানিফ এবং কর্নেল (অব.) শাহজাহান পদত্যাগ করেন। তারা একসঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে মেজর (অব.) হানিফ বলেন, 'ব্যক্তিগত কারণে পদ ছেড়ে দিয়েছি। সোমবার আমি এবং কর্নেল (অব.) শাহজাহান একই সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে আমাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে রিসিভ করিয়ে এনেছি। বয়স হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেছি।'
তবে তার সমর্থকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব নেতাদের দলে কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। তাদের সাইডলাইনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে পরবর্তী কোনো পর্যায়ে সাবেক এসব সেনা কর্মকর্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। মেজর (অব.) হানিফ ২০১৩, ২০১৪ সালের আন্দোলনে রাজপথ থেকে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাগারে ছিলেন। কিন্তু ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ তার থেকে কম পরিচিত ও কম ত্যাগীদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। এমনিভাবে অন্য সাবেক সেনা কর্মকর্তাদেরও দলে মূল্যায়ন হয়নি বলে রাগে, ক্ষোভে তারা বিএনপির রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে কর্নেল (অব.) শাহজাহান আগের কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালের বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তাকে কেন্দ্রীয় কোনো পদ দেওয়া হয়নি। তিনি পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতেও তিনি চরম কোনঠাসা। কর্নেল শাজাহান ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দল থেকে পদত্যাগ করলেন নাকি রাজনীতি থেকে অবসরে গেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) হানিফ বলেন, 'বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছি।'