Logo
শিরোনাম

বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদ কমেছে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জানুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শেষ হয়ে যাওয়া বছরটি অনেকের জন্য ভালো একটি সময় হলেও অনেকের জন্য আবার বিষাদময় ছিল। বিশেষ করে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা চলতি বছরটা ভুলে যেতে চাইবেন। কারণ ২০২২ তাদের কাছে কেবল হারানোর বছর ছিল। তাদের এ সম্পদ হারানোর মাত্রাটাও বিস্ময়কর ছিল।

বছরের শুরুতেই কোভিডজনিত কারণে সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতার জেরে বড় ধরনের সম্পদ হারান বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলোন মাস্ক। এরপর ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে ধসের মতো বিষয়গুলো ধনীদের সম্পদে আঘাত হেনেছে বারবার। শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদ থেকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার (১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার) মুছে গেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনা মূলত তাদের সম্পদ কমাতে ভূমিকা রেখেছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ক্রিপ্টোএক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম এফটিএক্সের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের কথিত জালিয়াতি, ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ, তার প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়িক টাইকুনদের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, টুইটার অধিগ্রহণ নিয়ে ইলোন মাস্কের টানাপড়েন, প্রধান অর্থনীতিগুলোয় রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান সুদহার।

এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে একদল বিলিয়নেয়ারের জন্য বছরটি ধ্বাংসাত্মক ছিল। যদিও মহামারীর বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতেও তাদের সম্পদের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিল। সে সময় অনেকের সম্পদ অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের সম্পদে যত বড় উত্থান হয়েছিল, ঠিক তত বেশি নাটকীয় পতন হয়েছে। ২০২২ সালে টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলোন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাও চেংপেং ও মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ সম্মিলিতভাবে ৩৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।

যদিও বিশ্বের সব বিলিয়নেয়ারের জন্যই যে বছরটি খারাপ ছিল তেমনও নয়। এ সময়ে অনেকের সম্পদ বেড়েছে। যেমন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও বিনিয়োগ টাইকুন ওয়ারেন বাফেটকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী হয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কিছু সময়ের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। এছাড়া কোস ও মার্সের মতো বিশ্বের কিছু ধনী পরিবারের সম্পদও চলতি বছর বেড়েছে। বিলিয়নেয়ারদের নিয়ে মাসভিত্তিক ২০২২ সালের আলোচিত কিছু ঘটনা

জানুয়ারি: চলতি বছরের শুরুতে বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে ইলোন মাস্কের সম্পদে। মার্কিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কোভিডজনিত কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় চ্যালেঞ্জের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। সেই ধাক্কায় পুঁজিবাজারে টেসলার স্টকে ধস নামে। ২৭ জানুয়ারি একদিনেই বিশ্বের শীর্ষ এ ধনী ২ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার হারান। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের ইতিহাসে এটি একদিনে চতুর্থ বৃহত্তম সম্পদের পতন। এটি ইলোন মাস্ককে একটি পাথুরে বছর শুরুরও পূর্বাভাস দিয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি: ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এদিনই পুঁজিবাজারে ধসের কারণে রাশিয়ার শীর্ষ ধনীরা সম্মিলিতভাবে ৪ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের সম্পদ হারান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন খাত ও ধনীদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ অবস্থায় রুশ অলিগার্ক ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দেশের বাইরে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশে সুপারইয়টগুলো জব্দের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদে তাদের মালিকানা আটকে যায়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী বলে যুক্তরাজ্যে ঝামেলায় পড়েন রোমান আব্রামোভিচ। এ ঘটনায় রুশ জ্বালানি তেল-গ্যাস ব্যবসায়ী ইংলিশ ফুটবল ক্লাস চেলসি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এসব ঘটনায় ধনী রুশরা ২০২২ সালে যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত আরো ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারান।

মার্চ: এ সময়ে চীনের অর্থনীতির সংকট আরো ঘনীভূত হয়। ১৪ মার্চ দেশটির শীর্ষ ধনীদের সম্পদ থেকে ৬ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার মুছে যায়। কভিডজনিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা, আবাসন খাতে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা ও প্রযুক্তি খাতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের মতো বিষয়গুলোর কারণে ২০২২ সালে তারা আরো ১৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার হারায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সংকটকে বাড়িয়ে দেয়।

এপ্রিল: এপ্রিলে বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ইলোন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের ঘোষণা। ১৪ এপ্রিল তিনি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি কিনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই মাসেই টুইটারে তার ৯ দশমিক ১ শতাংশ মালিকানা থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ চুক্তির অর্থায়নের জন্য তিনি ঋণ ও টেসলার শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নেন। এতে গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফলে নিম্নমুখী হয় টেসলার শেয়ারদর। যদিও এরপর আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি কেনা নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন তিনি। স্প্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যসংক্রান্ত জটিলতার জেরে তিনি টুইটার অধিগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুইটার মামলা করলে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাস্কও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে টুইটার অধিগ্রহণ করেন তিনি। সে সময় টুইটারের বাজারমূল্য নেমে আসে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে।

মে: চেলসি ফুটবল ক্লাব কেনার ঘোষণা দেন মার্কিন ব্যবসায়ী টড বোয়েলি। তার নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গ্রুপ ৪৩৫ কোটি পাউন্ডে ক্লাবটি কিনে নেন। এ অর্থ কোনো একটি ক্রীড়া দল কিনতে সর্বোচ্চ। ক্লাবটি কেনার ক্ষেত্রে শতাধিক প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছিল।

জুন: বিশ্বের বৃহত্তম রিটেইল প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের সম্পদের মালিক রব ওয়ালটন। গত জুনে তিনি মার্কিন ফুটবল দল ডেনভার ব্রঙ্কোসকে ৪৬৫ কোটি ডলারে কিনতে সম্মত হয়েছিলেন। এ অর্থ মার্কিন ক্রীড়া দলের জন্য রেকর্ড।

জুলাই: চীনের বৃহত্তম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কান্ট্রি গার্ডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার ইয়াং হুইয়ান। চীনের আবাসন খাতের সংকটের জেরে গত জুলাইয়ে তিনি এশিয়ার শীর্ষ নারী ধনীর খেতাব হারান। সে সময় ইয়াং হুইয়ানের নিট সম্পদমূল্য ৫২ শতাংশেরও বেশি কমে ১ হাজার ১৩০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতেও তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার। এ তথ্য চীনের রিয়েল এস্টেট খাতের দুরবস্থাও তুলে ধরে। একসময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধির চালক হলেও খাতটি পর্বতসম ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংকট আরো বেড়েছে।

আগস্ট: বছরের শুরুর দিক থেকেই এশিয়ার শীর্ষ ধনী হিসেবে আছেন গৌতম আদানি। গত আগস্টে তিনি বেহনা আহনোঁকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সে সময় ফরাসি বিলাসবহুল পণ্য জায়ান্ট এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান আহনোঁ নেমে গিয়েছিলেন চতুর্থ অবস্থানে। শীর্ষ ধনীদের তালিকায় সেবারই প্রথম কেউ এশিয়া থেকে তৃতীয় স্থান দখল করেছিল, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে এ তালিকায় শীর্ষস্থানগুলো পশ্চিমা ধনীদের দখলে ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তিনি কিছুদিনের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে গৌতম আদানি কয়লা থেকে বন্দর, ডাটা সেন্টার থেকে সিমেন্ট, মিডিয়া ও অ্যালুমিনিয়াম পর্যন্ত সবকিছুতে ব্যবসা বিস্তৃত করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত আদানি গ্রুপ এখন ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি খাতের বন্দর ও বিমানবন্দর পরিচালনাকারী, গ্যাস সরবরাহ ও কয়লা খনির মালিক।

সেপ্টেম্বর: মার্কিন প্রযুক্তি টাইটানদের মধ্যে মার্ক জাকারবার্গ বিধ্বস্ত একটি বছর পার করতে চলেছেন। প্রযুক্তি খাতের মন্দার কারণে মেটার প্রধান নির্বাহীর সম্পদ নিম্নমুখী রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন। এক বছরে তার সম্পদের পরিমাণ ৫৭ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৫৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। সর্বশেষ বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার অবস্থান ছিল ২৫তম।

অক্টোবর: কোভিড প্রতিরোধী টিকা তৈরির সঙ্গে যুক্তদের সম্পদে উল্লম্ফন তৈরি হয়েছিল। এতে বিশ্ব নতুন নতুন বিলিয়নেয়ারের দেখা পেয়েছিল। পাশাপাশি মহামারীতে অনলাইন কেনাকাটা ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ধনীদের সম্পদও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে মহামারীর প্রভাব এবং টিকার চাহিদা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পদের পরিমাণও নিম্নমুখী হয়েছে। এ-সম্পর্কিত ৫৮ জন বিলিয়নেয়ারের সম্পদ গত অক্টোবরে ৫৮ শতাংশ কমে যায়।

নভেম্বর: গত মাসে বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ধস। নভেম্বরে ক্রিপ্টোএক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম এফটিএক্স নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। এরপর সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের সম্পদে পতন দেখা দেয়। এক সপ্তাহেরও কম সময়ে ৩০ বছর বয়সী ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রয়েডের সম্পদ থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার হারিয়ে যায়। অথচ এক বছর আগেও তার নাম উঠেছিল ফোর্বসের শীর্ষ ধনীদের তালিকায়। তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। পরবর্তী সময়ে তার নামে জালিয়াতিরও অভিযোগ ওঠে। এরপর ডিসেম্বরে তাকে আটক করা হয়। এ বিপর্যয় প্রায় ১০ লাখ গ্রাহককে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে এবং তারা তাদের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। এফটিএক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাও চেংপেংয়ের সম্পদও প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কমেছে।

ডিসেম্বর: চলতি বছরের শেষ মাসে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা হারান ইলোন মাস্ক। গত এপ্রিলে তিনি টুইটার অধিগ্রহণের নিলামে অংশ নেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারে বিশ্বের শীর্ষ ইভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর নিম্নমুখী রয়েছে। এতে সম্পদের পরিমাণ কমছে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহীর। ইলোন মাস্ককে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে জায়গা করে নেন এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বেহনা আহনোঁ। যদিও ২০২২ সালে তার সম্পদও প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার কমেছে। তবে কঠিন এ বছরে ইলোন মাস্ক অর্ধেকের বেশি সম্পদ হারিয়েছেন। শুক্রবার বিকালে তার সম্পদ ১৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে নেমেছে, যেখানে বেহনা আহনোঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

নিউজ ট্যাগ: শীর্ষ ধনী

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর