ঈদযাত্রায় গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। এই সময়ে সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে ৪২ হাজার ১৯৯টি যানবাহন। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির বাপ্পি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর, ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি ও রসুলপুর এলাকায় স্বাভাবিক গতিতে চলেছে যানবাহন।
জানা গেছে,
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতেই
যান চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সুবিধা পেয়ে যানবাহনগুলো
স্বাভাবিক গতিতে আসতে পারলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত দুই লেনের
কারণে যানবাহনের গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছে যানবাহনের চালকেরা।
ঈদ উপলক্ষে
বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে কর্মমুখর মানুষজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
অনেকেই বাড়তি ভাড়ার কারণে পরিবার নিয়ে খোলা ট্রাকে চেপে বাড়ি ফিরছে।
এদিকে মহাসড়কের
এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব দুইলেন সড়কের চাপ কমাতে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু
সেতু পূর্ব গোলচত্বর থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই পরিবহনগুলো গোলচত্বর হতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি
সড়ক ব্যবহার করে ২০ কিলোমিটার ঘুরে মহাসড়কের এলেঙ্গা গিয়ে প্রবেশ করছে।
একজন বাসযাত্রী
জানান, টাঙ্গাইল অংশে স্বাভাবিক অবস্থায় গাড়ি চলাচল করছে। যেটুকু চাপ আছে সেটা থাকবেই,
কারণ ঈদের ছুটিতে এত মানুষ যানবাহনে চলাচল করছে। তিনি ভাড়ার ব্যাপারে অভিযোগ তুলে বলেন,
প্রতিটি গাড়িতে প্রায় তিনগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছে।
অপরদিকে, গাজীপুরের
চন্দ্রা মোড় থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার চার লেনের সুবিধা
নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আর এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার
সড়ক দুই লেন হওয়ার কারণে সেখানে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। ফলে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে
হয়।
যানজট নেই জানিয়ে
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এশরাজুল হক জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে। তবে কোথাও
কোনো জট নেই। গার্মেন্টস ছুটির কারণে আজ শনিবার দুপুর থেকে যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়তে
পারে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের সব প্রস্তুতি রয়েছে।