Logo
শিরোনাম

বিমানবন্দরে আসছে ডিজিটাল সার্ভিস

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ৭০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের বিমানবন্দর সেবায় আসছে আধুনিক প্রযুক্তি। প্রাথমিকভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে ডিজিটাল এয়ারপোর্ট সার্ভিস। বিমান উড্ডয়নের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভবন নির্মাণে উচ্চতা নির্ধারণ করে থাকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ডিজিটাল সেবা চালু হলে এটি অ্যাপসের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে। ডিজিটাল এয়ারপোর্ট সার্ভিস এবং ভবনের উচ্চতা নির্ধারণে পৃথক অ্যাপস ইতোমধ্যে প্রস্তুত করেছে বেবিচক। অ্যাপস দুটি যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন, সে লক্ষ্যে সময় চাওয়া হচ্ছে। একই দিন পাইলটদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চালু হতে যাওয়া শিক্ষাবৃত্তিরও উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে চালু হচ্ছে ডিজিটাল এয়ারপোর্ট সার্ভিস। চালু হতে যাওয়া অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রীরা সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে প্রবাসীরাও বিমানবন্দরে করণীয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন। মোবাইল অ্যাপসটিতে অত্যাধুনিক দুটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর একটি অপমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) ইনডোর লোকেশন সার্ভিস। বিমানবন্দরের ভেতরে পরবর্তী কোন দিক দিয়ে কোথায় যেতে হবে তার সব বিবরণ মিলবে। আরেকটি হচ্ছে ভয়েস সুবিধা ব্যবহার করে বাংলা ও ইংরেজিতে মিলবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও নির্দেশনা।

জানা গেছে, বিমানবন্দরের যাত্রী ও প্রবাসীরা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), স্বাস্থ্য বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ ও এভসেকের সব সেবা পাবেন। মিলবে ফ্লাইটের হালনাগাদ তথ্য, এয়ারলাইন্সের নাম ও যোগাযোগ, বিমানবন্দরে ব্যবহৃত সকল সাইন, বহনের জন্য নিষিদ্ধ জিনিসপত্রের তালিকা, শুল্ক করের তালিকা, লাগেজের নিয়ম, ইমিগ্রেশন বিধিমালা, গন্তব্য এয়ারপোর্টের বিধিমালা, স্বাস্থ্যবিধি, প্রবাসী কল্যাণ নির্দেশিকা ও সুবিধার তথ্য, এয়ারপোর্টে খাবার, নামাজঘর, কেনাকাটা, ওয়াশরুম, মুদ্রা বিনিময়, ট্যাক্সি, বিমানবন্দরের মানচিত্র। যারা বিদেশযাত্রায় নতুন, তাদের জন্য করণীয় বিশেষ নির্দেশনাও থাকছে ওই অ্যাপসে। তা ছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে থাকা সুবিধা সহজ ও সঠিক পদ্ধতিতে জানা যাবে। অ্যাপসটি প্রস্তুত করেছে যৌথভাবে প্রাইমটেক সলিউশন লিমিটেড, স্পিনঅপ স্টুডিও অ্যান্ড ইনোভেজিয়ন টেকনোলজিস।

এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, যে কোনো মোবাইল ফোনে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করে সেবা পাওয়া যাবে। ফ্লাইট সম্পর্কিত তথ্য, গন্তব্য, বিমানবন্দরের ডেটাসহ নানা ধরনের সেবা মিলবে এতে।

জানা গেছে, ডিজিটাল এয়ারপোর্ট সার্ভিস নামের অ্যাপসের পাশাপাশি ভবনের ইচ্চতা নির্ধারণে আরেকটি অ্যাপস তৈরি করেছে বেবিচক। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরের অবস্টেকল লিমিটেশন সারফেস (ওএলএস) অন্তর্ভুক্ত এলাকার ভবন নির্মাণে প্রযুক্তির সহযোগিতা নেবে বেবিচক। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনো জায়গায় ভবন বা স্থাপনা নির্মাণে বেবিচক থেকে উচ্চতার ছাড়পত্র নিতে হয়। বেবিচকের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এটি দেওয়া হয়ে থাকে। রাজউক বা অন্য সংস্থা উচ্চতার ছাড়পত্র চাইলে এভাবে দেওয়া হতো। বিমানবন্দরের ভৌগোলিক স্থানাঙ্কভিত্তিক ভবন/স্থাপনা নির্মাণে উচ্চতার ছাড়পত্র দিতে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুশাসন দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে উচ্চতার ছাড়পত্র দিতে হাইট ক্লিয়ারেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যাপস করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রাথমিকভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তেজগাঁও বিমানবন্দর বিবেচনায় রেখে একটি অ্যাপস প্রস্তুত করা হয়। গত ৩০ জুন থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর অ্যাপসের মাধমে সাধারণ মানুষ চাহিদা অনুযায়ী প্রাপ্য উচ্চতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও প্রাপ্য উচ্চতার ছাড়পত্র অনলাইনে সংগ্রহ করা যাবে।

অ্যাপস দুটির উদ্বোধনের দিনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চালু হওয়া শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেক্সট জেনারেশন অব এভিয়েশন প্রফেশনালস স্কলারশিপ (এনজিএপি) শীর্ষক এ বৃত্তি তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে। প্রথমবার ছয় নারী শিক্ষানবিশ বৈমানিক এ বৃত্তির আওতায় আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ সেপ্টেম্বর-এর অনুমোদন দিয়েছেন। এ স্কলারশিপের আওতায় চলতি বছর শুধু ক্যাটাগরি ১-এর আওতায় শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে বিমান টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলীসহ নতুন প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাদার তৈরিতে নারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে বেবিচক।

সূত্রমতে, ক্যাটাগরি-১ এ সিভিল ফ্লাইংয়ের ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষানবিশদের মধ্যে তিনজন নারী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে দেওয়া হবে তিন লাখ টাকা। ক্যাটাগরি-২ এ বিমান রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশল ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশদের মধ্যে দুই নারী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর ক্যাটাগরি ৩-এ উন্নয়ন সুরক্ষাসহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/ইউনিটের শিক্ষানবিশদের মধ্যে একজন নারাী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে এক লাখ টাকা।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর