Logo
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর হাতেই শুরু বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

হীরেন পণ্ডিত

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশের উদ্দেশে রওনা হলেন। ১০ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দিল্লিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করে যাত্রা করেন ঢাকার উদ্দেশে। বিমানটি তেজগাঁও বিমানবন্দর স্পর্শ করে বিকেল ৩টায়। সেখান থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ বাঙালির ভালোবাসা আর স্নেহের পরশ ভেদ করে পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধুর সময় লেগেছিল আড়াই ঘণ্টা। রেসকোর্সে লাখো জনতার মাঝ থেকে বঙ্গবন্ধু বাসায় পৌঁছেন সন্ধ্যা ৬টায়। এত দীর্ঘ পথযাত্রা, দীর্ঘ আনুষ্ঠানিকতা, জনসভা, আবেগ-উচ্ছ্বাস-কান্না বিনিময়ের পর ১১ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু সব ক্লান্তি-ভাবাবেগ উপেক্ষা করে এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে দেশ পরিচালনা শুরু করেন। সেদিনই মন্ত্রিসভার সঙ্গে দুদফা বৈঠক করেন এবং বৈঠকে সংবিধান প্রণয়নসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সংবিধানের শুরুতেই তিনি বলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা ছিল দেশের অর্থনীতিতে সমাজতান্ত্রিক উন্নয়ন ও পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থনীতিবিদরা এটিকে ব্যাখ্যা করেছিলেন দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য দূরীকরণ এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া। এ ভিত্তিতেই তদানীন্তন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীনের ১৯৭২-৭৩ সালের বাজেট প্রণীত হয়েছিল, যেটিতে সংবিধানের মূলনীতিগুলোর প্রতিফলন ছিল। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের কিছু মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ছিল, স্বনির্ভরতা অর্জন, দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার, বৈদেশিক সহায়তা গ্রহণ ও ব্যবহার, যা হতে হবে শর্তবিহীন এবং ক্রমে এ নির্ভরতার অংশ কমিয়ে আনতে হবে। বেসরকারি খাতকেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও শিল্পায়নে সম্পৃক্ত করা। ১৯৭২ সালে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের উচ্চসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা, যা ১৯৭৪ সালে ৩ কোটিতে বর্ধিত করা হয়।

সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর দেশের সার্বিক উন্নয়নের যে চিন্তা ও নির্দেশনা ছিল, সেগুলো বর্ণিত হয়েছে সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের অনুচ্ছেদগুলোতে। স্থানীয় শাসনসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন, জাতীয় জীবনে নারীদের অংশগ্রহণ। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর থেকে বস্তুত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাসহ সারা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলতে থাকে এবং সেনাবাহিনীর বাঙালি অংশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন এবং সফলভাবে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে দেখলেন গুদামে খাদ্য নেই, মাঠে ফসল নেই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ শূন্য। বস্তুত কোনো ব্যাংকের কার্যকারিতা নেই। সড়ক ও রেলপথ বিচ্ছিন্ন, নৌ ও সমুদ্রবন্দরগুলো বিধ্বস্ত। স্কুল-কলেজগুলো ছিল পরিত্যক্ত সেনাছাউনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে সম্ভাব্য সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু গুরুত্ব দিয়েছেন জোটনিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের স্বীকৃতি আদায় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করার। উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো। তাঁর শাসনামলে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ১২১ টি দেশের স্বীকৃতি এবং জাতিসংঘসহ ৩৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণভাবেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর অর্থনীতি খাদ্যশস্য, শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল, কৃষিজাত দ্রব্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি ও বিতরণ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে পুনর্গঠন কাজকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা, নৌপরিবহন এবং অন্যান্য ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ নেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচলের ওপর গুরুত্ব দেন। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিলো। দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রান্সমিশন ও বিতরণ লাইন নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা হয়। খাদ্য উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দিয়ে চাষাবাদে যান্ত্রিক পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। কৃষকের মাঝে সার, ওষুধপত্র ও উন্নতমানের বীজ প্রদান করেন। শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পরিকল্পনা করে জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। স্কুল ও কলেজগুলোকে জাতীয়করণ করে উচ্চশিক্ষার জন্য মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেন। এই পুনর্গঠনে অনেক বন্ধুরাষ্ট্র সাহায্য দিয়েছিলো, যেগুলো পরিশোধ করার প্রয়োজন ছিল না। ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুবসমাজকে দেশপ্রেমের আদর্শে উদ্দীপ্ত করতে তিনি উপদেশ-নির্দেশ দিতেন। ১৯৭৩ সালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলেন, বাংলার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়কে আমাদের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলার যে ছেলে তার অতীত বংশধরদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে না, সে ছেলে সত্যিকারের বাঙালি হতে পারে না। তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব বর্তমানেও অধিক। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী দক্ষ যুবশক্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধুর যুবভাবনা ও চিন্তা-চেতনা প্রাসঙ্গিক। এখন বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি, রোবটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি জানা নতুন প্রজন্ম ও দক্ষ যুবসমাজ গড়ে তোলা। তবে এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম চেতনা ও কৃত্রিম মনোভাবের প্রজন্ম যেন গড়ে না ওঠে, সে ব্যাপারে অধিক সচেতনতা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর ভাবনার খাঁটি, দক্ষ, সৎ ও বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমী যুবসমাজই হলো আমাদের সম্পদ, সোনার বাংলা গড়ার দক্ষ কারিগর।

বঙ্গবন্ধুর সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল অসীম। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, দেশের জনগণের বেঁচে থাকার দাবি হিসেবে উপস্থাপনে গণমাধ্যমের অসামান্য অবদান। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেন, শুধু সংবাদ মাধ্যম নয়। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। গণমাধ্যমের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধু তার স্মৃতি উল্লেখ করেন যে, আমার বাবা বাড়িতে সংবাদপত্র রাখতেন; আনন্দবাজার, বসুমতী, আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী এবং সওগাত

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আর্থিক সহায়তায় তারা দৈনিক ইত্তেহাদ প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন আবুল মনসুর আহমেদ। ম্যাগাজিনটি ওই সময় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল আধুনিক ম্যাগাজিন হিসেবে সম্পূর্ণ নতুন রূপে। বঙ্গবন্ধু নিজেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে পত্রিকাটি বাজারজাত করেন। তিনি পত্রিকার ব্যবস্থাপনায় একজন দায়িত্বশীল পরামর্শকও ছিলেন। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হলে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পাত্রিকার মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়। মওলানা ভাসানী সম্পাদক ছিলেন, ইয়ার মোহাম্মদ খান প্রকাশক ছিলেন, তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) পত্রিকা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পত্রিকার অর্থায়ন করতেন। দলীয় কর্মীদের মাঝেও বঙ্গবন্ধু এই পত্রিকার বিক্রির ব্যবস্থা করেন।

সংবাদপত্রগুলি সংবাদ, কলাম এবং সম্পাদকীয়তে, শোষণ, নির্যাতন এবং বৈষম্যের সঠিক চিত্র তুলে ধরেছিল। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনের সময় দৈনিকগুলোও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। তারা বঙ্গবন্ধুর সকল সিদ্ধান্ত, নির্দেশনা, বিবৃতি এবং বক্তৃতা প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপিয়েছে। সংবাদপত্র জনগণকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব গ্রহণযোগ্য ছিল। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে সংবাদপত্রগুলি সেই মহান মানুষ আসে বলে বর্ণনা করে। বঙ্গবন্ধু প্রথম সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা রক্ষা করেন। গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং সাংবাদিকদের বেতন ভাতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের জাতীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, এটা তিনি কল্পনাও করতে পারতেন না। জ্যামাইকায় কমনওয়েলথ সম্মেলনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সাক্ষাতে বললেন, শেখ সাহেব, আমাদের কাছে ভীতিকর খবর আছে। আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। উত্তরে বঙ্গবন্ধু বললেন, ম্যাডাম ইন্দিরা, চিন্তা করবেন না। কোন বাঙালি আমাকে স্পর্শ করবে না। যদি তারা করে, আমি গলায় চাদর জড়িয়ে গ্রামে ফিরে যাব। শেখ মুজিব ক্ষমতার অধিকারী নন।

খুনিদের পরিকল্পনার বিষয়গুলো বঙ্গবন্ধু কখনো বিশ্বাস করেননি। কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁকে সতর্ক করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি তাদের সতর্কবাণীগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই তাঁর কোন ক্ষতি করবে না। জীবনের জন্য হুমকি আছে তা জানা সত্তে¡ও বঙ্গবন্ধু কখনো বিষয়টির প্রতি মনোযোগ ও গুরুত্ব কোনটাই দেননি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, অসহিষ্ণু রাজনৈতিক পরিবেশ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পথ প্রশস্ত করেছিলো। সদ্য স্বাধীন দেশে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির উত্থান, একাত্তরের পরাজিত বাহিনীর গোপন কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে চরমপন্থী বাম দলের উত্থানের কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিলো। ষড়যন্ত্রকারীরা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে। খুনিরা তাদের লক্ষ্য পূরণ করে। সফল মিশন শেষে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটা মোটেও সহজ কাজ নয় যে, কিছু সংখ্যক সেনা সদস্য জাতির পিতাকে তাদের পরিবারসহ নিরস্ত্র মানুষদের ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়ে সপরিবারে হত্যা করবে পাশাপাশি রেডিও এবং টেলিভিশনে গিয়ে জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর দেবে। গবেষকদের মতে, মুজিব হত্যার দুটি মাত্রা রয়েছে। একটি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক। বিচারে এর কোনোটাই আসেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নৃশংসভাবে হত্যা পর তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করা হয় যাতে কেউ আওয়ামী লীগের হাল ধরতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যার জন্য, দলের চার জাতীয় নেতাকেও ৩রা নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রবীণ নেতাদের কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর রক্তের সিঁড়ি বেয়ে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন।

১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সাহসী বাঙালিরা নিজেদেরকে একটি বিশ্বাসঘাতক, কাপুরুষ-আত্মঘাতী জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির চেতনার নাম, একটি স্বপ্নের নাম, সৃষ্টির ইতিহাসের নাম, আকাক্সক্ষার নাম, সংগ্রামের নাম এবং সাফল্যের নাম। তিনি ইতিহাসের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন এবং থাকবেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দেশের উন্নয়নের গতি সাময়িক থেমে যায়। সেই দুঃসময়ে শেখ হাসিনা চরম দুঃসময়ে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে হাল ধরেছেন। গণতন্ত্রের সংগ্রামে দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন। বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয় দল হিসেবে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এনেছেন ১৯৯৬ সালে এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করছেন। স্বাধীন দেশ পেয়েছি বলেই আমরা স্বাধীনভাবে সব কিছু চিন্তা করতে পারি। সমাজ ও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে আমাদের সাফল্য বিশ্ববাসীর বিস্ময়মুগ্ধ মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তা বঙ্গবন্ধুর কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে। বলা বাহুল্য, যে এ সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার কল্যাণে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু যে সম্ভাবনার অসীম সেই দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তাই নয়, একই সাথে হতাশাক্লিষ্ট জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন ভয়কে জয় করার জন্য, মৃত্যুঞ্জয়ী মন্ত্রেও দিক্ষিত করেছেন পুরো জাতিকে।

গত এক যুগে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র। নিন্দুকদের তলাবিহীন ঝুড়ি মন্তব্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৫০ বছরেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে। যেখানে এখন মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার। এই মুহূর্তে সামাজিক ও অর্থনীতির বেশকিছু সূচকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। দারিদ্র্য বিমোচন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, নারীর ক্ষমতায়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, মধ্যম আয়ের দেশসহ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেলসহ ভৌত কাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের বিশেষ অর্জন রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয় করেছে লাল-সবুজের সোনার বাংলা। ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসাবে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেছে প্রত্যন্ত গ্রামে। হাতে হাতে মোবাইল ফোন, যা যোগাযোগমাধ্যমে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে চালু হয়েছে সর্বাধুনিক ফাইভজি টেকনোলজি। ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এক দুর্বার গতিতে চলছে দেশ।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক


আরও খবর

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখনও অপরিহার্য

বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২




দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। আট কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার তিনজন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের বর্তমান মোট জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখেরও বেশি। তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা আট হাজার ৭২৪ জন। গত জুলাই মাসে প্রকাশিত জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনের তুলনায় জনসংখ্যা বেড়েছে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উঠে এসেছে এ তথ্য।

গত জুলাইয়ে বিবিএস প্রকাশিত জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই সংখ্যা পাওয়া গেছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। অর্থাৎ যাচাই-বাছাইয়ে করে নতুন যুক্ত হয়েছেন আরও প্রায় ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন। প্রাথমিক হিসাবে বিভিন্ন কারণে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিলেন।

জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে নারী আট কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন, পুরুষ আট কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার তিনজন। সে হিসাবে দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৮১ জন।

বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যা বিভাজনে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা সবচেয়ে কম ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৮২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৬১২ জন, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ চার কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে এক কোটি ৭৮ লাখ ১৩ হাজার ২১৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে এক কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭২ জন, রাজশাহী বিভাগে দুই কোটি সাত লাখ ৯৪ হাজার ১৯ জন, রংপুর বিভাগে এক কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৭১ জন এবং সিলেট বিভাগে এক কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার ১১৩ জন বসবাস করছেন।


আরও খবর



‘সময়ের প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন, ডামি প্রার্থীতে বাধা নেই’

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সময়ের প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাই শেখ হাসিনার গাইডলাইন ফলো করে ডামি প্রার্থী হতে বাধা নেই।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৩তম শাহাদাতবার্ষিকীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, দুষ্কর্মের সহযোগী খুঁজে বেড়ায় বিএনপি। হরতাল-অবরোধ ও বোমাবাজি করে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে পারবে না তারা।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচন বানচাল করার স্বপ্ন পূরণ হবে না। বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ তাতে বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে দল মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। জোট শরিকদের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো মিলিয়ে মোট ১০৪টি আসনে নতুন মুখ এসেছে। মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন ২২ নারী। আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ৩৪ জন।


আরও খবর

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর বংশাল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ড, ৫২ কোটি ৮৮ লাখ ৭৮৮ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় বাকি ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহীদুল হক ভুইয়া, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, মো মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব। আসামিদের মধ্যে এনু-রুপনসহ ৬ আসামি কারাগারে আছেন। আর মেরাজুল হক ও ভুলু চন্দ্র দেব পলাতক রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাদের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এর পর তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সে সময় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।

এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ওয়ারী থানায় অর্থ পাচারের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত। একই সঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জয় গোপাল সরকার, মেরাজুল হক শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।


আরও খবর



মানবতার আলো ছড়াচ্ছে আনোয়ারার অন্যতম সংগঠন বাতিঘর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৩৫জন দেখেছেন
Image

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

বাতিঘর একটি শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক সংগঠন। বাতিঘর যাত্রা শুরু হয় ৮ অক্টোবর ২০২১ সালে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোলাম মোস্তফা ও মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। বর্তমানে মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন।

যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরের মধ্যে একঝাঁক তরুণ-তরুণী মিলে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বেশ সাড়া ফেলেছে সংগঠনটি। আসহায় মানুষের পাশে ফেরিওয়ালা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা। সমাজে দরিদ্র, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের মলিন মুখে হাসি ফোটাতে চালিয়ে যাচ্ছেন মানবিক নানা কার্যক্রম।

গতকাল সন্ধ্যায় আনোয়ারা সদর নুরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল হল রুমে ঝমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে "বাতিঘর" ২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২৩ এর পুরস্কার বিতরণ ও 'তারুণ্যই শক্তি' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষানুরাগী, মানবিক ব্যক্তিত্ব ও গুণীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মানবতা দিয়েই পৃথিবী গড়তে চায় অনেক মানুষ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যারা মানুষের পাশে আস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারাই মানবতার কারিগর। তাঁরা আজও দাঁড়িয়ে আছে মানবতার প্রশ্নে। তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে সাধ্যমতো এগিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। এমনই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সাড়া জাগানো শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক সংগঠন "বাতিঘর"।

ইতোমধ্যে সংগঠনের সদস্যরা ১ম বর্ষে ২৯টি প্রজেক্ট ও ২য় বর্ষে ২১টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে। দুই বছরে মোট ৫০টি। ৫০টি প্রজেক্টের মধ্যে গভীর নলকূপ ৪টি, অগভীর নলকূপ ২০টি। অন্যান্যগুলো হলো বিবাহ সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা সহায়তা (ফর্ম ফিলাপ, বই উপহার ও নগদ অর্থ সহায়তা) ও স্বাবলম্বী প্রজেক্ট।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, সামাজিকভাবে আমাদের একটা দ্বায়বদ্ধতা থেকে যায়, সেই দায়বদ্ধতা থেকে হলেও আমাদের সবার এসব সামাজিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসা উচিত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মূলত এই বোধশক্তি থেকে শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক সংগঠন বাতিঘর নামক সংগঠনের যাত্রা।

তিনি বলেন, বাতিঘর এখন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আলোচিত নাম। আমরা নিজেদের স্বপ্ন ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি এবং সে পথেই হাঁটছি।

নিউজ ট্যাগ: বাতিঘর আনোয়ারা

আরও খবর



বলিউডে হিরো আলম, নায়িকা রাখি সাওয়ান্ত!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নাকি এবার বলিউডে কাজ করতে যাচ্ছেন। আর নায়িকা হিসেবে থাকবেন ড্রামা কুইন রাখি সাওয়ান্ত। এই সিনেমায় অর্থ বিনিয়োগ করবেন বহুল বিতর্কিত আরাভ খান।

বর্তমানে হিরো আলম সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন। সেখানে আরাভ খানের একটি মোবাইল ফোনের শোরুম উদ্বোধন করেছেন। এরপরই হিরো আলমকে দেখা গেল রাখি সাওয়ান্তের সঙ্গে। আরব আমিরাতের দুবাই থেকে হিরো আলম বললেন, আমি বলিউডে কাজ করতে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে রাখি সাওয়ান্ত কাজ করবেন। ছবিটা প্রযোজনা করবেন আরাভ খান।

হিরো আলমের পাঠানো একটি ভিডিওতে রাখি সাওয়ান্ত ও হিরো আলমকে একসঙ্গে দেখা যায়। যেখানে রাখি চিৎকার করে রাখি বলেন, দেখো সালমান ভাই, বলিউডে নতুন নায়ক নিয়ে আসছি। ওই ভিডিওতে আরাভ খান বলেন, আলমকে নিয়ে আমি বলিউডে সিনেমা বানাবো। যতটাকা লাগে আমি দেব। ভারত, দুবাই ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর শুটিং হবে।


আরও খবর

নিজেকে শুধরানোর ইঙ্গিত শরিফুল রাজের

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩