নওগাঁর
রানীনগরে শিহাব শেখ (১৯) নামে এক যুবককে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যার অভিযোগ
উঠেছে তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ১টায় রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঘটনাটি
ঘটেছে উপজেলার কুজাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামে। নিহত শিহাব শেখ কুজাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের
আমজাদ হোসেনের ছেলে।
নিহতের
মা মর্জিনা বেগম জানান, প্রেমের সম্পর্কে গত বছরের মার্চে একই গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন
মুজামের মেয়ে রিয়া খাতুনের (১৫) সঙ্গে বিয়ে হয় শিহাবের। বিয়ের পর থেকেই মেয়ের পরিবারের
মামলার কারণে তারা দুজন একসঙ্গে না থেকে আলাদা থাকতেন।
তিনি
আরও জানান, বুধবার পরিবারের অজান্তে শিহাব ও তার স্ত্রী রিয়া কাশিমপুর গ্রামে এক আত্মীয়র
বাড়িতে ঘুরতে যান। সেখান থেকে ফিরে তার বাড়িতে এসে রিয়ার জন্মদিন পালন করেন শিহাব।
ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়ের পরিবারের লোকজন তার বাড়িতে এসে বুঝিয়ে মেয়েকে নিয়ে যান।
মর্জিনা
আরও জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অজান্তে শিহাবকে ফুসলিয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন
তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি শিহাব বিষাক্ত গ্যাস
ট্যাবলেট খেয়েছে।
এরপর
স্থানীয় লোকজন শিহাবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থার অবনতি
হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ১টার
দিকে মারা যায় শিহাব।
নিহতের
মা মর্জিনা অভিযোগ করে বলেন, শিহাব মারা যাওয়ার আগে আমাদের জানিয়েছে, তার শ্বশুর মোজাম্মেল
হোসেন মুজাম ও চাচা শ্বশুর সিদ্দিক মিলে তাকে হত্যার জন্য জোর করে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট
খাইয়েছেন। এ ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অভিযোগের
বিষয়ে জানতে মোজাম্মেল হোসেন মুজাম ও সিদ্দিকের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ
পাওয়া যায়। এছাড়া তারা দুজন বাড়িতে না থাকায় তাদের মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে রানীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম
রেজা বলেন, নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।