Logo
শিরোনাম

বিশ্বে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে দেড় শতাধিক। এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৩ জন। যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৬৫ হাজারের বেশি। আর সুস্থ্য হয়েছেন ৯৮ হাজার ৬৫৭ জন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাস হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৮ জন এবং মারা গেছেন ৪০৭ জন।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫২৬ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৬৫ জন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১২৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৪১১ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন। হংকংয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১১৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৬ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৪২ হাজার ৫০ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।


আরও খবর



বিশ্ব নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন- প্রতিপাদ্য সঙ্গে নিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে নারী দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিনটি।

তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নারীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে এই বছরের নারী দিবসের স্লোগান নির্বাচন করা হয়েছে। স্লোগানের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে আমাদের জীবন শক্তিশালী প্রযুক্তিগত একীকরণের উপর নির্ভর করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজ যেমন প্রিয়জনকে কল করা, ব্যাংক লেনদেন করা বা একটি মেডিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা সবকিছু একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। তা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী ৩৭ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। পুরুষদের তুলনায় ২৫৯ মিলিয়ন নারীর ইন্টারনেটে কমপ্রবেশাধিকার রয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে যে যদি নারীরা ইন্টারনেটে ব্যবহার না করেন অথবা অনলাইনে নিরাপদ বোধ না করেন তবে তারা ডিজিটাল দুনিয়ায় জড়িত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন না, যা তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত সম্পর্কিত পেশা অর্জনের সুযোগ হ্রাস করবে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ চাকরি এই ক্ষেত্রগুলোর সাথে সম্পর্কিত হবে। ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর কম পদচারনার কারণে উন্নয়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় নানা আয়োজন। তবে এ বছর ৮ মার্চ শবে বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তাই কর্মসূচিতেও কাটছাঁট করা হয়েছে। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে প্রতি বছর ৮ মার্চ যে আয়োজন থাকে তা অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ।

বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির যে প্রতিপাদ্য তা হলো- ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার: নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবিলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি।

'নারীজন্ম ধন্য হোক আপনভাগ্য গড়ার অধিকারে স্লোগানে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে স্বপ্নদল প্রযোজনা হেলেন কেলার-এর বিশেষ মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছর দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বালিয়ে আঁধার ভাঙার শপথ নেয় `আমরাই পারি' জোট। ৮ মার্চ রাত ঠিক ১২টা বেজে এক মিনিটে শহীদ মিনারে সম্মিলিতভাবে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই শপথ নেওয়া হয়। তবে এ বছর এই কার্যক্রম হবে না। নারীপক্ষসহ ৫২টি সংগঠন দিবসটি পালন করবে সন্তানের ওপর মায়ের অভিভাবকত্বের অধিকার প্রতিপাদ্য নিয়ে। ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের সামনে জমায়েত হয়ে শুরু হবে পদযাত্রা।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে দশটায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে।

উল্লেখ্য, এই দিনটির শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সেসময় গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় নারীশ্রমিক ইউনিয়ন। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন, যেই দিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেবার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।


আরও খবর



রাজনৈতিক সমঝোতার উদ্যোগ নেবে না ইসি: হাবিবুল আউয়াল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দরজা সব সময় খোলা, কেউ এলে সহযোগিতা করা হবে। ভোটে অংশ নিতে উদাত্ত আহ্বান থাকবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতার কোনও উদ্যোগ নেবে না ইসি। সংকট নিরসন করতে হবে দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে।’ রবিবার (১২ মার্চ) বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি জানান, ওনারা (হাই কমিশনের প্রতিনিধি দল) আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে, ফ্রুটফুল হবে। আমরা প্রিপারেশনের কথা জানিয়েছি। আমরা ফুললি প্রিপেয়ার্ড। আমরাও চাচ্ছি অংশগ্রহণমূলক হোক, কনটেস্টেড হোক।

রাজনৈতিক সমঝোতায় ইসির উদ্যোগের বিষয়টিও জানতে চান প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে সিইসি বলেন, আমাদের দায়িত্বের মধ্যে ওনারা জানতে চেয়েছে আমরা রাজনৈতিক দলের সমঝোতার সৃষ্টি করতে পারি কিনা। আমরা বলেছি, সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে কন্সট্যান্টলি বলে যাচ্ছি নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া প্রয়োজন।

তাহলে এটার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হবে এবং লেজিটেমেসিটা বাড়বে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সে লক্ষ্যে আমরা আগেও যেভাবে সব দলকে আহ্বান করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমাদের সে ইচ্ছেটা জানাচ্ছি। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো নির্বাচনটা যেন অবাধ, সুষ্ঠু হয়। আমরা আবেদন করবো, আস্থা রাখুন। দেখুন, নির্বাচনটা কেমন হয়।

তিনি জানান, সব দল যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচনের ফলাফল অনেক ভালো, জনগণের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, অংশগ্রহণের বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নেবো না। এটা পলিটিক্যাল ইস্যু। পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর মধ্যে সে লক্ষ্যে কোনও সংকট যদি থেকে থাকে, তারা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে নিরসন করবে। আমরা মাঝখানে কোনও ব্রোকারেজ করবো না, করতে পারবো না।

দলগুলোর জন্যে ইসির দরজা খোলা বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, এভাবে ওপেনলি আহ্বান জানিয়ে যাবো। আমাদের দরজা খোলা আছে, কোনও পার্টি যদি এসে অংশ গ্রহণ করতে চায়, আমাদের সহযোগিতা নিতে চায়, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি, আমাদের তরফ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার করে যাবো।


আরও খবর



দাম কমলেও নাগালের বাইরে মুরগি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। কী নেই এই তালিকায়? চাল, ডাল থেকে আটা, ময়দা, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, মুরগি, চিনি, ডিম সবকিছুর দামই বাড়তি। কম দামে মাংস বলতেই ছিল ব্রয়লার মুরগি। সেটিও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়।

দফায় দফায় টানা প্রায় এক মাস দাম বাড়ার পর রমজানের প্রথমদিন কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এর সত্যতা মেলে। তবে ক্রেতারা বলছেন, দাম কমার পরও এখনও নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে মুরগি ও ডিম।

কারওয়ানবাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালির দাম ২০ টাকা কমে নেমেছে ৩৬০ টাকায়, আর দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা জানান, আগের তুলনায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তারা।

সরেজমিনে খুচরা চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গুটি স্বর্ণা কেজি ৫০ টাকা, মিনিকেট ৭০ টাকা, পাইজাম ৫০ টাকা, ২৮ চাল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত, পোলাও চাল খোলা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, প্যাকেট কেজি ১৫৫টাকা, ভেসন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মোটা দানা মশুর ডাল ১০০ টাকা, দেশি ছোট মশুর ডাল ১৩৫ টাকা, বুটের ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা চিড়া ৬৫টাকা কেজি, লাল চিড়া কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৮৭ টাকা, দুই লিটারের বোতল ৩৭৪ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটার ১৮০ টাকা এবং পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা লিটার দরে।

এছাড়া লবণ এক কেজির প্যাকেট ৪২ টাকা কেজি, খোলা লাল চিনির কেজি ১৩০ টাকা, সাদা চিনি ১১২, দুই কেজির প্যাকেট আটা ১৩০ টাকা, দুই কেজি ময়দা ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ব্রয়লারের কেজি ২৫০ টাকা, লেয়ার ৩২০টাকা, সোনালি মুরগি ৩৬০, দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রসুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা, আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা।

আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, খোলা চিনির কেজি ১১৫-১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা। তবে প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৭০ টাকা। আর ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।


আরও খবর

রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দাম ব্রয়লার মুরগির

শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনায় বাড়ছে রুশ-মার্কিন উত্তেজনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, একটি রুশ যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে একটি মার্কিন মনুষ্যবিহীন ড্রোনের সংঘর্ষের পর তা কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনা ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনায় সরাসরি একে অন্যকে সামনাসামনি মোকাবিলার ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ড্রোনটি রুটিন মিশনে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকার সময় দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এর পথ আটকাতে চেষ্টা করে।

অন্যদিকে রাশিয়া বলছে জটিল কৌশল পরিচালনার সময় ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয় এবং পাশাপাশি তারা তাদের বিমানের সঙ্গে ড্রোনটির সরাসরি সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে। খবর বিবিসির। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি উড়ার সময় এর ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল। ট্রান্সপন্ডার হলো একটি যোগাযোগ ডিভাইস যা বিমানকে শনাক্ত করতে সহায়তা করে। রিপার হচ্ছে ২০ মিটার (৬৬ ফুট) দীর্ঘ পাখা বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণকারী ড্রোন।

মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায় গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ইউরোপীয় সময় সকাল ৭টা ৩ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।

এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া আমাদের এমকিউ-৯ বিমানটির পথ আটকে দেওয়া হয় এবং রুশ বিমানের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়। এর ফলে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।

মার্কিন সামরিক বাহিনী আরও জানায়, রুশ এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে বেশ কয়েকবার ড্রোনের উপর তেল ছড়িয়ে দেওয়া হয় যা একটি বেপরোয়া, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও অপেশাদার আচরণ

এ ঘটনায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভকে তলব করা হয় ও প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে আন্তোনভের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যমগুলো জানায় ড্রোন উড়ার ঘটনা একটি উসকানি।

২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণ সাগরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপর ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় তাদের নজরদারি ফ্লাইট বাড়িয়ে দেয়।

তবে এখন প্রশ্ন হলো, মঙ্গলবারের ঘটনা কি মার্কিন ড্রোন ও তাদের তৎপরতায় বিঘ্ন সৃষ্টির একটি চেষ্টা নাকি ড্রোনটিকে ভূপাতিত করতে রাশিয়ার জোরালো প্রচেষ্টা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রুশ পাইলটদের তৎপরতা ছিল বিপদজনক।

এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি কোনো শত্রুতার সৃষ্টি না করে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আর কৃষ্ণ সাগরের এই ঘটনা তাদের সাড়া দেয়ার বিষয়টি কেমন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র তার মূল্যায়ন করবে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর কমান্ডাররা তাদের বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, এই ধরনের ঘটনা ভুল হিসাব বয়ে আনতে পারে ও অনিচ্ছকৃতভাবে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।


আরও খবর



আমরা আর হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা একদিনে ৫০০ বোমা দেখতে চাই না। আমরা আর কোনও হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। আমরা দেখতে চাই একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন। আজ শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি এসময় আরও বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন- এ জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

সাড়ে চার বছর পর প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ গিয়ে আজ ৭৩টি নবনির্মিত প্রকল্পের দ্বার উন্মোচন করবেন। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এই নগরীকে পূর্ণতা দিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আরও ৩০টি প্রকল্পের। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৩২ উপজেলার সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন। কমপক্ষে ২১টি স্কুল-কলেজে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন একাডেমিক ভবন।

আর এসব নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে ময়মনসিংহের প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন অনেক উপহার নিয়ে। আগেও দিয়েছেন, এবারও দেবেন। সবার মুখে হাসি ফোটাবেন তিনি। ময়মনসিংহবাসীরও এবার কিছু দেওয়ার পালা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ময়মনসিংহ প্রস্তুত।

সরকার প্রধানের আগমন উপলক্ষে পুরো ময়মনসিংহ ঝকঝকে-তকতকে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠের সব কাজ শেষ হয়েছে। ওই এলাকা ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

শুধু সমাবেশস্থলেই নয়, গোটা ময়মনসিংহ নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছেন বিপুল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, মঞ্চের কাজ শেষ হয়েছে। যারা আসবেন তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সমাবেশ সুন্দর ও সার্থক হবে।

সার্কিট হাউস মাঠের জনসভায় ১২ লাখের বেশি জনসমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন নেতারা। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, আশা করছি এই মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না। মাঠ ভর্তি হয়ে ময়মনসিংহ শহরের রাস্তাঘাটও পূর্ণ হয়ে যাবে। এটি হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা। এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।


আরও খবর