বিএনপি আবারও গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে কিন্তু জনগণ তা প্রতিরোধ করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসাথে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যে কোনো অপতৎপরতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহমান সভায় বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আজকে ৩০ ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে আমরা জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি। সেদিন ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। এজন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না এই নিয়ে তারা খোলসা করে শুরু থেকেই কিছু বলেনি। পরবর্তীতে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং একইসাথে হাঙ্গামা বাঁধিয়ে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা। এটিই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয়কেতন উড়েছে ৩০ ডিসেম্বর। সেজন্য আজকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস।
বিএনপি যেহেতু সেদিন নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে, সেজন্য তারা দিবসটিকে ভিন্নভাবে পালন করছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারা সেদিন গণতন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। সেজন্যই তারা আজকে ভিন্ন নাম দিয়ে দিবসটি পালন করছে।