Logo
শিরোনাম

বিশ্ব এইডস দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য অসমতা দূর করি, এইডসমুক্ত বিশ্ব গড়ি

১৯৮৮ সালে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি এবং সে বছরই ১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এ দিবস পালনের সূচনা।

এইডস (অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম) হলো এক ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এ রোগ এইচআইভি নামক ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এইচআইভি এমন একটি ভাইরাস, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।

তাছাড়া এ ভাইরাসটি রক্তের সাদা কোষ নষ্ট করে দেয়, যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়া। তবে এইচআইভি ও এইডস কিন্তু একই নয়। এইচআইভি একটি ভাইরাস এবং এইডস একটি অসুস্থতা, যা এইচআইভির কারণে হয়।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর তথ্যমতে, বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী ৪ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৪ জন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে বিশ্বে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। দেশে এইডস সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার জন। তবে আক্রান্ত কম হলেও ঝুঁকি বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশে ভারত ও মিয়ানমার এ রোগের উচ্চঝুঁকিতে।

সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট শনাক্ত রোগীর বড় একটি অংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। সবকিছু বিবেচনায় এইচআইভির সংক্রমণ রুখতে দেশের বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই রোগ প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারিভাবে যেমন উদ্যোগ নিতে হবে তেমনি নাগরিকদের মধ্যেই বাড়াতে হবে সচেতনতা। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার উচ্চঝুঁকির দেশ। তাদের সঙ্গে এদেশের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নানারকম যোগাযোগ আছে। তাই জনগোষ্ঠী সচেতন না হলে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে না।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩