বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ভবিষ্যতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সুইডেনের যুদ্ধ ও অস্ত্র বিষয়ক থিংকট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)। সোমবার এক প্রতিবেদনে থিংকট্যাংকের নতুন প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপরই নতুনভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের
বিষয়টি আলোচনায় আসে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র হামলার বিষয়টি
নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই মুহূর্তে ইউক্রেনে
পারমাণবিক হামলার কোন ইঙ্গিত নেই বলে জানিয়েছেন।
২০২১ সালের
জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের হার কম ছিল।
ওই সময় পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের হার ১৩ হাজার ৮০ থেকে কমে ১২ হাজার ৭০৫ হয়েছিল।
এই মুহূর্তে
পারমাণবিক শক্তিধর ৯টি দেশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে চলতি দশকে নতুনভাবে পারমাণবিক
অস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে এসআইপিআরআই।
থিংকট্যাংকটির
পরিচালক উইলফ্রেড ওয়ান বলেন, সব পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো নতুনভাবে পারমাণবিক অস্ত্র
আরও উন্নত বা বৃদ্ধি করছে। এ ছাড়া, তাদের সামরিক কৌশলেও এর ব্যবহার নিয়ে নতুনভাবে পরিকল্পনা
করছে। তার মতে, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রবণতা ক্ষতিকর।
বিশ্বে রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে রাশিয়ার ৫৫০টি বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। উভয় দেশ মিলে বিশ্বে ৯০ ভাগের বেশি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে চীন ৩০০টির বেশি পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে।
এসআইপিআরআই
বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সুইডেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন বলেছেন, ‘বিশ্বের বড় বড় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর
মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। মানবতা গভীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। শুধু আন্তর্জাতিক
সহযোগিতা এ সমঝোতাই পারে এ সব সমস্যার সমাধান করতে।’