Logo
শিরোনাম

বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদ কমেছে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জানুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শেষ হয়ে যাওয়া বছরটি অনেকের জন্য ভালো একটি সময় হলেও অনেকের জন্য আবার বিষাদময় ছিল। বিশেষ করে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা চলতি বছরটা ভুলে যেতে চাইবেন। কারণ ২০২২ তাদের কাছে কেবল হারানোর বছর ছিল। তাদের এ সম্পদ হারানোর মাত্রাটাও বিস্ময়কর ছিল।

বছরের শুরুতেই কোভিডজনিত কারণে সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতার জেরে বড় ধরনের সম্পদ হারান বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলোন মাস্ক। এরপর ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে ধসের মতো বিষয়গুলো ধনীদের সম্পদে আঘাত হেনেছে বারবার। শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদ থেকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার (১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার) মুছে গেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনা মূলত তাদের সম্পদ কমাতে ভূমিকা রেখেছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ক্রিপ্টোএক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম এফটিএক্সের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের কথিত জালিয়াতি, ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ, তার প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়িক টাইকুনদের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, টুইটার অধিগ্রহণ নিয়ে ইলোন মাস্কের টানাপড়েন, প্রধান অর্থনীতিগুলোয় রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান সুদহার।

এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে একদল বিলিয়নেয়ারের জন্য বছরটি ধ্বাংসাত্মক ছিল। যদিও মহামারীর বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতেও তাদের সম্পদের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিল। সে সময় অনেকের সম্পদ অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের সম্পদে যত বড় উত্থান হয়েছিল, ঠিক তত বেশি নাটকীয় পতন হয়েছে। ২০২২ সালে টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলোন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাও চেংপেং ও মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ সম্মিলিতভাবে ৩৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।

যদিও বিশ্বের সব বিলিয়নেয়ারের জন্যই যে বছরটি খারাপ ছিল তেমনও নয়। এ সময়ে অনেকের সম্পদ বেড়েছে। যেমন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও বিনিয়োগ টাইকুন ওয়ারেন বাফেটকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী হয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কিছু সময়ের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। এছাড়া কোস ও মার্সের মতো বিশ্বের কিছু ধনী পরিবারের সম্পদও চলতি বছর বেড়েছে। বিলিয়নেয়ারদের নিয়ে মাসভিত্তিক ২০২২ সালের আলোচিত কিছু ঘটনা

জানুয়ারি: চলতি বছরের শুরুতে বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে ইলোন মাস্কের সম্পদে। মার্কিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কোভিডজনিত কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় চ্যালেঞ্জের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। সেই ধাক্কায় পুঁজিবাজারে টেসলার স্টকে ধস নামে। ২৭ জানুয়ারি একদিনেই বিশ্বের শীর্ষ এ ধনী ২ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার হারান। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের ইতিহাসে এটি একদিনে চতুর্থ বৃহত্তম সম্পদের পতন। এটি ইলোন মাস্ককে একটি পাথুরে বছর শুরুরও পূর্বাভাস দিয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি: ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এদিনই পুঁজিবাজারে ধসের কারণে রাশিয়ার শীর্ষ ধনীরা সম্মিলিতভাবে ৪ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের সম্পদ হারান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন খাত ও ধনীদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ অবস্থায় রুশ অলিগার্ক ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দেশের বাইরে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশে সুপারইয়টগুলো জব্দের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদে তাদের মালিকানা আটকে যায়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী বলে যুক্তরাজ্যে ঝামেলায় পড়েন রোমান আব্রামোভিচ। এ ঘটনায় রুশ জ্বালানি তেল-গ্যাস ব্যবসায়ী ইংলিশ ফুটবল ক্লাস চেলসি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এসব ঘটনায় ধনী রুশরা ২০২২ সালে যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত আরো ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারান।

মার্চ: এ সময়ে চীনের অর্থনীতির সংকট আরো ঘনীভূত হয়। ১৪ মার্চ দেশটির শীর্ষ ধনীদের সম্পদ থেকে ৬ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার মুছে যায়। কভিডজনিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা, আবাসন খাতে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা ও প্রযুক্তি খাতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের মতো বিষয়গুলোর কারণে ২০২২ সালে তারা আরো ১৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার হারায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সংকটকে বাড়িয়ে দেয়।

এপ্রিল: এপ্রিলে বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ইলোন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের ঘোষণা। ১৪ এপ্রিল তিনি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি কিনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই মাসেই টুইটারে তার ৯ দশমিক ১ শতাংশ মালিকানা থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ চুক্তির অর্থায়নের জন্য তিনি ঋণ ও টেসলার শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নেন। এতে গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলে নিম্নমুখী হয় টেসলার শেয়ারদর। যদিও এরপর আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি কেনা নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন তিনি। স্প্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যসংক্রান্ত জটিলতার জেরে তিনি টুইটার অধিগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুইটার মামলা করলে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাস্কও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে টুইটার অধিগ্রহণ করেন তিনি। সে সময় টুইটারের বাজারমূল্য নেমে আসে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে।

মে: চেলসি ফুটবল ক্লাব কেনার ঘোষণা দেন মার্কিন ব্যবসায়ী টড বোয়েলি। তার নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গ্রুপ ৪৩৫ কোটি পাউন্ডে ক্লাবটি কিনে নেন। এ অর্থ কোনো একটি ক্রীড়া দল কিনতে সর্বোচ্চ। ক্লাবটি কেনার ক্ষেত্রে শতাধিক প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছিল।

জুন: বিশ্বের বৃহত্তম রিটেইল প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের সম্পদের মালিক রব ওয়ালটন। গত জুনে তিনি মার্কিন ফুটবল দল ডেনভার ব্রঙ্কোসকে ৪৬৫ কোটি ডলারে কিনতে সম্মত হয়েছিলেন। এ অর্থ মার্কিন ক্রীড়া দলের জন্য রেকর্ড।

জুলাই: চীনের বৃহত্তম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কান্ট্রি গার্ডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার ইয়াং হুইয়ান। চীনের আবাসন খাতের সংকটের জেরে গত জুলাইয়ে তিনি এশিয়ার শীর্ষ নারী ধনীর খেতাব হারান। সে সময় ইয়াং হুইয়ানের নিট সম্পদমূল্য ৫২ শতাংশেরও বেশি কমে ১ হাজার ১৩০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতেও তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার। এ তথ্য চীনের রিয়েল এস্টেট খাতের দুরবস্থাও তুলে ধরে। একসময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধির চালক হলেও খাতটি পর্বতসম ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংকট আরো বেড়েছে।

আগস্ট: বছরের শুরুর দিক থেকেই এশিয়ার শীর্ষ ধনী হিসেবে আছেন গৌতম আদানি। গত আগস্টে তিনি বেহনা আহনোঁকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সে সময় ফরাসি বিলাসবহুল পণ্য জায়ান্ট এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান আহনোঁ নেমে গিয়েছিলেন চতুর্থ অবস্থানে। শীর্ষ ধনীদের তালিকায় সেবারই প্রথম কেউ এশিয়া থেকে তৃতীয় স্থান দখল করেছিল, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে এ তালিকায় শীর্ষস্থানগুলো পশ্চিমা ধনীদের দখলে ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তিনি কিছুদিনের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে গৌতম আদানি কয়লা থেকে বন্দর, ডাটা সেন্টার থেকে সিমেন্ট, মিডিয়া ও অ্যালুমিনিয়াম পর্যন্ত সবকিছুতে ব্যবসা বিস্তৃত করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত আদানি গ্রুপ এখন ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি খাতের বন্দর ও বিমানবন্দর পরিচালনাকারী, গ্যাস সরবরাহ ও কয়লা খনির মালিক।

সেপ্টেম্বর: মার্কিন প্রযুক্তি টাইটানদের মধ্যে মার্ক জাকারবার্গ বিধ্বস্ত একটি বছর পার করতে চলেছেন। প্রযুক্তি খাতের মন্দার কারণে মেটার প্রধান নির্বাহীর সম্পদ নিম্নমুখী রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন। এক বছরে তার সম্পদের পরিমাণ ৫৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৫৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। সর্বশেষ বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার অবস্থান ছিল ২৫তম।

অক্টোবর: কোভিড প্রতিরোধী টিকা তৈরির সঙ্গে যুক্তদের সম্পদে উল্লম্ফন তৈরি হয়েছিল। এতে বিশ্ব নতুন নতুন বিলিয়নেয়ারের দেখা পেয়েছিল। পাশাপাশি মহামারীতে অনলাইন কেনাকাটা ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ধনীদের সম্পদও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে মহামারীর প্রভাব এবং টিকার চাহিদা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পদের পরিমাণও নিম্নমুখী হয়েছে। এ-সম্পর্কিত ৫৮ জন বিলিয়নেয়ারের সম্পদ গত অক্টোবরে ৫৮ শতাংশ কমে যায়।

নভেম্বর: গত মাসে বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ধস। নভেম্বরে ক্রিপ্টোএক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম এফটিএক্স নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। এরপর সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের সম্পদে পতন দেখা দেয়। এক সপ্তাহেরও কম সময়ে ৩০ বছর বয়সী ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের সম্পদ থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার হারিয়ে যায়। অথচ এক বছর আগেও তার নাম উঠেছিল ফোর্বসের শীর্ষ ধনীদের তালিকায়। তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। পরবর্তী সময়ে তার নামে জালিয়াতিরও অভিযোগ ওঠে। এরপর ডিসেম্বরে তাকে আটক করা হয়। এ বিপর্যয় প্রায় ১০ লাখ গ্রাহককে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে এবং তারা তাদের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। এফটিএক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাও চেংপেংয়ের সম্পদও প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কমেছে।

ডিসেম্বর: চলতি বছরের শেষ মাসে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা হারান ইলোন মাস্ক। গত এপ্রিলে তিনি টুইটার অধিগ্রহণের নিলামে অংশ নেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারে বিশ্বের শীর্ষ ইভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর নিম্নমুখী রয়েছে। এতে সম্পদের পরিমাণ কমছে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহীর। ইলোন মাস্ককে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে জায়গা করে নেন এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বেহনা আহনোঁ। যদিও ২০২২ সালে তার সম্পদও প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার কমেছে। তবে কঠিন এ বছরে ইলোন মাস্ক অর্ধেকের বেশি সম্পদ হারিয়েছেন। শুক্রবার বিকালে তার সম্পদ ১৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে নেমেছে, যেখানে বেহনা আহনোঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

নিউজ ট্যাগ: শীর্ষ ধনী

আরও খবর



পঞ্চগড়ের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়িত। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপির এক নেতা স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। আজ সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভা শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, পরদিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এই সভা হয়।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জামায়াতের কর্মী ও বিএনপির নেতারা জড়িত হয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানটি (সালানা জলসা) করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁদের বাড়িঘরে আগুন দেন। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন দেওয়া হয়। এতে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্য মারা যান। একজন শিবির নেতা, যিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তিনিও এই ঘটনায় আহত হন। পরে মারা যান।

আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, এই ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতা ফজলে রাব্বী আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তাঁরা অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য এসেছিলেন। ঘটনার নেপথ্যে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে ঘটনাটি মোকাবিলা করেছে। এই মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখন মামলা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো গাফিলতি থাকলে তা অবশ্যই দেখা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রিভিউ খারিজ: অধ্যাপক হত্যায় দুই জনের ফাঁসির রায় বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ফলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে তার আগে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আর যথারীতি যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের সাজাভোগ করতে হবে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী ও নিখিল কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন আসামির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২ মার্চ দিন রাখেন আদালত।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।  এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।  দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।

খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।

ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বাড়াতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আসামিদের স্বীকারোক্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হত্যার এ ষড়যন্ত্রে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনই মুখ্য এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমাদের এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধুমাত্র প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তার ধারণা ছিল, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব না। 

আমাদের এও বলতে দ্বিধা নেই যে, আপিলকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং আবেদনকারী আব্দুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার জন্য ড. মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। 

১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম এবং যাবজ্জীবন দণ্ডিত সালাম রিভিউ আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিভিউয়ের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর শেষ হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি।


আরও খবর



জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ছয় জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে এবং এই অতর্কিত হামলায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়টি এক বিৃতিতে জানায় আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, হামলায় ইসরায়েলি বাহিনী একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং রকেট হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামরিক যান ও হেলিকপ্টার নিয়ে শহরটিতে প্রবেশ করছে।খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের হাতে নিহত একজন ফিলিস্তিনি গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের হুয়োরা গ্রামে কাছে একটি অবৈধ বসতিতে দুই ভাইকে গুলি করার সঙ্গে জড়িত ছিল।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়, সৈন্যরা পশ্চিম তীরে দুইজন ইসরায়েলি বসতি স্থপনকারীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত বন্দুকধারীকে নির্মূল করেছে।

এদিকে, রামাল্লাহ থেকে আলজাজিরা জানায়, দক্ষীণাঞ্চলীয় নাবলুস এলাকায় ইসরায়েলি সৈন্যরা গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আরেকটি শরণার্থী শিবিরে হামলা করে। ইসরায়েলি সেনারা আশকার শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ও তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায় যাদের মধ্যে জেনিনে নিহত ৪৯ বছর বয়স্ক ব্যক্তির দুই ছেলে রয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল রুদেইনে বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে জানান, রকেট নিয়ে মঙ্গলবার চালানো এই হামলা সর্বাত্মক যুদ্ধ। রুদেইনে পরিস্থিতিকে উস্কে দেওয়ার জন্য ও তা বিপজ্জনক মাত্রার দিকে মোড় ঘোরাতে এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে নেওয়া সব উদ্যোগ ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল সরকারকে দায়ী করেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা কমিয়ে আনতে দুপক্ষের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



হজ ব্যবস্থাপনায় খরচ কমাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

হজের প্যাকেজ সংশোধন করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৬ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান এ নোটিশ পাঠান।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অন্যদিকে, কোরবানি ছাড়াই এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর আগে যা ছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ, আগের বছরের চেয়ে দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এ বছর হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন।

এ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া শতভাগ হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫ সিটিতে নির্বাচন শেষ করতে চায় ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সিটি কর্পোরেশনগুলো হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা।

ইসি কমিশনার আলমগীর বলেন, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে কমিশন আলোচনা করেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে এসব সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করতে হয়। ইচ্ছা করলে ৬ মাসে শেষ করা যায়। মাঝামাঝিও করা যায়, আগেও করা যায়। যেহেতু জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগে শেষ করা।’ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে রোববার গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

৫ সিটি করপোরেশনের ভোট একই দিনে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, এক দিনে হবে না। ৬টি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করতে হবে। এগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের অনেক দেরি। বাকি ৫ সিটির নির্বাচন দুই দিনে বা তিন দিনে হতে পারে। যেগুলো আগে নির্বাচন উপযোগী হবে, সেগুলোতে আগে ভোট করা হবে।

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল নিয়ে এখন পর্যন্ত কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে আগামী জুনের মধ্যে গাজীপুর সিটির নির্বাচন করতে কমিশন আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপরে। আমরা বাজেট চাইবো, টাকা পেলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার আগ্রহ রয়েছে। তবে ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সেজন্য টাকা লাগবে। তবে কমিশনের ইচ্ছা ইভিএমে করা।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।

গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের সময় গণনা শুরু হবে ১১ মার্চ। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খুলনা ও রাজশাহী সিটির সময় গণনা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এছাড়া বরিশাল সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ১৪ মে, ভোট করতে হবে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে। সিলেট সিটির নির্বাচন করতে হবে ৬ মে থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে। আর ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর থেকে, আগামী বছরের ১৯ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।


আরও খবর