বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে উত্তাল
ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে যায়। পরে ট্রলারের ২২ জেলেকে
জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক
পয়েন্টে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
এফবি আল্লাহর দান নামে ট্রলারটির মালিক
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি সাইরার ডেইল এলাকা শের উল্লাহ। জাল, তেল ও মালামালসহ ট্রলারটির
মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকের ছেলে এজাজুল হক। ট্রলারটি
ডুবে যাওয়ার সময় এজাজুল হক ট্রলারে ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন এজাজুল হক, নাছির
উদ্দিন, রেজাউল, জয়নাল, আবদুল আজিজ, নুর, নূরনবী, বাদশা, ছোটন, আজিজ, রুহুল কাদের,
জাহাঙ্গীর, নেছার, শাহাবউদ্দিন, নূর হোসেন, বশর, রবিউল, কালু, কোরবান আলী ও জাবের।
বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি। জেলেরা সবাই মহেশখালির মাতারবাড়ি এলাকার।
নাজিরারটেক উপকূলে আসার পর এজাজুল হক বলেন,
ট্রলারটি দেড় কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। ২২ জেলেসহ শুক্রবার দুপুর ২টায় নাজিরারটেক
উপকূল থেকে মাছ ধরার জন্য সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। তেল ও খাদ্যসামগ্রীসহ দুই লাখ
টাকার মালামাল তোলা হয়। কিন্তু নাজিরারটেক পয়েন্টে পৌঁছাতেই ট্রলারটি বালিতে আটকে পড়ে।
এরপর ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়।
ট্রলারটি উল্টে ১১ জেলে পানিতে পড়ে যায়
আর বাকিরা ট্রলারটির নানা অংশ ধরে ওপরে ভাসতে থাকে। পরে স্থানীয় জেলেরা ৪টি ট্রলার
নিয়ে এগিয়ে এসে সবাইকে উদ্ধার করে।
বেঁচে ফেরা জেলে কোরবান বলেন, ট্রলারটি
উল্টে যাওয়ার পর প্রথমে আমি পানিতে পড়ে যাই। পরে সাঁতার কেটে উপকূলে ওঠার চেষ্টা করি।
কিন্তু উপকূল অনেক দূরে ছিল। একপর্যায়ে মনে করেছিলাম পানিতে ডুবে মারা যাব। কিন্তু
আল্লাহর রহমতে অন্য জেলেরা এসে উদ্ধার করেছে।
নাজিরারটেক মাঝিমাল্লা সমবায় সমিতির সাধারণ
সম্পাদক খালেদ মোশারফ বলেন, ট্রলারটি ২২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটিও
উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পরও উদ্ধার করতে পারছি না ভাটার কারণে।
জোয়ার এলে ৪টি ট্রলারের সাহায্য ডুবে যাওয়া ট্রলারটি টেনে উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া
হবে।