দেড় যুগ ধরে পর্তুগালের
হয়ে মাঠ দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তাকে ছাড়া পর্তুগাল দল কল্পনাই করা
যেত না। সেই রোনাল্ডোকেই কিনা বসে বসে সতীর্থদের খেলা দেখতে হয়েছে। এ ঘটনা কাতার বিশ্বকাপকে
নাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে কোচের সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতি হয়েছে সিআর সেভেনের।
পর্তুগালের এক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শেষ ষোলোয়
সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাকে প্রথম একাদশে রাখা হবে না বুঝতে পেরেই রেগে যান রোনাল্ডো।
ম্যাচের মধ্যে তাকে মুখ গোমড়া করে থাকতে দেখা গেছে। ৭৩ মিনিটে তাকে নামানো হয়। ম্যাচের
পর সতীর্থরা যখন দর্শকাসনের কাছে গিয়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, তখন রোনাল্ডো
একা একা হেঁটে সাজঘরে ঢুকে যান।
ম্যাচের পর রোনাল্ডো
কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে কথা বলেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোচের সিদ্ধান্তে তিনি
খুশি নন। হুঁশিয়ারি দেন, পরের ম্যাচেও তাকে প্রথম একাদশে না রাখা হলে ব্যাগ গুছিয়ে
কাতার থেকে দেশে ফিরে যাবেন।
সংবাদমাধ্যমটির
দাবি, বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়েছে সান্তোস এবং রোনাল্ডোর মধ্যে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে
‘হুঁশ ফেরে’ রোনাল্ডোর। তার দলে থাকা কতটা জরুরি,
সেটা তিনি বুঝতে পারেন এবং দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।
সতীর্থরাও রোনাল্ডোকে
বোঝাতে থাকেন। তাকে বলেন, রোনাল্ডো এই বিশ্বকাপে সর্বক্ষণ সংবাদমাধ্যমের নজরে রয়েছেন।
তার প্রতিটি পদক্ষেপের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফলে এখনই তিনি যদি দেশে ফেরার মতো
বিরাট কোনো পদক্ষেপ নেন, তা হলে দলের উপর তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। সুইজারল্যান্ড
ম্যাচের পর রোনাল্ডো দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি।
রোনাল্ডো নিজের
বাদ পড়া নিয়ে কিছু না বললেও তার বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ একেবারেই খুশি হতে পারেননি।
তিনি সরাসরি কোচ স্যান্টোসকে আক্রমণ করেছেন। ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি দেন
জর্জিনা। পর্তুগালের খেলা দেখার জন্য মাঠে উপস্থিত ছিলেন তিনি। জর্জিনা নিজের ছবি দিয়ে
লেখেন, পর্তুগালকে অভিনন্দন।
কিন্তু ১১ জন
ফুটবলার যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে, সেই সময় একজনকেই খুঁজছিল সকলে। এটা
লজ্জার যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের খেলা পুরো ৯০ মিনিট দেখতে পেল না কেউ। ভক্তরা
তোমার জন্য চিৎকার করছিল। তারা দাবি জানাচ্ছিল তোমাকে দেখার। আশা করি ঈশ্বর এবং তোমার
বন্ধু ফের্নান্দো এক হবে আর তোমাকে আবার খেলতে দেখব।