বিশ্বের অন্যতম অনিরাপদ শহর হিসেবে ৭ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। দ্যা ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের "সেইফ সিটি ইনডেক্স" এর এক জরিপে দেখা গেছে সেই চিত্রই। গবেষণা সংস্থার সূচকে ৪৮.৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের ৬০টি নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ৫৪তম।
অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, পরিবেশগত সুরক্ষা, ডিজিটাল পরিস্থিতি- এমন ৭৬টি নিয়ামকের ভিত্তিতে এই তালিকার ক্রম সাজানো হয়েছে। সুতরাং বলা যায়, এসব নিয়ামকের দুর্বল অবস্থানই ঢাকাকে বিশ্বের ৭ম অনিরাপদ শহরে পরিণত করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ ও ২০১৭ সালের সূচকে বাংলাদেশের রাজধানীর অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৫৬তম এবং ৫৮তম।
পরিবেশ সুরক্ষার দিক থেকে ঢাকার অবস্থান ৪৭তম হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক থেকে পেছন থেক ৫৬ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে ৫২তম, অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ৫৫তম এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থানও ৫৪তম।
ইকোনমিস্ট গ্রুপের এই গবেষণা সংস্থার এই সূচকে ঢাকার পেছনে রয়েছে ক্যাসাব্লাঙ্কা, লাগোস, কায়রো, কারাকাস, করাচি ও ইয়াঙ্গুন।
এদিকে, ৮২.৪ নম্বর নিয়ে সূচকের প্রথম অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কানাডার টরোন্টো। এছাড়া, সূচকের শীর্ষ দশে রয়েছে টোকিও, সিঙ্গাপুর, ওয়েলিংটন, ওসাকা, আমস্টারডাম, মেলবোর্ন, সিডনির মত শহরগুলো।
দ্যা ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয় ও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ভালো স্কোর গড়ার মূল নির্ণায়ক। মানব উন্নয়ন সূচকে বেশি স্কোর করা নগরীগুলোই তালিকায় উপরের দিকে অবস্থান করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আমাদের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, কার্য কারণ দিয়েই সব হয় না। আয় বৃদ্ধি বিনিয়োগ বাড়াতে পারে ঠিকই, কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভর করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক পরিবেশ কতটা নিশ্চিত হয়েছে, তার উপর।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক কথায় বলতে গেলে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার মধ্যে একটি সম্পর্ক টানা যায়। বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের স্কোর আর আমাদের মানব উন্নয়নের স্কোর মিলে যায়।